ঢাকা, সোমবার, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৯ জুন ২০২৫, ১২ জিলহজ ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

সোমেশ্বর অলির জোড়া কবিতা

বৈশাখের আয়োজন / শিল্প-সাহিত্য | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:২৩, এপ্রিল ১৩, ২০১৫
সোমেশ্বর অলির জোড়া কবিতা

অপমৃত্যু অপলাপ
___________________________________

      আমাকে ডাকবে না কেউ—এমনও ভোরে
      আমি পড়ে আছি—নাড়ি নড়ে
      পাশে ডাক্তারখানা ওই, ধূসর আলাপে
      আমাকে প্রসঙ্গ করে—সন্তাপে!
      মনে পড়ে!
      নদীবোঝাই রেলের চাকা বয়ে চলে উজানে
      সে এক মাঝি সে—
      আমাকে চেনে না; নাহি জানে—
      আমি তার মত করে দেখতে পাইনে
      দুনিয়াকে; কী আছে বামেতে নামে বেনামে ডাইনে
      আমি তাহারে পাইনে!
      পাইতে চাইনে?
      এমনও ভোরে,
      পাতা ফোটে পাখিবনে ফুলের স্বভাবে
      এমনও করে,
      তারা ঝরে নাড়ি নড়ে কিসের জবাবে!


রতিবিরতিহীন
___________________________________

একটা চাকরি হলে ভালো হতো—পাতাদের নাম টুকে রাখার চাকরি। জানি না যে, জীবনানন্দের যোগ্য উত্তরসূরি হতে হলে আমাকে আরও কিছু কাল কাটাতে হবে ভেষজ মরুদ্যানে; কীট ও পতঙ্গ, মেঘ ও লবঙ্গ অধ্যুষিত রূপসী জংলায়!
তারা-হতে-না পারা পাতাগুলোকে গাছের কাছেই ফেরত পাঠানো হোক।

নিশ্চয়ই সুচিকিৎসা পাওয়ার অধিকার আছে অসুখি ডানাওলা পাতাদের। অতৃপ্ত আত্মার পাখিরা কেন থাকবে এ সুবিধার বাইরে? একবিংশ চলছে, এ ব্যাপারে জগদীশচন্দ্র বসুর সঙ্গে বিস্তারিত আলাপ হতে পারে।
আলোর স্বভাব কী ছায়ার মত! একটু জলমত জায়গায় আলো মত কিছু ডুবে যাচ্ছেমত—অর্ধনগ্ন গাছেরা ছায়ায় দাঁড়িয়ে এই দৃশ্য রচনা করে চলেছে, রতিবিরতিহীন—এই রহস্য ও রসিকতার বাইরে নয় পাখি ও ফুলসমাজ—
কিছু পাতার নাম তাই পাখি—
কত কত যুগ ধরে গাছ থেকে তারা খসছে, পাখি পড়ছে—মানুষের চোখ সব দেখে নাকি? চোখেরা যে পাখি নয় পাতা নয় তারা নয়—কে জানে!
একটা পাখি পড়ে আছে—এটা আসলে পাতা। একটা পাতা উড়ে যাচ্ছে—এটা তো পাখিই!
গাছেদের নামে হয় কী সব পাতার নাম? কিছু পাতার পরিচিতি টেনে নেব পুস্তকের নামের সঙ্গে মিলিয়ে। মন্দ কী—পাতাশুমারি হলে, পাখিশুমারির মত।



বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।