নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বোরো ধানের জমি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
শীতের হিমেল হাওয়া উপেক্ষা করে ভোরে কোদাল-কাস্তে হাতে মাঠে নেমে পড়ছেন কৃষকরা।
তবে কৃষক চিন্তিত- কনকনে শীত ও শৈত্যপ্রবাহে বোরো বীজতলা নষ্ট হওয়া ও কৃষি উপকরণের মূল্যবৃদ্ধির কারণ নিয়ে।
সরেজমিনে উপজেলার বোতলাগাড়ী, কামারপুকুর, কাশিরাম বেলপুকুর, বাঙ্গালিপুর ও খাতামধুপুর ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, কৃষি শ্রমিকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন, জমি প্রস্তুত করতে এখন ব্যস্ত তারা।
বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, কৃষক এখন ধানের চারা রোপণের জন্য জমি তৈরির কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। কেউ মই-কোদাল দিয়ে জমি প্রস্তুত করছেন। কেউ শ্যালো ইঞ্জিনচালিত পাওয়ার টিলার দিয়ে করছেন জমি চাষের কাজ। আবার কেউ জমিতে সেচ ও জমির আইল বাঁধছেন।
জানা গেছে, বর্তমান আবহাওয়া বোরো বীজ বোপনের উপযোগী থাকায় উপজেলার সব ইউনিয়নের কৃষকেরা বীজতলার কাজের পর এখন জমি তৈরি ও বীজ সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের শ্বাষকান্দর গ্রামের কৃষক লুৎফর রহমান বলেন, বোরো চাষের জন্য ৪ শতাংশ জমিতে বীজতলা তৈরি করেছি আগে। এখন মাঠ প্রস্তুত করছি। এবার ১ একর ২০ শতাংশ জমিতে বোরো চাষ করা যাবে। জমিতে চারা লাগাতে সব মিলিয়ে ২০-২৫ দিন সময় লাগবে।
একই কথা বলেছেন পার্শ্ববর্তী তালতলা গ্রামের কৃষক হাফিজুর রহমান।
সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অকির্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সালাহউদ্দিন বলেন, উপজেলায় এখনও বোরোর চারা রোপণের কাজ পুরোদমে শুরু হয়নি। তবে আগামী মাসের (ফেব্রুয়ারি) প্রথম সপ্তাহ থেকে উপজেলায় পুরোদমে বোরার চারা রোপণের কাজ শুরু হবে।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত সৈয়দপুরে ১৯৫ হেক্টর জমিতে বোরা ধানের চারা রোপণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পুরো বোরা আবাদ মৌসুমে অনুকূল আবহাওয়া বজায় থাকলে ও কীটপতঙ্গ এবং রোগ-বালাইয়ের আক্রমণসহ কোনো রকম প্রাকৃতিক বিপর্যয় না দেখা দিলে এবার উপজেলায় বোরে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২৩
এসআরএস