নীলফামারী: এবার আমন মৌসুমে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় এক ছটাক ধানও সংগ্রহ করতে পারেনি খাদ্যবিভাগ। তবে চাল সংগ্রহ হয়েছে আশানুরূপ।
উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার আমন মৌসুমে সরকারিভাবে উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের কৃষকদের কাছ থেকে ৪৪১ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আর চালকল মালিকদের কাছ থেকে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক হাজার ৬৩১ মেট্রিক টন। কৃষকদের কাছ থেকে প্রতি কেজি ধান ২৭ টাকা দরে এবং চালকল মালিকদের কাছ থেকে প্রতি কেজি চাল ৪২ টাকা দরে কেনার কথা।
গত ১৭ নভেম্বর উপজেলায় আমন ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমন মৌসুমের ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান চলবে। কিন্তু এতোদিনে এক ছটাক ধানও সংগ্রহ করতে পারেনি খাদ্যবিভাগ। তবে এসময়ের মধ্যে চাল সংগ্রহ হয়েছে এক হাজার ৩৯৩ মেট্রিক টন।
উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের কাশিরাম ব্রহ্মত্তর গ্রামের কৃষক হালিমদার রহমান বলেন, সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দিতে অনেক ঝুট-ঝামেলা পোহাতে হয়। নির্দিষ্ট আর্দ্রতা ছাড়া ধান নিতে চায় না খাদ্যবিভাগ কর্তৃপক্ষ। একেবারে শুকনো না হলে কখনোই ধান নিতে চান না তারা। খাদ্যবিভাগের নানা শর্ত পূরণ করে ধান দিতে গিয়ে ফিরে আসতে হয় অনেক সময়। আর সরকারি খাদ্যগুদামে ধান বিক্রি করতে গেলে পরিবহন ব্যয় তো আছেই।
তার প্রশ্ন, অনেক টাকা খরচ, পরিশ্রম ও কষ্ট করে ধান চাষাবাদের পর উৎপাদিত ধান বিক্রিতে এতো ঝুট-ঝামেলার মধ্যে কেন সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দিতে যাব? তাছাড়া বর্তমান বাজারের চেয়ে সরকারি সংগ্রহ মূল্য কম। তাই জমি থেকে ধান কাটা মাড়াইয়ের পরপর বাড়ির উঠান থেকেই সব বিক্রি করে দিয়েছি।
সৈয়দপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তৌহিদুর রহমান বলেন, আমন মৌসুমে সরকারি খাদ্য গুদামে কোনো ধান সংগ্রহ হয়নি। তবে চালকল মালিকদের কাছ থেকে রোববার পর্যন্ত এক হাজার ৩৯৩ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। বর্তমান বাজারে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ধানের দাম বেশি। তাই কৃষকেরা সরকার খাদ্যগুদামে ধান বিক্রি করতে আগ্রহী নন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৩
এসআই