মঙ্গলবার সকালে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজলার কচুবাড়ীয়া গ্রামের একটি তামাকের বীজতলার (বেড) দৃশ্য এটি।
আইয়ূব আলী নামের এক কৃষককে দেখা যায় নিড়ানী দিয়ে আগাছা পরিষ্কার করতে।
চাষি দুলাল মণ্ডল বলেন, তামাকের বীজতলা তৈরি থেকে শুরু করে বিক্রি পর্যন্ত পরিশ্রম করতে হয়। বীজতলা, ঝাঁঝরি দিয়ে সেচ দেয়া, খরকুটা দিয়ে মালচিং দেয়া, কুয়াশা ও রোদে যাতে বীজতলা নষ্ট না হয় তার জন্য উপরে পলিথিনের ছাউনি দেয়া, ছত্রাকনাশক দেয়া, চারা পালতলাকরণ আরো অনেক কিছু। দিনে দুই বেলা (সকাল আর বিকেল) পানি দিতে হয় তামাক খেতে। একটি তামাকের বেডে ৩০-৫০ হাজার চারা থাকে। বিঘাপ্রতি চারার প্রয়োজন হয় ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার। হাজার প্রতি চারার বাজার মূল্য ১২০-১৫০ টাকা।
তিনি জানান, বিভিন্ন তামাক কোম্পানি বীজ ফ্রি দেয়। তবে পলিথিন, ঝাঁঝরি ও ছত্রাকনাশক কিনতে হয়।
রোমেল হোসেন (১৭), পেশাগত চাষি না। সে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। সকালটা শুরু হয়েছে তার তামাকের বীজতলায় কাজ দিয়ে। এবছর নতুন চাষি হিসেবে তামাক চাষ করার জন্য বীজতলা করেছে। তাই সে বীজতলার পরিচর্যা করার জন্য সকাল সকাল খেতে এসেছে।
মিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমেশ চন্দ্র ঘোষ বাংলানিউজকে বলেন, তামাক চাষের জন্য কৃষক যে পরিমাণ শ্রম ও সময় ব্যয় করে তা যদি অন্য ফসল যেমন মসুর, সরিষা, গম চাষে ব্যয় করতো তাহলে অল্প পরিশ্রমেই বেশি লাভবান হতো। এজন্য আমরা কৃষকদের তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৮ ঘণ্টা, ১৭ অক্টোবর, ২০১৭
আরএ