তামান্নার কাজের পরিধি শুধু হাসপাতালের চার দেয়ালেই আটকে নেই। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, ইউনিসেফ, সেভার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে অতিথি বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন তিনি।
পুষ্টিবিজ্ঞানকে বাংলাদেশে একটি উঁচু আসন দেওয়ার জন্য, এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।
তামান্না বলেন, ‘প্রথম দিকে যখন রোগী দেখা শুরু করেছি, রোগীরা জিজ্ঞেস করতেন ডায়েটেশিয়ান আবার কী? বোঝাতে অনেক সময় লেগেছে। যে পুষ্টিও চিকিৎসার একটি দিক। যেখানে ওষুধের পাশাপাশি খাদ্য নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি বোঝানো হয়। আর এখন এমনও দিন যায় রোগীরা আমার অ্যাপয়েনমেন্ট পান না। মানুষ এখন খাদ্যে পুষ্টির বিষয়ে অনেক সচেতন হয়েছে। ’
‘মার কাজের জন্য আমার পরিবারকে অনেক ত্যাগ করতে হয়। প্রথমে আমার বাবা এরপর স্বামী ও সন্তানদের প্রতি খুব কৃতজ্ঞ। তারা আমাকে কাজ করার জন্য অনেক সহযোগিতা করে। পরিবার থেকে সম্পূর্ণ সাহায্য না পেলে একজন মেয়ের জন্য কাজ করা ভীষণ কঠিন। ’
নারীর স্বাধীনতা নিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের নারীদের অনেক বড় একটা অংশ পুষ্টির অভাবে রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন। তাদের জন্য কাজ করার সুযোগ এসেছে। স্বাধীনতার এত বছর পরে এসেও আমরা শুধু উঁচু তলার মানুষ দেখে যদি তৃপ্তি পাই, মনে রাখতে হবে এটা পুরো দেশের চেহারা না। আর নারী বলতে সব নারীকে বোঝায়। এখনো নারীদের সাধারণ স্বাস্থ্য-শিক্ষাও পুরোটা জানা নেই। বাল্য বিয়ে কমেছে, তবে বন্ধ হয়নি। অল্প বয়সে মা হতে গিয়ে এখনো নারীর মৃত্যু হয়। সবাইকে নিয়ে কাজ করে এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হবে। ’
এ চাওয়া প্রতিদিনের।
এসআইএস