ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ মাঘ ১৪৩১, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭ শাবান ১৪৪৬

অন্যান্য

‘হত্যা মামলা থেকে বাঁচতে শেখ হাসিনাকে ১০০ কোটি টাকা ঘুষ দেন সিমিন’ 

ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের জবাব

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৫
ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের জবাব সিমিন

ঢাকা: ‘হত্যা মামলা থেকে বাঁচতে শেখ হাসিনাকে ১০০ কোটি টাকা ঘুষ দেন সিমিন’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে ট্রান্সকম গ্রুপ। ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিবাদ বক্তব্যে বলা হয়েছে যে, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের কোনো শাখায় সিমিন রহমানের কোনো অ্যাকাউন্ট নেই মর্মে দাবি করা হয়েছে।

যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। প্রকৃতপক্ষে ডেইলি স্টার গ্রুপের ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ ট্রান্সকম গ্রুপের অন্তত চারটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের গুলশান, মতিঝিল এবং কারওয়ান বাজার শাখায় সিমিন রহমানের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে।

প্রতিবাদে আরও দাবি করা হয়েছে যে, সিমিন রহমানের ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমানের লাশ কবর থেকে উত্তোলন ও ময়নাতদন্ত করা হয়নি। প্রকৃত ঘটনা হলো আরশাদ ওয়ালিউর রহমানের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য আদালত থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। আদালতের এই নির্দেশনার পর শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে আপসরফা করেন সিমিন রহমান। এই আপসরফার ফলেই নির্দেশনার পরও লাশ উত্তোলন বন্ধ হয়। প্রশ্ন হলো,      ভাইয়ের লাশের ময়নাতদন্তে কেন সিমিনের আপত্তি? এ জন্য যে তিনি অপরাধী? ময়নাতদন্তে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে? এখান থেকেই প্রমাণিত হয় যে, শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে তার (সিমিন রহমান) একটি যোগসাজশ ছিল। ট্রান্সকম গ্রুপের ওই প্রতিবাদে বলা হয়েছে, ফ্যাসিবাদী সরকারের ষড়যন্ত্রের মুখে সিমিন রহমান ২০২৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ এপ্রিল তিনি দেশের বাইরে অবস্থান করেন। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা হলো ১৪ মার্চ গোপনে দেশে ফেরেন শুধু শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য। ২০ মার্চ সিমিন রহমান আবার দেশত্যাগ করেন।

যাদের একাধিক পাসপোর্ট আছে অথবা বাংলাদেশি পাসপোর্টের পাশাপাশি বিদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করেন, তারা তথ্য ও অপরাধ গোপনের জন্য এ ধরনের কাজ করেন। সিমিন রহমানের বিদেশি পাসপোর্টের ব্যাপারে তদন্ত হওয়া দরকার। ৩ এপ্রিল তিনি দেশে ফেরেন এবং আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিনের জন্য আবেদন করেন। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, ১৫ জুন তার দেশে থাকার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি ট্রান্সকম গ্রুপ। অর্থাৎ ১৫ জুন তিনি দেশে ছিলেন এবং সেদিন গণভবনে শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের কথা তারা প্রকারান্তরে স্বীকার করেছেন। প্রতিবেদনে সূচনা ফাউন্ডেশন অ্যাকাউন্টে ২৫ কোটি টাকা দেওয়ার যে বক্তব্য ছিল সেটি অস্বীকার করা হয়নি। পাশাপাশি শেখ মুজিব মেমোরিয়াল ট্রাস্টে যে টাকা দেওয়া হয়েছিল সেই টাকার ব্যাপারেও ট্রান্সকম গ্রুপের দেওয়া প্রতিবাদে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। আলোচ্য প্রতিবাদে ট্রান্সকম গ্রুপের মালিকানা নিয়ে যে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে সেটি একটি বিচারাধীন বিষয়।

বিচারাধীন বিষয় নিয়ে আমরা কোনো বক্তব্য রাখতে চাই না। এখন বিভিন্ন যোগসাজশে এবং প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে যেভাবে সিমিন রহমান হত্যা মামলা থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এড়িয়েছেন ঠিক একইভাবে যে এ মামলা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন তার প্রমাণ পাওয়া যায় এ প্রতিবাদপত্রের মধ্যেই। এ প্রতিবাদে তার মনগড়া অবস্থান থেকেই বোঝা যায় যে, তিনি আদালতকে প্রভাবিত করতে চাচ্ছেন। বিচারাধীন বিষয়ে মন্তব্য আদালত অবমাননার শামিল।  

বাংলাদেশ সময়: ০৯১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২৫
এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।