বরিশাল: জমির এক অংশ থেকে তোলা হচ্ছে সবজি, আরেক অংশে নতুন করে রোপণ হচ্ছে চারা। একদিকে সবজির বাগান, অন্যদিকে কুল ও থাই মাল্টার বাগান।
এভাবেই পরিকল্পিতভাবে মিশ্র পদ্ধতিতে সবজি ও ফলের বাগান করে সফলতা পেয়েছেন বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সবজির গ্রাম হিসেবে পরিচিত খাঞ্জাপুরের এইচ এম কামাল হোসেন। পেশায় তিনি একজন স্কুলশিক্ষক।
এই প্রতিবেদক সম্প্রতি গিয়ে দেখতে পান, কামাল হোসেনের ক্ষেতের একপাশে সারিবদ্ধ সবজি গাছে শোভা পাচ্ছে বেগুন, শসা, করলা ও পেঁপে। আরেক পাশে শ্রমিকেরা রোপণ করে যাচ্ছেন লাউ, কুমড়া, টমেটো ও বোম্বাই মরিচের গাছ।
এ ছাড়াও রয়েছে কমলা ও থাই মাল্টার বাগান। সবজি গাছের সারির মধ্যে আবার উঁকি দিচ্ছে লাল শাক ও পালং শাক। ইতোমধ্যে পাইকারি ও খুচরা বাজারে বিক্রি শুরু হয়েছে তার জমির বেগুন, শসা, করলা, পেঁপে, লাল শাক ও পালং শাক।
কথা বলে কামাল হোসেন বলেন, ছোটবেলা থেকে কৃষি কাজের প্রতি আগ্রহী হওয়ার কারণে শিক্ষকতার পাশাপাশি গত চার বছর ধরে সবজি, কুল ও থাই মাল্টার বাগান শুরু করি। এ জন্য নিজের দুই একর জমির সঙ্গে আরও তিন একর জমি লিজ নিই।
তিনি বলেন, আগে ধারণা কম থাকলেও কৃষি অফিসের মাঠ কর্মকর্তাদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ নিয়ে সঠিক সময়ে চাষপদ্ধতি শিখে ফেলি। এ কারণে সবজিসহ ফল বাগান করে সফলতা পেয়েছি।
তিনি আরও বলেন, খামার তৈরি, সবজির বীজ-চারা কেনা, শ্রমিকদের মজুরিসহ সব মিলিয়ে বছরে ১০ লাখ টাকা খরচ হয়। খরচ বাদ দিয়েও সব মিলে মাসে লাখ টাকা আয় হয়।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা দীপংকর বাড়ৈ বলেন, কামাল হোসেন শিক্ষকতার পাশাপাশি খাঞ্জাপুর গ্রামের একজন আদর্শ কৃষক হিসেবে পরিচিত। সবজি ও ফল বাগান করে তিনি সফলতা পেয়েছেন। তাকে অনুসরণ করে অনেকেই এখন সবজি ও ফল বাগান করতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সেকেন্দার শেখ জানান, নতুন কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি করার জন্য উপজেলা কৃষি অফিস সার্বিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মাঠপর্যায়ে কৃষকদের পাশে থেকে পরামর্শ দেওয়ার জন্য মাঠ কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন। এ কারণে সঠিক সময়ে কৃষকদের সঠিক পরামর্শ দেওয়ায় আগের চেয়ে বর্তমানে কৃষিকাজ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষক।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২৪
এমএস/আরএইচ