ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

যাত্রাশিল্প পুনরুদ্ধারে উদ্যোগ নিল শিল্পকলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২৩
যাত্রাশিল্প পুনরুদ্ধারে উদ্যোগ নিল শিল্পকলা শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের ব্যবস্থাপনায় শুরু হয়েছে যাত্রা উৎসব

ঢাকা: বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রা। কিন্তু আমাদের গ্রাম-বাংলার সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্যে আজ বিলুপ্তির পথে যাত্রাপালা।

দুর্গাপূজা এবং শীতকাল যাত্রাপালার ভরা মৌসুম হলেও কয়েক বছর ধরে এ যাত্রা শিল্পের দৃশ্য যেন বিরল।

এ যাত্রাকে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের ব্যবস্থাপনায় শুরু হয়েছে যাত্রা উৎসব। যাত্রাশিল্প উন্নয়ন নীতিমালা-২০১২ বাস্তবায়ন ও যাত্রাদল নিবন্ধনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে চলছে ৬ দিনব্যাপী এ উৎসব। আর এ উৎসবকে কেন্দ্র করে ফিরছে যাত্রার দর্শকও।

একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের ব্যবস্থাপনায় ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার হলে এ আয়োজন চলবে। যাত্রাপালা মঞ্চস্থ হবে প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত সোয়া ৯টা পর্যন্ত। প্রতিদিন মঞ্চায়িত হবে ছয়টি করে যাত্রাপালা।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) ছিল এ উৎসবের চতুর্থ দিন। এদিন একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার হলে দেশের ছয়টি যাত্রাদল ৬টি যাত্রাপালা পরিবেশন করে। চতুর্থ দিন দুপুর থেকে জমজমাট ছিল যাত্রাপালার মিলনায়তন।

এদিন জামালপুরের শাহজাহান নাট্য সংস্থার যাত্রাপালা ‘রাখাল বন্ধু’, ঢাকার সূর্য মহল অপেরার যাত্রাপালা ‘প্রেমের সমাধি তীরে’,  মানিকগঞ্জের রেহানা অপেরার যাত্রাপালা ‘সাগর ভাসা’, সাতক্ষীরার গোধূলি অপেরার যাত্রাপালা ‘চরিত্রহীন’, পিরোজপুরের নটরাজ অপেরার যাত্রাপালা ‘মায়ের চোখে জল’ এবং দিনাজপুরের সোনার বাংলা নাট্য সংস্থার যাত্রাপালা ‘প্রেমের সমাধি তীরে’ মঞ্চায়িত হয়।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার হলে দেশের ছয়টি যাত্রাদল ৬টি যাত্রাপালা পরিবেশন করবে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হিসেবে রয়েছে- নেত্রকোনার টাইগার রুবেল নাট্য সংস্থার যাত্রাপালা ‘জেল থেকে বলছি’। এটির পালাকার উদয় ভানু এবং এ পালাটি মঞ্চস্থ হবে সন্ধ্যা ৫টা ৪৫ মিনিটে।

এছাড়া মঙ্গলবার দুপুর ২টা থেকে ক্রমান্বয়ে বগুড়ার সোনালী নাট্য সংস্থার যাত্রাপালা ‘মিলনমালা’, সিরাজগঞ্জের রাজু অপেরার যাত্রাপালা ‘লাইলি মজনু’, ঝিনাইদহের উদয়ন নাট্যগোষ্ঠীর যাত্রাপালা ‘কুরুক্ষেত্রের কান্না’, ময়মনসিংহের সুইস যাত্রা ইউনিটের যাত্রাপালা ‘নিচু তলার মানুষ’ এবং টাঙ্গাইলের তুরাগ বেহুলা অপেরার যাত্রাপালা ‘গুনাই বিবি’ও মঞ্চায়িত হবে।

আবহমান বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্য যাত্রাপালা। আধুনিকতার বিষবাষ্পে হারিয়ে যাওয়ার পথে গর্ব করার মতো শেকড়ের এ সংস্কৃতি। হারিয়ে যাওয়া এ লোক সংস্কৃতির পুনরুদ্ধারের জন্য যাত্রাদলগুলোকে নিবন্ধন দেওয়া মূলত এ উৎসব আয়োজনের মূল লক্ষ্য। এ প্রেক্ষিতে উৎসবে নাট্য, সাহিত্য ও যাত্রা ব্যক্তিত্বসহ যাত্রাশিল্প উন্নয়ন কমিটির সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে যাত্রাপালা মূল্যায়ন করবেন এবং তার ভিত্তিতে নিবন্ধন দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২২৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২২
এইচএমএস/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।