ঢাকা, বুধবার, ০ মাঘ ১৪৩১, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪ রজব ১৪৪৬

অন্যান্য

খাদ্য

বিষমুক্ত খাদ্য: সমাজ ও রাষ্ট্রের করণীয়

ড. মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২৫
বিষমুক্ত খাদ্য: সমাজ ও রাষ্ট্রের করণীয় গ্রাফিতি

উদ্ভিদ ও প্রাণিজাত খাবার সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য অত্যাবশ্যক। আবার সেই খাবার উৎপাদন স্থান, উপকরণ, প্রক্রিয়াকরণ, বিতরণ, ভোগ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পর্যন্ত যে সামগ্রিক প্রবাহ আছে, তা হবে জনবাস্তুস্বাস্থ্যবান্ধব।

কারণ কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থাটি প্রজন্মের পর প্রজন্ম সচল ও স্থিতিশীল রাখাও অত্যাবশ্যক। এটা প্রতিষ্ঠিত যে খাদ্য হলো সব রোগের প্রতিষেধক।

আবার দেহে রোগ সৃষ্টির উৎস। এটা বিষমুক্ত খাদ্য : সমাজ ও রাষ্ট্রের করণীয়নির্ভর করছে তার পুষ্টি ও নিরাপত্তা গুণাগুণের ওপর। আমাদের জাতীয় চাহিদা হলো পুষ্টিসমৃদ্ধ নিরাপদ খাবার এবং একটি স্থায়িত্বশীল কৃষির মাধ্যমে খাদ্যে স্বয়ম্ভরতা অর্জন। একটি প্রশ্ন প্রায়ই উচ্চারিত হয় যে আমরা যা খাচ্ছি তা কি সত্যিই কোনো উপকারে আসছে, নাকি শুধু উদরপূর্তির কাজ করছে? অংশীজনদের কেউই তা নিশ্চিত করতে পারছেন না।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র খামারির দেশ এবং হাজার বছরের মিথস্ক্রিয়ায় ফসল-প্রাণী-মৎস্যসম্পদের প্রাচুর্যে একটি স্থায়িত্বশীল কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল, কখনো এমন আশঙ্কা ভোক্তা অনুভব করেনি।

কিন্তু এটা অনভিপ্রেত যে বিগত তিন-চার দশকে  দেশের কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থাসংক্রান্ত বিজ্ঞানভিত্তিক যেসব তথ্য-উপাত্ত প্রকাশিত হয়েছে, তাতে ইতিবাচকের চেয়ে নেতিবাচকের পাল্লাই ভারী। ফলে সামগ্রিকভাবে বলা যায়, বাংলাদেশের প্রচলিত কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থা দেশের জনস্বাস্থ্য ও বাস্তুস্বাস্থ্যের ওপর গভীর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। কারণ আমাদের কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে তা মাঠ ও পাত পর্যন্ত কৃত্রিম রাসায়নিক সার ও বালাইনাশক নির্ভর, আবার প্রাণিসম্পদ ও মাছ চাষে অ্যান্টিবায়োটিকের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার ক্রমাগত বৃদ্ধি।

আইসিডিডিআরবির সূত্র মতে, বাংলাদেশের মোট মৃত্যুর প্রায় ৭০ শতাংশের জন্য অসংক্রামক রোগ দায়ী, আবার প্রতি ৫ জনে ১ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন, প্রায় ১.৫ কোটি মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগছে এবং ২০২১ সালে ডায়াবেটিসের কারণে প্রায় ৭৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ডাউনি সিনড্রোম, অটোইমিউন ডিজিজসহ অনেক অজানা রোগের তো সীমাই নেই এবং এর সবই কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থার জন্য দায়ী। জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রকাশিত জরিপে দেখা যাচ্ছে, ২০১৭ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে সংস্থাটির হাসপাতালে যত পুরুষ রোগী ভর্তি হয়েছে, তাদের মধ্যে ৬৪ শতাংশই নানাভাবে কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত ছিল। আর নারী-পুরুষ মিলিয়ে যত ক্যান্সার রোগী ভর্তি হয়েছে, তাদের ৩৪ শতাংশই কৃষি পেশায় সম্পৃক্ত ছিল।

বিষমুক্ত খাদ্য: সমাজ ও রাষ্ট্রের করণীয়বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, ২০৩০ সালে প্রতি ঘরে একজন ক্যান্সার রোগী বা ডিস-এবল শিশু থাকবে।

তাহলে উৎপাদক থেকে ভোক্তা কেউই বর্তমান কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থার বিধ্বংসী নেতিবাচক প্রভাব থেকে কোনো অবস্থায়ই মুক্ত নয়। কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহৃত কৃত্রিম রাসায়নিক সার ও কীটনাশক খাদ্যশৃঙ্খলে বিষাক্ত পদার্থের উপস্থিতি ক্রমাগতভাবে বাড়িয়ে তুলছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। কিছুদিন আগে এক বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে দেশে প্রধান খাবার ধানে ক্যাডমিয়াম নামক ভারী ধাতুর মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতি। সম্প্রতি বাংলাদেশে প্রধান সবজি বেগুন ও তার জমিতে ভারী ধাতুর ক্ষতিকর উপস্থিতির বৈজ্ঞানিক প্রমাণ বর্তমান ব্যবস্থার ভয়াবহতা আরেকবার প্রকাশ করছে।

এ ছাড়া কীটনাশক হিসেবে বিভিন্ন কার্বামেট, পাইরেথ্রয়েড ও নিওনিকোটিনাইডের এন্ডোক্রাইনের কার্যকলাপ ব্যাহত করে এবং প্রাণী ও মানুষের প্রজননের ওপর নেতিবাচক প্রভাবের প্রমাণ আছে। আবার কীটনাশক ক্লোরপাইরিফস, ফসফামিডন, ম্যালাথিয়ন, ফেন্থিয়ন, মিথাইল ফসফরোথিওয়েট, প্যারাথিয়ন, ক্লোরফ্লুজাউরন, সাইপারমেথ্রিন বা ফক্সিমিন জমিতে প্রস্তাবিত ঘনত্বে মাটি ও রাইজোস্ফিয়ার মাইক্রোবায়োটার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে আসছে। ভেষজনাশক গ্লাইফোসেট মাটির রোগ সৃষ্টিকারী অণুজীবের তুলনায় অনেক কম ঘনত্বে মাটি, উদ্ভিদ ও অন্ত্রের উপকারী জীবাণুকে বাধা দেয়। সামগ্রিকভাবে মাটি, উদ্ভিদ ও মানব জীবাণুর ওপর গ্লাইফোসেটের এই পরোক্ষ প্রভাবসমূহ মানুষ ও বাস্তুস্বাস্থ্যকে অস্বাভাবিকভাবে প্রভাবিত করছে।

বিগত দুই দশকে রাসায়নিক সারের ব্যবহার ৪.৫ গুণ বেড়েছে। বাড়তি রাসায়নিক সারের চাহিদার জোগান দিতে গিয়ে গত দুই বছর দেশে ইউরিয়া, টিএসপি ও এমপি সারে ভর্তুকির জন্য প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ করা হয়েছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, আগামী বছরগুলোতে সেই খরচ আরো বাড়বে। বালাইনাশক ব্যবহার ছলচাতুরি (ওজনে বেশি দানাদার কমেছে কিন্তু ওজনে কম তরল) করে কম দেখানো হচ্ছে। তার প্রমাণ হলো, গত দুই দশকে বছরে ১৫০ গুণ বেশি আগাছানাশক ব্যবহার করা হচ্ছে। কৃষক কী বালাইনাশক প্রয়োগ করবেন তার সিদ্ধান্ত দেন স্থানীয় বালাই ব্যবসায়ী। কারণ এই ব্যবসায়ী প্রায় সব কৃষককে বাকি চক্রে আবদ্ধ করেছেন। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, কৃষকরা এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না। বালাইনাশকের অপব্যবহার রোধে সামাজিক ও আচরণগত পরিবর্তন একটি কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। বিশেষত নারী ও যুবসমাজ এই পরিবর্তনের উপযুক্ত হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে। নারীরা পারিবারিক ও সামাজিক দায়িত্বের মাধ্যমে তাঁদের সঙ্গী এবং আশপাশের মানুষদের বালাইনাশকের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতন করতে পারেন। এ জন্য সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে তাঁরা নৈতিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারেন এবং বালাইনাশকের ব্যবহার হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। একই সঙ্গে যাঁরা বালাইনাশক ব্যবহার করতে বাধ্য, তাঁদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী, যেমন—গ্লাভস, মাস্ক এবং প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণে নৈতিকভাবে উদ্বুদ্ধ করা যেতে পারে। যুবসমাজ এই পরিবর্তনের মূল চালিকাশক্তি হতে পারে।

বর্তমানের এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য কৃষি ও খাদ্য ব্যবস্থা সংস্কারে একটি আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন। এই সংস্কার শুধু নীতিগত পরিবর্তন নয়, বরং চর্চায়ও পরিবর্তন আনতে হবে। পাশাপাশি নীতি প্রণয়নের দৃষ্টিভঙ্গি কী সেটা পরিষ্কার করা দরকার; যেমন—এটা রূপান্তর, না পুনরুজ্জীবনমূলক। কৃষি রূপান্তর বর্তমানে বৈশ্বিক নীতিনির্ধারকদের একটি প্রিয় উদ্যোগ, যা সবুজ বিপ্লবের ধারাবাহিকতা হিসেবে পরিচিত। সবুজ বিপ্লবের মূল লক্ষ্য ছিল ফসলের প্রজনন বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন ও কৃত্রিম রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা। তবে এর ফলে মনোকালচারের প্রচলন ঘটে, যা কৃষি জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে নব নব উদ্ভাবনার জিন কৌশল আবিষ্কার করে তার প্রয়োগ খাদ্য ব্যবস্থার প্রবর্তন হচ্ছে, জেনেটিক্যালি মডিফায়েড অর্গানিজম (জিএমও) প্রযুক্তি এর অন্যতম জলজ্যান্ত উদাহরণ।

অন্যদিকে পুনরুজ্জীবন কৃষি একটি টেকসই কৃষি পদ্ধতি, যা শুধু ফসলের উৎপাদন নয়, বরং বাস্তুসংস্থানের স্বাস্থ্যকেও সমান গুরুত্ব দেয়। এই পদ্ধতিতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় স্থানীয় ফসলের গুরুত্ব বাড়ানো হয় এবং খাদ্য সার্বভৌমত্বকে সম্মান জানানো হয়। পুনরুজ্জীবন কৃষি প্রকৃতিবান্ধব এবং পরিবেশ রক্ষা করার মাধ্যমে কৃষিব্যবস্থাকে দীর্ঘস্থায়ী করে। এটি প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ, জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং মাটির স্বাস্থ্য উন্নত করার ওপর জোর দেয়, যা মনোকালচারনির্ভর কৃষির বিপরীতে অবস্থান করে। কৃষি রূপান্তর এবং পুনরুজ্জীবন কৃষি—দুটিই কৃষিব্যবস্থার উন্নয়নের উদ্দেশ্যে কাজ করে। তবে কৃষি রূপান্তর যেখানে প্রজনন প্রযুক্তি ও উৎপাদনশীলতাকে প্রধান্য দেয়, পুনরুজ্জীবন কৃষি সেখানে বাস্তুসংস্থানের ভারসাম্য ও টেকসইতায় গুরুত্বারোপ করে। ভবিষ্যতের কৃষিব্যবস্থায় প্রকৃতি, মানুষ এবং প্রজননের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করাই হবে মূল চ্যালেঞ্জ।

কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থা সচল রাখতে শুধু কৃষি বা খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পৃক্ত নয়, এখানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, পরিবেশ, ভূমি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জড়িত। এসব মন্ত্রণালয়েরও কৃষি-খাদ্যের জন্য নানা নীতি-চর্চা রয়েছে, যা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই একে অন্যের জন্য বৈরী। এ জন্য একটি সমন্বিত নীতি থাকা দরকার। জনবাস্তুস্বাস্থ্যবান্ধব কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থা গড়তে কৃষি, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ, পানি ও পরিবেশ একীভূত করার সময় এসেছে। পৃথিবীর অনেক দেশে (জাপান, কোরিয়া, জামানি, ভিয়েতনাম) এমন ব্যবস্থা আছে, যা দারুণ কাজ করছে।

চর্চার ক্ষেত্রে প্রথমত, কৃষিকাজে বিষমুক্ত পদ্ধতির প্রসার ঘটাতে হবে। জৈবিক কৃষি, সঠিক চাষাবাদ পদ্ধতি এবং স্থানীয় জাতের ফসল, প্রাণী, মাছ চাষকে উত্সাহিত করতে হবে, যা পরিবেশবান্ধব এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ। দ্বিতীয়ত, খাদ্য উৎপাদন ও বিতরণ ব্যবস্থার প্রতিটি ধাপে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশগত স্থায়িত্বকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। সুরক্ষিত খাদ্য উৎপাদন এবং ভোক্তার কাছে নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে নীতিমালা ও বিধি-নিষেধকে পুনর্বিবেচনা করা জরুরি। রাসায়নিক সারের ভর্তুকি কমিয়ে তা জৈব সারে দিতে হবে; পাশাপাশি প্রকৃত কৃষকদের জন্য প্রশিক্ষণ ও সহায়তা বৃদ্ধি করতে হবে, যাতে তাঁরা পরিবেশবান্ধব ও স্বাস্থ্যসম্মত পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদন করতে সক্ষম হন। কৃষিকাজ সম্মানজনক পেশা নয়, তাই প্রতিটি কৃষকের জন্য সম্মানজনক জীবনপদ্ধতির ব্যবস্থা করতে হবে। উদাহরণ হিসেবে বছরে একবার দূরপাল্লার ভ্রমণে অর্ধভাড়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

পারিবারিক কৃষিকে উত্সাহিত করার জন্য প্রণোদনা দেওয়া যেতে পারে। এই আমূল সংস্কারের জন্য সরকারকে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। সরকারকে নীতি নির্ধারণে এমন পরিবর্তন আনতে হবে, যা জনস্বাস্থ্য ও বাস্তুস্বাস্থ্যের উন্নয়নকে প্রাধান্য দেয়। কৃষি নীতিমালা ও শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবেশগত ও স্বাস্থ্যগত বিষয়গুলো সুনির্দিষ্টভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ক্ষতিকর কৃষি-প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে কঠোর আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। সরকারকে জনবাস্তুস্বাস্থ্যবান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবনে কৃষি গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে, যাতে নতুন ও উন্নত প্রযুক্তি ও প্রথা বিকশিত হয়, যা পরিবেশবান্ধব ও স্বাস্থ্যসম্মত। জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য উদ্যোগ নিতে হবে, যাতে ভোক্তারা স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিবেশবান্ধব খাদ্য গ্রহণে উত্সাহিত হয়। নিশ্চয়ই সরকার জনবাস্তুস্বাস্থ্যবান্ধব কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থার নীতি-চর্চার পুনরুদ্ধার কাজে হৃদয়গ্রাহী হবে।

লেখক:  প্রাবন্ধিক ও গবেষক, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি), গাজীপুর

বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।