ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

মান্নান ছিলেন কৃষি পরিবারের পরম বন্ধু: কৃষিমন্ত্রী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২০
মান্নান ছিলেন কৃষি পরিবারের পরম বন্ধু: কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা: বরেণ্য কৃষিবিদ ও সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নানের মৃত্যুতে কৃষিক্ষেত্রে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে, যা সহজে পূরণ হওয়ার নয়। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের কৃষি পরিবারের এক পরম বন্ধু। তার মৃত্যুতে দেশ একজন বরেণ্য রাজনৈতিক নেতাকে হারালো। 

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটরিয়ামে কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে একথা বলেন কৃষিমন্ত্রী ড. ড. আব্দুর রাজ্জাক।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একজন শক্তিশালী সংগঠককে হারালো। কৃষক হারালো তাদের আত্মার আত্মীয়কে। তিনি এদেশের কৃষি, কৃষক ও কৃষিবিদদের পক্ষের একজন নিবেদিত প্রাণ মানুষ হিসেবে সর্বত্র সমাদৃত ছিলেন।  

কৃষিমন্ত্রী বলেন, স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তার ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রকৃতির আন্দোলনেও তার বলিষ্ঠ ভূমিকা ছিল। কৃষক ও কৃষিবিদদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া এবং ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। বহুতল কেআইবি কমপ্লেক্সের জমি ও নির্মাণ কাজে তার অনন্য অবদান ছিল। ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধে এবং ৭৫ পরবর্তী সময়ে স্বৈরশাসক জিয়ার বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন আবদুল মান্নান।  

‘জিয়া-এরশাদকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে দেননি এ লড়াকু ছাত্রনেতা। যতদিন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থাকবে, ছাত্র রাজনীতি থাকবে, কৃষক ও কৃষি থাকবে, ততদিন উচ্চারিত হবে আবদুল মান্নানের নাম। আবদুল মান্নান বেঁচে থাকবেন কৃষক ও কৃষিবিদদের অন্তরে আজীবন। ’

সভাপতির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মরহুম আব্দুল মান্নান সংসদ সদস্য হিসেবে অত্যন্ত দক্ষতা ও সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। বিগত ৮০-এর দশকের তুখোড় এ ছাত্রনেতা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও পরবর্তীকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (বাকসু)-এর ভিপি ছিলেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, এপিএ পুলের সদস্য ড. সাত্তার মন্ডল, আওয়ামী লীগ নেতা বদিউজ্জামান বাদশা ও ড. আওলাদ হোসেন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো. জাকির হোসেন মরহুম আব্দুল মান্নানের জীবনী আলোকপাত করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২০
এসএমএকে/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।