ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ মাঘ ১৪৩১, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ০০ শাবান ১৪৪৬

অন্যান্য

তামাকজনিত কারণে মৃত্যু আসলে হত্যাকাণ্ড: ফরিদা আখতার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২৫
তামাকজনিত কারণে মৃত্যু আসলে হত্যাকাণ্ড: ফরিদা আখতার উপদেষ্টা ফরিদা আখতার

ঢাকা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, তামাকজনিত কারণে যে মৃত্যু হয়, সেগুলোকে আমি মৃত্যু নয়, হত্যাকাণ্ড বলবো।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় সিরডাপ অডিটোরিয়ামে ‌‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের অগ্রগতি ও তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে চিকিৎসকদের সম্পৃক্ততা’ শীর্ষক একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে।

ফরিদা আখতার বলেন, প্রধান উপদেষ্টাসহ আমাদের অন্যান্য উপদেষ্টা সবাই বুঝেন তামাক কতটা ক্ষতিকর। তাদের বুঝিয়ে বলার প্রয়োজন পড়ে না। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনী ফেরত এসেছে শুধু একটি কারণে, অর্থ উপদেষ্টার মতামত ছিল রাজস্ব আয় কমে যাবে। রাজস্ব আয় কমে যাবে, এই কথা বলেই তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ঠেকিয়ে দেওয়া হয়।  

তিনি আরও বলেন, আমি স্পষ্ট বলতে চাই, আমাদের সরকার তামাক কোম্পানির টাকায় চলে না। সরকার জনগণের টাকায় চলে। তামাক কোম্পানি দাবি করে যে টাকা তারা দেয়, একটি অংশ তামাক কোম্পানি দেয়। বাকিটা ধূমপায়ীরা ট্যাক্স হিসেবে সরকারকে দেয়।  

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, আমি একটি কথা বলি, তামাক কোম্পানি যে জুজুর ভয় দেখায় রাজস্ব কমে যাবে, আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখেন তামাক কোম্পানি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে গাছ লাগায়। তামাক কোম্পানি গাছ লাগায় তাদের নিজেদের জন্য। কারণ তামাক পোড়াতে যে গাছ লাগবে, সেই গাছই তারা লাগায়। আবার উল্টোদিকে তারা দেখায়, পরিবেশ রক্ষা করতে তারা গাছ লাগাচ্ছে।

তামাকের ক্ষতি প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি, একটি শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন একটি সুস্থ জাতি হতে সহায়তা করে। আমাকে প্রমাণ করতে হবে কেন, রাজস্ব কমবে না বাড়বে, এই রোগ হবে না সেই রোগ হবে। তামাক যে ক্ষতিকর এটি প্রমাণের কোনো প্রয়োজন আছে? তামাকজনিত কারণে যে মৃত্যু হয়, সেগুলোকে আমি মৃত্যু নয়, হত্যাকাণ্ড বলবো। আমরা জেনে-শুনে এই হত্যা হতে দিচ্ছি। প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যু যখন হচ্ছে, সেটা কি হত্যাকাণ্ড নয়। সুতরাং, তামাকজনিত মৃত্যু হত্যাকাণ্ড।

সেমিনারে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের কর্মসূচি পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব (বিশ্বস্বাস্থ্য অনুবিভাগ) শেখ মোমেনা মনি ও মহাপরিচালক মো. আখতারউজ-জামান, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভী।

এছাড়াও সেমিনারে বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটি, বাংলাদেশ লাং ফাউন্ডেশনসহ তামাকবিরোধী বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি এবং দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২৫
আরকেআর/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।