সাত সকালে আলুর জমিতে নেমেছেন মকবুল হোসেন ও আমজাদ হোসেন। সেই থেকে ক্ষেতের আগাছা পরিষ্কারে সমানতালে চালাচ্ছিলেন পাঁচুন।
বগুড়া সদর উপজেলার নাড়িপাড়া ও শেখেরকোলা ইউনিয়নের ভাণ্ডার পাইকার এবং গুপিজানি এলাকায় আমজাদ হোসেনের আলুর ক্ষেতে কাজ করেন তারা।
এসব শ্রমিকরা বাংলানিউজকে জানান, প্রায় ৬ বিঘা জমিতে চলতি মৌসুমে অ্যালিভেরি জাতের আলুর চাষ করেছেন মালিক আমজাদ হোসেন। এসব জমির আগাছা দমনে তারা দিনমজুরের কাজ করছেন। বিনিময়ে দিনশেষে তারা ২৫০-৩০০ টাকা পেয়ে থাকেন। যা দিয়ে চলে তাদের সংসার।
রোপা-আমন মৌসুমের ধান কাটা মাড়াইয়ের পর বগুড়া জেলার ১২টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চলতি মৌসুমের আলু লাগানো শুরু করেছেন কৃষকরা। যেসব জমির ধান আগে কাটা হয়েছে সেসব জমিতে আগে আলু লাগানো হচ্ছে।
বগুড়া সদর উপজেলার ভাণ্ডার পাইকার, গুপিজানি, মহিষাবাতান, গোকুল, নাড়িবাড়ী, শেখেরকোলা, বাঘোপাড়াসহ জেলার কয়েকটি উপজেলার ঘুরে আলু লাগানো ও আলুর জমি পরিচর্যার বিভিন্ন কর্মযজ্ঞের চিত্র উঠে আসে।
সরেজমিনে দেখা যায়, অনেক কৃষক আলুর জমি প্রস্তুত করছেন। অনেকে প্রস্তুতকৃত জমিতে আলু লাগাচ্ছেন। অনেকেই আবার ক্ষেতের আলুর গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ কেউ জমিতে প্রয়োজন মতো সেচ দিচ্ছেন।
আলু চাষের দিক দিয়ে জেলার সদর, শিবগঞ্জ, শেরপুর, নন্দীগ্রাম, শাজাহানপুর, গাবতলী উপজেলা এগিয়ে। এছাড়া জেলার অন্যান্য উপজেলায়ও কমবেশি আলু চাষ করা হয়ে থাকে। চলতি মাসের শেষ নাগাদ আলু লাগানোর কার্যক্রম চলবে বলেও জানান চাষিরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালকের কার্যালয়ের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক বাবলু সূত্র ধর বাংলানিউজকে জানান, চলতি মৌসুমে এ জেলায় ৬৫ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৩৯ হাজার ২৭০ হেক্টর জমিতে আলু লাগানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ জেলার কৃষকরা সাধারণত অ্যাস্টারিকা, কার্ডিনাল, ডায়মন্ড, রোমান, অ্যালিভেরি জাতের আলু চাষ করেছেন। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু করে ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ আলু চাষ করা যাবে। আর আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনসহ আলুর ফলনও ভালো হবে বলে আশাবাদী কৃষি বিভাগের এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৮
এমবিএইচ/জেডএস