ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১ জিলকদ ১৪৪৬

কৃষি

জয়পুরহাট চিনিকলের উৎপাদন বন্ধ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:২৩, জানুয়ারি ২০, ২০২৩
জয়পুরহাট চিনিকলের উৎপাদন বন্ধ

জয়পুরহাট: ৬৭৮ কোটি টাকা লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর দেশের বৃহত্তম চিনিকল ‘জয়পুরহাট সুগার মিলস্ লিমিটেড’ এর চলতি ২০২২-২৩ ইংরেজি মৌসুমের আখ মাড়াই শুরু হয়েছিল।  

কিন্তু মাড়াইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় আখ না পাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেল চিনিকলটি।

ফলে চিনি উৎপাদনের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না। ফলে এবারও জয়পুরহাট সুগার মিলকে বড় অংকের লোকসান গুণতে হবে।

চলতি মৌসুমে জয়পুরহাট সুগার মিলস্ লিমিটেডে ৩০ হাজার ১০০ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ১ হাজার ৮৬৬ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। এবার আখ থেকে চিনি আহরণের হার (রিকোভারি) ধরা হয়েছিল ৬ দশমিক ২০ শতাংশ।  

আখ মাড়াইয়ের জন্য মোট ২৫ কর্মদিবস চিনিকলটি চালু রাখার লক্ষ্যমাত্রাও নির্ধারণ করা হয়েছিল।

সেখানে এবার ১৯ কর্মদিবসে মোট ২৩ হাজার ১৬৯ দশমিক ১৬ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ১ হাজার ২০০ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন করা হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬৬৬ মেট্রিক টন কম।  

এবার আখ থেকে চিনি আহরণের হার মাত্র ৫ দশমিক ০৮ শতাংশ। যা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ দশমিক ১২ শতাংশ কম। ফলে সঙ্গত কারণে এবারও লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছে বৃহৎ এ চিনিকলটিকে।

জয়পুরহাট সুগার মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আখলাছুর রহমান জানান, জয়পুরহাট চিনিকলের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকা থেকে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আখ না পাওয়ায় চিনিকলের আখ মাড়াই নির্ধারিত সময়ের আগেই বন্ধ হয়েছে।

আখের গুড়ের চেয়ে চিনির দাম কম হওয়ায় এবং আখের চেয়ে অন্যান্য ফসলের চাষ বেশি লাভজনক হওয়াসহ নানা কারণে ২০ হাজার মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনক্ষম জয়পুরহাট চিনিকলের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেল।

উল্লেখ্য, প্রয়োজনীয় আখের অভাবে চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ক্রমাগত ব্যাহত হওয়ায় উত্তরাঞ্চলের এ বৃহৎ চিনি শিল্প ইউনিটটিকে প্রতি মৌসুমেই বিশাল অংকের লোকসান গুণতে হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২৩
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।