ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

মৌসুমি ফল বিনা মাশুলে রাজধানীতে পৌঁছে দিচ্ছে ডাক বিভাগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫১ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২০
মৌসুমি ফল বিনা মাশুলে রাজধানীতে পৌঁছে দিচ্ছে ডাক বিভাগ

ঢাকা: দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রান্তিক কৃষকদের উৎপাদিত মৌসুমি ফল রাজধানীর পাইকারি বাজারে পৌঁছে দিতে বিনা মাশুলে ফল পরিবহন সেবা দিচ্ছে ডাক অধিদপ্তর।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার আজ খাগড়িছড়িতে বিনা মাশুলে প্রান্তিক কৃষকদের উৎপাদিত ৪০ হাজার লিচু পরিবহনের মাধ্যমে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

শনিবার (৩০ মে) ঢাকায় বেইলি রোডের সরকারি বাসভবন থেকে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাসের সঙ্গে টেলিকনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে খাগড়াছড়ি থেকে বিনা মাশুলে রাজধানীতে মৌসুমি ফল পরিবহন সেবা উদ্বোধন করেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব নূর-উর-রহমান এবং ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এসএস ভদ্র জুম ভিডিওতে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন। বিনা মাশুলে কৃষিপণ্য পরিবহনে ডাক অধিদপ্তরের কৃষকবন্ধু কর্মসূচির পর ফল পরিবহনে নতুন এই সেবাটি চালু করা হয়। মন্ত্রীর নির্দেশে ডাক অধিদপ্তর সেবাটি চালু করে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ এ সৃষ্ট বৈশ্বিক এই সংকটকালে জনগণের জন্য অত্যাবশ্যকীয় সেবাসমূহ সহজতর করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে সরকার  গত ৯ মে থেকে কৃষকবন্ধু ডাক সেবা চালু করেছে। এছাড়াও বিনা মাশুলে করোনা চিকিৎসা উপকরণ পিপিই ও কিট দেশব্যাপী সিভিল সার্জন কার্যালয় সমূহে দ্রুত পৌঁছানোসহ নিরবচ্ছিন্ন ডাক সেবা নিশ্চিত করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় কোভিড-১৯ জনিত লকডাউনে নগরবাসীর দৌড়গোড়ায় ডাক সেবা পৌঁছে দিতে ভ্রাম্যমাণ ডাকঘরের কার্যক্রম গত ২৭ এপ্রিল থেকে শুরু করা হয়।

তিনি বলেন, নতুন এই সেবার আওতায় ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে কৃষক ঘরে বসেই তার বিক্রয়লব্ধ পণ্যের টাকা পেয়ে যাবেন। এরফলে কোন মধ্যস্বত্বভোগী ছাড়াই কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাবেন। দেশব্যাপী ডাক পরিবহনে ব্যবহৃত রাজধানী ফেরত ডাক অধিদপ্তরের গাড়িগুলো কৃষকের উৎপাদিত পণ্য পরিবহনে ব্যবহার করা হবে। এতে সরকারের অতিরিক্ত কোনো খরচেরও প্রয়োজন হবে না। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে এই সেবা চালু করা হবে।

সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে খাগড়াছড়ি প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন- খাগড়াছড়ি জেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোরতজা আলী, খাগড়াছড়ি রাঙামাটি সার্কেলের ডিপিএমজি মোস্তাফা কামাল, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মুক্তা চাকমা, খাগড়াছড়ির পোস্ট মাস্টার অরুন বিকাশ চাকমা এবং কৃষক প্রতিনিধি দীনেশ ত্রিপুরা।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৮ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২০
জিসিজি/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।