ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

ভোলায় শিমের বাম্পার ফলন, যাচ্ছে ‍অন্য জেলায়

ছোটন সাহা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৭
ভোলায় শিমের বাম্পার ফলন, যাচ্ছে ‍অন্য জেলায় ছবি-বাংলানিউজটোয়েটিফোর.কম

ভোলা: এ বছর ভোলায় শিমের বাম্পার ফলন হয়েছে। এছাড়া বিগত বছরের তুলনায় শিমের বাজার দর ভালো থাকায় লাভবান হচ্ছেন কৃষক। এসব শিম জেলার বাজার ছাড়িয়ে চলে যাচ্ছে বাইরের জেলাগুলোতে। এতে একদিকে শিম চাষে আগ্রহ বেড়েছে অন্যদিকে আর্থিক সচ্ছলতা বৃদ্ধি পেয়ে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।

শিম চাষিরা জানান, মাটি ও আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এ মৌসুমে দ্বীপজেলা ভোলায় শিমের ভালো ফলন হয়েছে। বিশেষ করে ভোলা সদর, বোরহানউদ্দিন ও চরফ্যাশন উপজেলায় ব্যাপকহারে শিমের আবাদ হয়েছে।

কৃষকের বিস্তীর্ণ ফসলের ক্ষেতে শিমের সমারোহ। ক্ষেত পরিচর্যা, শিম তোলা ও বাজারজাত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষাণ-কিষাণিরা। অল্প বৃষ্টি এবং ঘন কুয়াশা পড়লেও ফলনের কোনো ক্ষতি হয়নি বলে জানালেন তারা।

ভোলা সদরের কোড়ালিয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায় শিমের সমারোহ। প্রতি বছরের মতো এ বছরও সেখানে পাঁচ শতাধিক চাষি শিমের আবাদ করছেন। ক্ষেত থেকে শিম তোলা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
 
শিম চাষি গৌতম বলেন, প্রতি বছরই তিনি শিমের চাষ করেন। এ বছর ৭০ হাজার টাকা খরচ করে এক একর জমিতে শিম আবাদ করেছেন, শিম বিক্রি করে ২ লাখ টাকা লাভ হবে বলে জানান তিনি।

ছবি-বাংলানিউজটোয়েটিফোর.কমশিম চাষি মাহমুদ বলেন, সোয়া একর জমিতে শিম চাষ করেছি, উৎপাদন খরচ হয়েছে এক লাখ টাকা। এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার টাকার শিম বিক্রি হয়েছে, এখনও ২ লাখ টাকার শিম বিক্রি হবে বলে আশা করছি।
 
শিম চাষি শহিদ জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর শিমের বাজার দাম অনেক ভালো, গত বছর এসময় কেজি প্রতি শিম বিক্রি হয়েছে ১৫/১৬ টাকা কিন্তু এ মৌমুমের শুরুতেই দাম পাওয়া যাচ্ছে ৩০/৩২ টাকা। তাই অনেকেই বেশ খুশি। উৎপাদন খরচ পুষিয়ে বেশি দামে শিম বিক্রি করতে পেরে খুশি তারা। এসব শিম চলে যাচ্ছে বাইরের জেলাগুলোতেও।

দক্ষিণ দিঘলদী গ্রামের সমাজসেবক কামাল হোসেন জানান, কোড়ালিয়া গ্রামে অনেক বেশি শিম চাষ হয়, স্থানীয় অনেক চাষি শিমের আবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন, তারা অনেকটা সচ্ছল হয়ে উঠেছেন।  

স্থানীয় চাষিরা জানান, এখানকার শিম ভোলার বাজার ছাড়িয়ে চলে যাচ্ছে বরিশাল, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীসহ বিভিন্ন জেলায়। শিম চাষ করে নিজেদের ভাগ্য বদল করছেন চাষিরা। ফল ভালো হওয়ায় হেক্টর প্রতি ৫শ’ মণ করে শিম উৎপাদন হচ্ছে বলে জানালেন শিম চাষিরা।

দক্ষিণ দিঘলদী ইউপি চেয়ারম্যান ইফতেখারুল আলম স্বপন বলেন, দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের কোড়ালিয়া গ্রামে শিম চাষে নিরব বিপ্লব চলছে। এখানকার চাষিরা শিমের আবাদ করে নিজেদের ভাগ্য বদল করেছেন।

ছবি-বাংলানিউজকৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, ভোলায় সজ্জন পদ্ধতিতে শিমের আবাদ হওয়ায় ফলন অনেক ভালো, তাই দিন দিন শিম চাষে ঝুঁকে পড়ছেন এই এলাকার চাষিরা।  

জেলায় এ বছর ১ হাজার হেক্টর জমিতে শিমের আদায় হয়েছে। আগামীতে আবাদ আরো বাড়তে পারে বলে মনে করছেন চাষিরা।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৬ ঘণ্টা, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।