ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

প্রচণ্ড খরায় শুকিয়ে যাচ্ছে মধুমতি চরের বাদাম গাছ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৮ ঘণ্টা, মে ৫, ২০২৩
প্রচণ্ড খরায় শুকিয়ে যাচ্ছে মধুমতি চরের বাদাম গাছ

মাগুরা: প্রচণ্ড রোদে ‍পুড়ে যাচ্ছে মধুমতির চরের বাদাম গাছ। ফলে নষ্ট হচ্ছে চরের শত শত বিঘার বাদাম, আর চাষিরা পড়েছেন চরম বিপাকে।

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় মধুমতি নদীর বুকে জেগে ওঠা চরের বিভিন্ন স্থানে এবার বাদামের প্রচুর আবাদ হয়েছে। বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে বাদম আবাদ করেছেন উপজেলার শতাধিক কৃষক।

তবে চলতি মৌসুমে প্রচণ্ড তাপদাহে পানির অভাবে শুকিয়ে গেছে  বাদম। দাবদাহ কেড়ে নিয়েছে বাদাম চাষীদের মুখের হাসি। খরার কারণে বাদামের উৎপাদন কমার আশঙ্কা করছেন অনেক কৃষক।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপজেলা কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলার রায়পুর, চরসলামতপুর, হরিনাডাঙ্গা, পাল্লা, চরপাল্লা ঝামা, রায়পাশা, চরঝামা, জাঙ্গালিয়াসহ অন্যান্য চরে চিনা বাদাম চাষ হয়েছে ৬০ হেক্টর জমিতে। কিন্তু তীব্র খরার কারণে ক্ষেতেই ফসল পুড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

রায়পুর ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মধুমতি নদীর চরের মধ্যে শত শত বিঘা জমিতে চিনা বাদাম আবাদ করা হয়েছে।   রায়পুর গ্রামের কৃষক মোকলেস মোল্লা জানান, ‘গত বছর তিনি এক একর জমিতে বাদাম চাষ করে ছিলেন। ভালো ফলন হওয়ায় এবার আবাদ করেছেন দুই একর জমিতে।   কিন্তু সময় মতো বৃষ্টি না হওয়ায় অধিকাংশ বাদাম গাছ রোদে পুড়ে গেছে। তাই লাভের পরিবর্তে এবার লোকসান গুণতে হবে। ’

হরিনাডাঙ্গা গ্রামের কৃষক সাবু মিয়া জানান, তারা দুই ভাই মিলে ৩০ শতাংশ জমিতে বাদাম চাষ করেছেন। খরচ হয়েছে প্রায় ৬ হাজার টাকা। কিন্তু বৃষ্টির অভাবে ক্ষেত শুকিয়ে বাদাম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

মাগুরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক  সুফি রফিকুজ্জামান বলেন, ‘চলতি মৌসুমে প্রচণ্ড খরা ও তাপদাহ অনুভূত হচ্ছে। খরার কারণে বাদামগাছ শুকিয়ে নুইয়ে পড়ছে। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় প্রচণ্ড খরা অনুভুত হয়েছে। শুধু বাদাম নয়, এ উপজেলায় ধান পাটসহ অন্যান্য ফলের ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তবে আমরা আশা করছি কৃষিক এই খরা কাটিয়ে উঠতে পারবে। আমরা কৃষি বিভাগ সব সময় তাদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, মে ৫, ২০২৩
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।