ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

কৃষি

কাঁচা পাট রপ্তানিতে সরকার বাধা দেবে না

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৯
কাঁচা পাট রপ্তানিতে সরকার বাধা দেবে না বক্তব্য রাখছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: কাঁচা পাট রপ্তানিতে সরকার বাধা দেবে না বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।

তিনি বলেন, পাট শিল্পের সমস্যা সমাধানে সরকার সচেষ্ট রয়েছে। দেশীয় সংস্কৃতি ধারণ ও পরিবেশবান্ধব পাটজাত সামগ্রীর ব্যবহার বাড়ানোর মাধ্যমে পাটের সোনালি সুদিন ফিরিয়ে এনেছে সরকার।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ কথা বলেন।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. খুরশীদ ইকবার রেজভী, বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএ) সভাপতি শেখ সৈয়দ আলী, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যন আরজু রহমান ভূঁইয়া, বিজেএ’র সাবেক সভাপতি মো. রেজাউল করিমসহ বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা।

বৈঠকে পাটখাতে বিভিন্ন সমস্যা, সম্ভাবনা, উন্নয়ন পরিকল্পনা ও এর বাস্কবায়ন অগ্রগতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধি, দেশের অভ্যন্তরের পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি, পাটের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ ও পরিবেশ রক্ষায় সরকার কাজ করে যাচ্ছে। পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ শতভাগ ও সুষ্ঠু বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের সুদক্ষ নেতৃত্বে ও পরিচালনায় পাটশিল্পে প্রাণের সঞ্চার করেছে। এ অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার দেশের অভ্যন্তরে ১৯টি পণ্য মোড়কীকরণের ক্ষেত্রে পাটের ব্যাগ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

তিনি বলেন, পাট শিল্পের নানামুখী সমস্যা সম্পর্কে সরকার সচেতন রয়েছে। বর্তমান সরকারের গৃহিত নীতিমালা ও পরিকল্পনাকে কাজে লাগিয়ে পাটখাতের রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণ, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন , পরিবেশ রক্ষা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ, সুখী এবং উন্নত জাতিতে পরিণত করা এবং বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে এ মন্ত্রণালয় সফল হবে।

গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পাটকে বিশ্ব বাজারে তুলে ধরতে জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) এ ২৮০ ধরনের পাটপণ্যের স্থায়ী প্রদর্শনী ও বিক্রয়কেন্দ্র চালু হয়েছে। পরিবেশবান্ধব পাটের ব্যবহার বহুমুখীকরণ ও উচ্চমূল্য সংযোজিত পাটপণ্য উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও ব্যবহার বাড়ানোর লক্ষ্যে পাট কাঠি থেকে চারকোল, পাটপাতার পানীয়সহ নতুন নতুন বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে জোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৯
জিসিজি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।