ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

বগুড়ায় দু’ দফা বন্যায় ৫০০ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৭
বগুড়ায় দু’ দফা বন্যায় ৫০০ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি  বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ফসলি জমি-ছবি-আরিফ জাহান

বগুড়া: আশির্বাদের যমুনা এবার কৃষকদের জন্য সর্বনাশ ডেকে এনেছে। পরপর দু’দফা বন্যায় কৃষকদের কোমর ভেঙে দিয়েছে। ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই বাঙালি নদীর পানি তলিয়ে দিয়েছে কৃষকের শত শত বিঘা ফসলি জমি।

গেল জুলাইয়ে একদফা আঘাত হানে বন্যা। এরপর দ্বিতীয়দফা আঘাত হানে আগস্টে।

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে পানিতে যমুনার পেট ভরে ওঠে। সময়ের ব্যবধানে সেই পানিতে তলিয়ে যায় ফসলি জমি।
 
এদিকে দ্বিতীয়দফায় যখন যমুনার পানি কমতে শুরু করে তখন বাঙালির পানি বাড়তে থাকে হু হু করে। যমুনার প্রভাবে সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার যমুনা তীরবর্তী ফসলি জমি তলিয়ে যায়।
 
আর বাঙালির প্রভাবে বগুড়ার এ তিনটি উপজেলা বাদে বাকি ৯টি উপজেলার কমবেশি ফসলি জমি তলিয়ে যায়। সবমিলে দু’দফা বন্যায় প্রায় ৫শ’ কোটি টাকার ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়।
 
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
 
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয়দফা বন্যায় যমুনা ও বাঙালি নদীর পানিতে এ জেলার প্র্রায় ৩৯ হাজার হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে নষ্ট হয়েছে। এতে জেলার ১২ উপজেলার প্রায় সাড়ে ৪শ’ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি হয়। এতে সরাসরি ক্ষতির মুখে পড়েছে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার কৃষক পরিবার।  

প্রথমদফা বন্যায় জেলার সারিয়াকান্দি, ধুনট ও সোনাতলা উপজেলায় ৩ হাজার ৭শ’৫ হেক্টর আবাদি জমির ফসল তলিয়ে যায়।

এরমধ্যে রোপা-আউশের জমি ১ হাজার ৫৮০ হেক্টর, পাট ১ হাজার ৯৫৯ হেক্টর, আমন বীজতলা ৫২ হেক্টর, শাকসবজি ৯৮ হেক্টর, মরিচ ১৫ হেক্টর ও আখ ১ হেক্টর।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ফসল-ছবি-আরিফ জাহান
এতে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হোন এই তিন উপজেলার ২৪ হাজার ২৫টি কৃষক পরিবার। যার আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৫ কোটি ১১ লাখ ৬৬ হাজার ৪শ’ টাকা।

হাফিজুর রহমান, তৌহিদুল ইসলামসহ একাধিক কৃষক বাংলানিউজকে জানান, বিগত বছরগুলোতে বন্যা নিয়ন্ত্রণের বাঁধের পশ্চিমের এলাকায় তেমন একটা প্রভাব পড়তো না। কিন্তু এবার বাঙালি নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় বাঁধের পশ্চিমের উপজেলাগুলোর ফসলি জমি বন্যায় তলিয়ে গেছে।  

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ প্রতুল চন্দ্র সরকার বাংলানিউজকে জানান, ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ১ লাখ কৃষকের জন্য ১০ কোটি টাকা প্রণোদনা চেয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রণোদনা পাওয়া সাপেক্ষে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসনে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে কৃষি বিভাগ যোগ করেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।   

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৭
এমবিএইচ/আরআর
  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।