ঢাকা, সোমবার, ১৮ ফাল্গুন ১৪৩১, ০৩ মার্চ ২০২৫, ০২ রমজান ১৪৪৬

অন্যান্য

একটি মৃতপ্রায় দলের আত্মকথা

মহিউদ্দিন খান মোহন | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৯ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০২৫
একটি মৃতপ্রায় দলের আত্মকথা মহিউদ্দিন খান মোহন, ছবি: সংগৃহীত

সুপ্রিয় পাঠক, আমি আপনাদের অতিপরিচিত দল আওয়ামী লীগ। আজ আমি মুমূর্ষু অবস্থায় উপনীত, মৃতপ্রায়ও বলতে পারেন।

আমার এ নির্জীব দেহে আর কখনো প্রাণের সঞ্চার হবে কি না, তা একমাত্র উপরওয়ালাই জানেন। আমাদের দেশে অনেক উদাহরণ আছে, পূর্বপুরুষেরা ধনসম্পদের পাহাড় গড়ে যান, আর অধস্তন পুরুষেরা তা ধ্বংস করে ফেলে। আমার অবস্থা আজ সেরকম। মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর হাতে প্রতিষ্ঠিত এবং তাঁরই অতি কাছের শিষ্য শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে পত্রপল্লবে বিকশিত আমি আজ জীবনমৃত্যুর কিনারায় দাঁড়িয়ে। মুজিবকন্যার অপরাজনীতির কারণে আজ আমি সর্বসাধারণের কাছে নিন্দিত, ধিক্কৃত।

আমার জন্মকালীন নাম ছিল ‘আওয়ামী মুসলিম লীগ’। পরে মুসলিম শব্দটি বাদ দেওয়া হয়।  একপর্যায়ে শেখ মুজিবুর রহমান আমার প্রধান চালক হয়ে উঠলেও আমার জন্মের সময় তিনি ছিলেন জেলে। ‘হুজুর ভাসানী’ তাঁর এ শিষ্যকে দলের যুগ্ম সম্পাদক করেন। যা-ই হোক, পরবর্তী সময়ে শেখ মুজিবের হাতেই আমার ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটে। জন্মের পর আমার প্রথম অঙ্গচ্ছেদ হয় ১৯৫৭ সালে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রনীতির প্রশ্নে আমার দুই প্রধান চালক মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মতবিরোধ আমাকে দ্বিধাবিভক্ত করে। মওলানা ভাসানী আমাকে ত্যাগ করে নতুন দল ন্যাপ গঠন করেন। সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ।

এরপর আমার দায়িত্ব নেন শেখ মুজিবুর রহমান। সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত ও জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্তির ফলে আমি হয়ে উঠি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সংগঠন। আসে ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন। এর আগে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার সুবাদে পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদের কাছে শেখ মুজিবের বিশাল ভাবমূর্তি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনে আমার মার্কা নৌকার তখন জয়জয়কার। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলাম আমি। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ও জুলফিকার আলী ভুট্টোর কূটচালে আমি ক্ষমতায় যেতে পারলাম না। সংকট ক্রমেই বাড়ছিল। একপর্যায়ে তা মীমাংসার অযোগ্য হয়ে পড়ে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানি বাহিনী গণহত্যা শুরু করে নিরীহ নিরস্ত্র বাঙালির ওপর। জাতি তখন কিংকর্তব্যবিমূঢ়। জন্মের পর এমন অসহায়ত্ব আর কখনো বোধ করিনি। আমার নামে যাঁরা রাজনীতি করতেন, তাঁরা সবাই লুকিয়ে পড়লেন যে যাঁর সুবিধা মতো। আমার প্রধান চালক শেখ মুজিবুর রহমান স্বেচ্ছায় বন্দিত্ব বরণ করলেন পাকহানাদার বাহিনীর হাতে। চলে গেলেন পশ্চিম পাকিস্তানে। এদিকে অসহায় মানুষ শিকার হতে থাকে বর্বর পাকিস্তানি বাহিনীর গুলির।

এমনই সময়ে তরুণ এক মেজর রুখে দাঁড়ালেন। আমি নীরবে দেখলাম, কী অসীম সাহসিকতায় তিনি পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলেন! রয়েল বেঙ্গল টাইগারের দেশের সন্তান মেজর জিয়াউর রহমান গর্জে উঠলেন ‘উই রিভোল্ট’ বলে। ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের কালুরঘাট রেডিও স্টেশন থেকে তিনি ঘোষণা দিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের। তাঁর তেজোদ্দীপ্ত কণ্ঠ জাতিকে জাগিয়ে তুলল। হতবিহ্বল জাতি সংবিৎ ফিরে পেয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে। অপরদিকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে আশ্রয় গ্রহণকারী নেতারা প্রবাসী সরকার গঠন করে যুদ্ধ পরিচালনা করতে থাকলেন। অবশেষে ওই বছর ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের।

স্বাধীনতার পর আমার নামে চলে অবাধ লুটপাট। ক্ষমতাসীন সরকারের মন্ত্রী, এমপি ও নেতারা দেশটাকে নিজেদের জমিদারি ঠাওরে যা খুশি তা করতে থাকে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের নিরন্ন মানুষের জন্য আসা খাদ্যসামগ্রী চলে যেতে থাকে ক্ষমতাসীনদের উদরে। টিন, কম্বল, পরনের কাপড় সবই গোগ্রাসে গিলে খায় আমার নামের ঝান্ডাধারী দুর্বৃত্তরা। আমি লজ্জিত হই। ভিতরে ভিতরে গুমরে মরি। সারা দেশে কায়েম করা হয় সন্ত্রাসের রাজত্ব। ওরা বলে, একমাত্র আমি ছাড়া আর কোনো দলের রাজনীতি করার অধিকার নাই। বিরোধী দলগুলোকে দানবীয় হাতে দমন করা হয়। আর সে কাজ সম্পন্ন করার জন্য তৈরি করা হয় একটি দানবীয় বাহিনী; যা ‘রক্ষীবাহিনী’ নামে ইতিহাসের কলঙ্কিত অধ্যায়ের অংশ হয়ে আছে। এত করেও শাসক শেখ মুজিবের স্বস্তি আসেনি। রাষ্ট্রক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার অভিপ্রায়ে তিনি নিলেন চরম স্বৈরতান্ত্রিক পন্থা। আজীবন গণতন্ত্রের পূজারি শেখ মুজিব হত্যা করলেন গণতন্ত্রকে। ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী পাস করে দেশের বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান ঘটিয়ে একদলীয় শাসনের প্রবর্তন করা হয়। সেই সঙ্গে ঘনিয়ে আসে আমার মৃত্যুর সময়। স্বাধীন বাংলাদেশে আমার মৃত্যু ঘটে মর্মান্তিকভাবে। আমি নিহত হই আমাকে লালনপালনকারী শেখ মুজিবের হাতে। ২৪ ফেব্রুয়ারি আমাকে কবরস্থ করে তার ওপর গড়ে তোলা হয় ‘বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ’ সংক্ষেপে ‘বাকশাল’। বলা হলো এটি একটি জাতীয় দল। বাস্তবে তা ছিল না। ওটা ছিল শেখ মুজিবুর রহমানের একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠার এক ব্যর্থ প্রয়াস। ব্যর্থ প্রয়াস বলছি এজন্য যে তাঁর সে উদ্যোগ সফলতা পায়নি। মন খারাপ হলেও আমার করার কিছু ছিল না। আমার যাঁরা নিয়ন্ত্রক, বিশেষত যিনি প্রধান নেতা, তিনি যখন আমাকে কবরস্থ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তখন তা ঠেকায় কার সাধ্যি? তবে মাত্র দুজন এর প্রতিবাদ করেছিলেন। একজন জেনারেল (অব.) এম এ জি ওসমানী ও অপরজন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার প্রতিবাদে তাঁরা সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন।  

আমি কবরস্থ হলাম। আমার কবরের ওপর নির্মিত হলো বাকশালের বহুতল ভবন। কবরে আমি, ওপরে বাকশাল। কষ্টের কথা কাউকে বলতেও পারছিলাম না। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর অন্যায়-অত্যাচার, জুলুম-নির্যাতনের প্রতিবাদ ও এ দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার নিয়ে যে আমি জন্মছিলাম তাকেই হত্যা করা হলো একটি গোষ্ঠীর ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার লক্ষ্যে। আর হত্যা করলেন সেই ব্যক্তিটি, আমার জন্ম-প্রক্রিয়ায় যাঁর কোনো অবদানই ছিল না। সম্ভবত নিজের প্রতিষ্ঠিত নই বলেই আমার গলায় ছুরি চালাতে তাঁর হাত কাঁপেনি। প্রসঙ্গত এখানে বলে রাখি, শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিষ্ঠিত কোনো রাজনৈতিক দল এখন আর নেই। তিনি যে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তাঁর মৃত্যুর পরে সেটা আর পুনর্জীবিত হয়নি। ১৯৭৬ সালে যখন প্রেসিডেন্ট বিচারপতি এ এম সায়েম-সরকার বাকশাল আইনের কতিপয় ধারা স্থগিত করে রাজনীতিকে মুক্ত করে দেয়, তখন বাকশালের লোকজন আবার আমাকেই কবর থেকে তুলে আনে। বাকশালকে তারা পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। অবশ্য আশির দশকে মহিউদ্দিন আহমদ ও আবদুর রাজ্জাক মিলে বাকশাল নামে একটি দল করেছিলেন, তবে তা বেশি দিন টেকেনি। ওই দলটি পরে আবার আমার দেহে লীন হয়েছে।

আজ মৃত্যুশয্যায় শায়িত যে আওয়ামী লীগকে আপনারা দেখেছেন, তা কিন্তু মওলানা ভাসানী প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগ নয়। আজকের আমি ১৯৭৬ সালে সায়েম-জিয়া সরকারের পিপিআরের (পলিটিক্যাল পার্টি রেগুলেশন্স) অধীনে নিবন্ধিত। বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের পত্নী বেগম জোহরা তাজউদ্দীন সে কঠিন সময়ে আহ্বায়ক হয়ে আমাকে সংগঠিত করেছেন। সে হিসেবে আমার বয়স এখন ৪৯ বছর।

তারপর অনেক সময় পেরিয়েছে। অনেক জল গড়িয়েছে পদ্মা মেঘনা যমুনা ব্রহ্মপুত্র বুড়িগঙ্গা ধলেশ্বরী দিয়ে। শেখ মুজিবের পতনের একুশ বছর পর আমি আবার মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছিলাম। অনেকেই  ভেবেছিলেন, ১৯৭২-৭৫ থেকে শিক্ষা নিয়ে আমার নামধারীরা সংযত হবে। আপনাদের মনে থাকার কথা, ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনা মাথায় কালো হিজাব পরে তসবিহ হাতে বকধার্মিক সেজে বলেছিলেন, ‘অতীতের ভুলত্রুটি-অপরাধ ক্ষমা করে আর একবারের জন্য আমাদের ক্ষমতায় যেতে দিন। ’ জনগণের একটি অংশ সম্ভবত তাঁর সেই করুণ কণ্ঠের আবেদনে বিভ্রান্ত হয়েছিল। তাই তারা নৌকায় ভোট দিয়েছিল। তবে একা সরকার গঠন করতে পারেননি শেখ হাসিনা। এরশাদের জাতীয় পার্টি ও জাসদের আ স ম আবদুর রবকে নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করেছিলেন তিনি।  

কথায় আছে, ‘ইল্লত যায় না ধুলে, আর খাসলত যায় না ম’লে’। আমার পতাকাধারীরা সেটা সত্যি প্রমাণ করল। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত বাহাত্তর-পঁচাত্তরের দুঃশাসনের পুনরাবৃত্তি হলো। অবশ্য এর ফল পেতে দেরি হয়নি। ২০০১ সালের নির্বাচনে ভরা গাঙে ডুবে যায় নৌকা। ক্ষমতায় আসে বিএনপি। এরপর নানা ষড়যন্ত্রের ফলে আসে ২০০৭ সালের জরুরি অবস্থা। তারপর অনেক ঘটনা-প্রতিঘটনা শেষে ২০০৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আবার ক্ষমতায় আসেন শেখ হাসিনা। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে তারা সংবিধান থেকে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে দেয়। একই সঙ্গে পুলিশ, র‌্যাব ও অন্যান্য সংস্থা সহযোগে বিরোধী দল, বিশেষত বিএনপির ওপর চালাতে থাকে নির্যাতনের স্টিমরোলার। পর্যুদস্ত বিএনপি তারপরও টিকে থাকে জনগণের সমর্থনের জোরে। ২০০৯ থকে ২০২৪ এর ৫ আগস্ট পর্যন্ত শেখ হাসিনা সরকার বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করতে এমন কোনো হীন পন্থা নেই, যা ব্যবহার করেনি।
অন্যদিকে চলে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ব্যাপক লুণ্ঠনযজ্ঞ। ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শীর্ষ পর্যায় পর্যন্ত আমার জার্সিধারী নেতা-কর্মী নামের কীটপতঙ্গরা মচ্ছব লাগিয়ে খেতে থাকে রাষ্ট্রীয় সম্পদ। এ যেন এক নতুন প্রজাতির ‘পঙ্গপাল’! পঙ্গপাল যেমন ঝাঁক বেঁধে ফসলের খেত সাবাড় করে দেয়, এরাও তেমনি দল বেঁধে গোটা দেশকেই গিলে খেতে শুরু করে। এ অপকর্মে পিছিয়ে থাকেননি আমাকে নেতৃত্বদানকারী শেখ হাসিনা স্বয়ং এবং তাঁর পরিবারের সদস্য-স্বজনরাও। একাধিক্রমে পনেরো বছর ক্ষমতায় থেকে এবং চোখে ক্ষমতার ঠুলির কারণে অদূরভবিষ্যতে শক্তিশালী কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী দল দেখতে না পেয়ে তারা হয়ে পড়ে লাগামছাড়া উন্মত্ত অশ্ব। সে অশ্বের ক্ষুরের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হতে থাকে জনজীবন। মানুষ মুখ ফুটে কিছু বলতে পারেনি। কিন্তু দুই হাত তুলে সৃষ্টিকর্তার কাছে ওই গজব থেকে পানাহ চেয়েছে। অবশেষে সৃষ্টিকর্তা তাদের প্রার্থনা কবুল করেছেন। শিক্ষার্থীদের সূচিত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন গণ অভ্যুত্থানে রূপ নিয়ে পতন ঘটায় হাসিনা সরকারের। শেখ হাসিনা পালিয়ে যান দেশ থেকে।

শেখ হাসিনা ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গের অপকর্মের কারণে আজ আমি অপাঙ্ক্তেয়। কেউ আমার পরিচয়ও দিতে চায় না। এমনকি অতীতে আমার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তা-ও স্বীকার করতে চায় না অনেকে। কেন এ অবস্থার সৃষ্টি হলো তার বিশদ ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। আজ দাবি উঠেছে আমাকে নিষিদ্ধ করার। এ যে কত বড় মর্মযাতনার তা বলে বোঝানো যাবে না। শুধু একটি কথা বলেই আজ বিদায় নিতে চাই, পিতা শেখ মুজিব আমাকে হত্যা করেছিলেন সংসদে আইন পাস করে। আর তাঁরই কন্যার কৃতকর্মের ফলে আমি আজ রাজনীতির আইসিইউতে জীবন্মৃত অবস্থায় পড়ে আছি। ভাবছি আমি কি আর সুস্থ হতে পারব, নাকি এখানেই পরিসমাপ্তি ঘটবে আমার জীবনের? ভবিতব্যই জানে সেটা।  

লেখক: সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক

বাংলাদেশ সময়: ১০০৮ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০২৫
এসআই


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।