ঢাকা, সোমবার, ২৭ মাঘ ১৪৩১, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ শাবান ১৪৪৬

কৃষি

নতুন উদ্ভাবিত ব্রি ধান-১০৯ চাষে ভাগ্য বদলাবে কৃষকের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৫
নতুন উদ্ভাবিত ব্রি ধান-১০৯ চাষে ভাগ্য বদলাবে কৃষকের

বরিশাল: সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী আমনের মৌসুমে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণায় সাফল্য পাওয়া ব্রি ধান-১০৯ মাঠ পর্যায়ে চাষাবাদ হতে যাচ্ছে।

যে ধানের জাতে হেক্টর প্রতি ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ টন।

 

আর মোটা দানার ধান হওয়ায় এর চাল খেতেও বেশ সুস্বাদু হবে বলে জানিয়েছেন ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহম্মদ আশিক ইকবাল খান।

তিনি বলেন, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণায় সাফল্য পেয়েছে ব্রি ধান-১০৯ জাতটি। এরই মধ্যে বীজ উৎপাদনের জন্য এ ধানের চাষাবাদ হয়েছে। আগামী আমন মৌসুম অর্থাৎ আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে অলবণাক্ত এলাকায় কৃষক পর্যায়ে এ ধানের আবাদ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, যেখানে সাধারণ ধানের প্রতি ১ হাজার দানার ওজন ২২-২৩ গ্রাম সেখানে নতুন এই জাতের প্রতি ১ হাজার ধানের দানার ওজন ৩১ গ্রাম। অর্থাৎ কৃষকরা চাষাবাদে লাভবান হবেন।

এছাড়া নতুন উদ্ভাবিত এ ধানের গাছ ১৩০-১৮০ সেন্টিমিটার লম্বা হওয়ায় জোয়ারের পানিতে টানা ২১ দিন যেমন বেঁচে থাকে, তেমনি ফসল পরিপক্ব হয়ে ১৪৫-১৪৭ দিনের মধ্যে কাটা যায়।

ড. মুহম্মদ আশিক ইকবাল খান বলেন, ব্রি ধান ১০৯ জাতের গাছ বেশ শক্ত তাই স্থানীয় জাতের মতো হেলে পড়ার সম্ভাবনা নেই। আবার স্থানীয় জাত সার তেমনভাবে সহ্য করতে না পারলেও এ জাতটি তা পারবে। যদিও অতিরিক্ত সারের প্রয়োজন নেই, তবে সার-এ ফলন বৃদ্ধি পাবে।  

এদিকে এ ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকলে মাঠপর্যায়ে কৃষকরা ব্রি ধান-১০৯ চাষে আগ্রহী হবেন বলে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।  

কৃষকরাও বলছেন একই কথা।  

বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার বাসিন্দা ও কৃষক সুলতান হাওলাদার বলেন, যদি জোয়ারের পানিতে ধান গাছের ক্ষতি না হয় এবং বড় হয়ে হেলে না পরে তাহলে সেটি চাষে আগ্রহী হওয়াটা স্বাভাবিক। কারণ আমাদের এ অঞ্চলে ধান গাছের বেড়ে ওঠার জন্য এই দুটি বড় সমস্যা। সেইসঙ্গে উৎপাদন বৃদ্ধি ও চাষাবাদে খরচ কম হলে কৃষকরা লাভবান হবেন। তাই নতুন এ জাতের ধান চাষে কৃষকদের মাঝে সাড়া পাবে বলে মত তার।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৫
এমএস/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।