ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

কৃষি

বাংলাদেশে খাদ্য পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে: এফএও

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০২০
বাংলাদেশে খাদ্য পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে: এফএও ...

ঢাকা: মানুষের চাহিদা পূরণের জন্য বাংলাদেশে পর্যাপ্ত চাল, গম, আলু, ডাল ও ভুট্টার মজুদ রয়েছে। বর্তমানে চালের যে মজুদ আছে তা দিয়ে চলতি ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।

সোমবার (০৫ অক্টোবর) জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের (এফএও) সহযোগিতায় প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) আয়োজিত ‘কোভিড-১৯ মহামারিকালে বাংলাদেশের খাদ্য মজুদ ও বাণিজ্য’ শীর্ষক ওয়েবিনারে বক্তারা এ তথ্য জানান।

আলোচকরা জানান, গম, আলু, ভোজ্যতেল, ডাল, এবং ভুট্টার মজুদ দিয়ে আভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন ধান কৃষকের ঘরে উঠবে। ফলে দেশের ধান-চাল আমদানি করার প্রয়োজন হবে না।  

এফএও’র মিটিং দ্যা আন্ডার নিউট্রেশন চ্যালেঞ্জ প্রকল্পের বাজার ও বাণিজ্য নীতি উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ মনিরুল হাসান বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বোরো ধানের উৎপাদন পূর্বের একই সময়ের চেয়ে ৬.৫ শতাংশ বেশি হয়েছে। একই সময়ে গমের উৎপাদন হয়েছে ১.২৪৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন যা গত ৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর বাইরেও ৫.১ মিলিয়ন মেট্রিক টন গম আমদানির পরিকল্পনা করা হয়েছে যা দিয়ে বাংলাদেশে গমের চাহিদা সহজেই পূরণ করা সম্ভব।  

তিনি বলেন, চলতি বোরো সংগ্রহ মৌসুমে সরকার ৮ লাখ মেট্রিক টন ধান এবং ১১ দশমিক ৫ লাখ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ২ দশমিক ২০ লাখ মেট্রিক টন ধান এবং ৭ দশমিক ৬৭ লাখ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করেছে। জুন ২০১৯ সালের ধান-চাল সংগ্রহের অর্জিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০২০ সালে ক্রয় লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে ৩১ শতাংশ কম।  
ড. মনিরুল হাসান বলেন, ২০১৯-২০ সালে সরকারিভাবে ৭৫ হাজার টন গম কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও গম কেনা হয়েছে মোট ৬৪ দশমিক ৫ হাজার টন।

তিনি আরও বলেন, চলতি মৌসুমে দেশে আলুর উৎপাদন হয়েছে ১১ মিলিয়ন টন যা দিয়ে দেশের আরও ১১ মাসের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। তাছাড়া দেশে বর্তমান ভুট্টার যে মজুদ আছে ১০ মাস পর্যন্ত আভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।

ভোজ্যতেলের বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে মূলত ভোজ্য তেলের চাহিদা মিটাতে আমদানির ওপর নির্ভরশীল। প্রতিবছরে বিশাল পরিমাণ পাম অয়েল ও সয়াবিন আমদানি করতে হয়। ভোজ্য তেল আমদানির জন্য নিয়মিত এলসি খোলা হচ্ছে।

পিআইবি মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে আরও বক্তব্য দেন মিটিং দ্যা আন্ডার নিউট্রেশন চ্যালেঞ্জ প্রকল্পের চিফ ট্যাকনিকাল অ্যাডভাইজর নাওকি মিনামিগওসি, মিটিং দ্যা আন্ডার নিউট্রেশন চ্যালেঞ্জ প্রকল্পের ন্যাশনাল পোভার্টি অ্যান্ড সোস্যাল প্রোটেকশান অ্যাডভাইজর অধ্যাপক মোহাম্মদ মিজানুল হক কাজল এবং এফএও’র মিটিং দ্যা আন্ডার নিউট্রেশন চ্যালেঞ্জ প্রকল্পের প্ল্যানিং অ্যান্ড কোঅর্ডিনেশন স্পেশালিস্ট ভাস্কর গোস্বামী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ০১৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০২০
পিএস/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।