ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

কৃষি

মাটি ছাড়া সবজি উৎপাদনে কৃষকের সফলতা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৫৮ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০১৮
মাটি ছাড়া সবজি উৎপাদনে কৃষকের সফলতা কৃষক ওসমান গনি। ছবি/বাংলানিউজ

নীলফামারী: কোকো ডাস্ট এবং প্লাস্টিক ট্রে ব্যবহারের মাধ্যমে মাটি ছাড়াই উন্নত সবজির চারা উৎপাদনে সফলতা পেয়েছেন নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বালাপাড়া গ্রামের কৃষক ওসমান গনি।

সরেজমিনে দেখা যায়, কোকো ডাস্ট ব্যবহার করে কেঁচো সারের সমন্বয়ে মাটি ছাড়াই সবজির চারা উৎপাদন করা হচ্ছে প্লাস্টিক ট্রে তে। এ প্রযুক্তিতে চারা পুরো শিকড় পেচিয়ে নেয় এতে শিকড়ের কোনো ক্ষতি হয়না।

এই চারা জমিতে লাগানোর পরপরই খাদ্য গ্রহণ শুরু করে। আধুনিক এ পদ্ধতিতে তৈরি হাউজের চারপাশে নেট দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। যেখানে পর্যাপ্ত আলো বাতাস প্রবেশ নিশ্চিত হয় এবং ক্ষতিকারক পোকামাকড় থেকে সবজির চারাগুলো রক্ষা পায়। এছাড়া পলিথিন দিয়ে তৈরি করা হয়েছে হাউজের চাল। এ কারণে তাপ নিয়ন্ত্রণ ও ঝড়-বৃষ্টি থেকেও চারাগুলো থাকে নিরাপদে।

কৃষক ওসমান গনি বাংলানিউজকে বলেন, মাটিতে চারা উৎপাদন করলে আবহাওয়ার কারণে চারা উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটতো। ২০১৭ সালে সেলফ-হেল্প অ্যান্ড রিহেবিলিটেশন প্রোগ্রাম (শার্প)-এর শরণাপন্ন হলে শার্পের কেজিএফ কর্মসূচির আওতায় কৃষি সেবা কেন্দ্র ও সবুজ নার্সারি বাস্তবায়নে পল্লীকর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর সহযোগিতায় ১০ শতক জমিতে সবজি নার্সারি গড়ে তুলি। আধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে ১০ শতক জমির ওপর গ্রিন হাউজের আদলে তৈরি করি নেট হাউজ। এতে অল্প খরচে বিভিন্ন সবজি চারা যেমন- বেগুন, মরিচ, টমেটো, কফি, চাল কুমড়া, লাউ, করলা, পেঁপে, ঢেঁড়স, খিরা ইত্যাদি সবজির চারা উৎপাদন করা যায়। এছাড়াও গোলাপ, গাধাঁ, অর্কিড, অ্যান্ধরিয়াম, চন্দ্র মল্লিকা ফুলের চারাও উৎপাদন করা হয়।

 প্লাস্টিকের ট্রে-তে সব্জির চারা উৎপাদন করা হচ্ছে।  ছবি/বাংলানিউজএ বিষয়ে শার্পের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর (কৃষি) মো. করিম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, মাটিবিহীন চারা উৎপাদনে কৃষক লাভবান হচ্ছে। উন্নত প্রযুক্তির কৃষি পণ্য উৎপাদন ও বাজার সংযোগের সমন্বিত সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে কৃষকদের ফসল বিক্রি করা হয়। এজন্য ওই এলাকাতেই শার্পের উদ্যোগে গড়ে উঠেছে সেবা কেন্দ্র। এখানে বাজারজাত করার জন্য কৃষক ও পাইকাররা তাদের উন্নত সবজি ও চারা ক্রয়-বিক্রয় করতে পারেন।

সেলফ-হেল্প অ্যান্ড রিহেবিলিটেশন প্রোগ্রাম (শার্প)-এর নির্বাহী প্রধান মো. মাহবুব-উল-আলম বাংলানিউজকে বলেন, এ অঞ্চলের কৃষকরা কোকো ডাস্ট ব্যবহার করে প্লাস্টিক ট্রে তে উৎপাদিত সবজির চারার নতুন জাত উদ্ভাবন করেছেন। উন্নত প্রযুক্তিতে উৎপাদিত এসব সবজির চারা খুবই মানসম্মত। পোকা মাকড় বা কীটনাশক মুক্ত। এতে কৃষকও লাভবান হচ্ছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৭ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০১৮
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।