প্রথম পর্ব পড়তে ক্লিক করুন
এইটুকু ভাগ্নে রেসের সব খবর রাখে শুনে মামা বেশ খুশি হয়। ব্যাসেটের বয়স বেশি নয়।
অস্কার ক্রেসওয়েল ব্যাসেটের কাছ থেকেই আসল খবরটা বের করে আনে।
“ছোট সাহেব বারবার এসে জানতে চায়। না বলে উপায় থাকে না, স্যার,” ব্যাসেট বলে। ব্যাসেটের চোখমুখ গুরুগম্ভীর, যেন কোন ধর্মকথা আলোচনা করছে।
“কোনো ঘোড়া মনে ধরলে বাজি-টাজিও ধরে নাকি?”
“আসলে স্যার, তার সাথে আমি বেইমানী করতে চাই না। ছেলেমানুষ, খেয়ালের বশে খেলে। তবে স্যার, ভালোই খেলে। কিছু মনে না করলে, স্যার, আপনি বরং নিজেই তাকে জিজ্ঞেস করুন না। এই খেলায় তার বেশ আগ্রহ। পাছে আবার ভেবে বসবে যে আমি তার নামে কথা লাগাচ্ছি। আমায় মাফ করবেন, স্যার। ” ব্যাসেটের কথায় সেই একই ভাবগাম্ভীর্য।
“কিন্তু তোর টাকাগুলো দিয়ে এবার কী করবি?”
“কী আর করব। মায়ের জন্যই তো এসব ধরলাম। মা বলে বাবার ভাগ্য নেই বলে তারও নাকি ভাগ্য নেই। তাই ভাবলাম আমার ভাগ্য থাকলে যদি আওয়াজটা এবার বন্ধ হয়। ”
“কিসের আওয়াজ বন্ধ হবে?”
“আমাদের বাড়ির। এই আওয়াজের জন্যই বাড়িটা অসহ্য লাগে আমার। ”
“কী রকম আওয়াজ হয়?
“আমি... আমি... আমি ঠিক জানি না। কিন্তু সবসময় শুধু টাকার অভাব থাকে, জানো মামা,” ছেলেটি অস্থিরভাবে নড়েচড়ে বসে।
“জানি বাবা, জানি। ”
“তুমি তো জানো মা’র কাছে পাওনাদারদের চিঠি আসে, জানো না?”
“হ্যাঁ, তা জানি,” মামা বলে।
মামা এবার যায় ভাগ্নের কাছে। তাকে নিয়ে গাড়িতে করে বেড়াতে বের হয়।
“তা বাবা পল, কখনো ঘোড়ার নামে বাজি ধরেছিস?” মামা জানতে চায়।
ভাগ্নে খুব মনযোগ দিয়ে তার এই সুদর্শন মামাটির হাবভাব লক্ষ্য করে। তারপর আত্মরক্ষার ভঙ্গিতে জিজ্ঞেস করে, “কেন, আমার কি বাজি ধরা নিষেধ?”
“আরে মোটেও না! আমি তো আরো ভাবছি লিংকন-এর রেসের কথা তোর থেকে জেনে নেব। ”
গাড়িটি গ্রামের পথ ধরে ছুটে চলে হ্যাম্পশায়ারে অস্কার মামার বাড়ির দিকে।
“তিন সত্যি?” ভাগ্নে বলে।
“তিন সত্যি, ভাগ্নে!” মামা বলে।
“বেশ তবে, ‘ড্যাফোডিল’ জিতবে। ”
“‘ড্যাফোডিল’! আমার কিন্তু খটকা লাগছে, ভাগ্নে। আচ্ছা, ‘মির্জা’ কেমন দৌড়াবে?”
“আমি শুধু কে জিতবে সেটাই জানতে পারি। ‘ড্যাফোডিল’ই বাজিমাৎ করবে। ”
“‘ড্যাফোডিল’, না?”
এরপর কিছুক্ষণ দুজনেই চুপচাপ। ‘ড্যাফোডিল’ আসলে তেমন ভালো ঘোড়া নয়।
“মামা!”
“কী, বাবা?”
“এসব আবার কাউকে বলে দেবে না তো? আমি কিন্তু ব্যাসেটকে কথা দিয়েছি। ”
“জাহান্নামে যাক ব্যাসেট! ওই ব্যাটা এসবের কী বোঝে?”
“আমরা দু’জন তো পার্টনার, সেই শুরু থেকেই পার্টনার। ও-ই তো প্রথম আমাকে পাঁচ শিলিং ধার দেয় বাজি ধরার জন্য। সেবার অবশ্য হেরে যাই। তার কাছে আমি তিন সত্যি করেছি যে এসব কথা আমরা দু’জন ছাড়া আর কেউ জানবে না। সেই যে তুমি আমাকে একবার দশ শিলিং দিয়েছিলে সেটা দিয়েই আমার বাজি জেতা শুরু হলো। তাই ভাবলাম তোমার ভাগ্য আছে। এসব কথা কাউকে বলে দেবে না তো?”
ছেলেটি তার বড় বড় নীল চোখ মেলে মামার মুখের দিকে চেয়ে থাকে। মামা এবার একটু নড়েচড়ে বসে। তার চেহারায় অস্বস্তির ছাপ।
“একদম ঠিক বলেছিস, ভাগ্নে! তোর এসব কথা গোপনই থাকবে। ‘ড্যাফোডিল’, তাই না? তো এর নামে কত বাজি ধরলি?”
“বিশ পাউন্ড হাতে রেখে বাদ বাকি সবই বাজিতে লাগিয়েছি। এই বিশ পাউন্ড জমা থাকে,” এ কথায় মামা বেশ মজা পায়।
“তবে রে পাকা বুড়ো, বিশ পাউন্ড আবার জমাও রেখেছিস? তাহলে বাজি ধরেছিস কত?”
“তিন শ’। কাউকে বলো না কিন্তু, মামা। তিন সত্যি করো,” ছেলের মুখ গম্ভীর।
মামা এবার হো হো করে হেসে উঠে।
“ওরে সবজান্তা শমশের, কাউকে কিছু বলব না, কেমন। কিন্তু তোর সেই তিন শ’ পাউন্ড এখন কোথায়?” মামা হাসতে হাসতে বলে।
“ব্যাসেটের কাছেই জমা থাকে। আমরা দু’জন পার্টনার না?”
“তোরা পার্টনার? তাই নাকি রে? তা ব্যাসেট কত বাজি ধরেছে ‘ড্যাফোডিলের’ নামে?”
“সে মনে হয় আমার মতো অত বেশি ধরতে পারেনি। দেড় শ’ হবে হয়ত। ”
“কী বলিস? দেড় শ’ পয়সা? ” মামা হাসে।
“দেড় শ’ পাউন্ড। ব্যাসেটের জমা তো আমার থেকেও বেশি ,” ভাগ্নে অবাক হয়ে মামাকে দেখে।
বিস্ময়ে আর আমোদে অস্কার মামার মুখের ভাষা হারিয়ে যায়। মামা এ বিষয়ে ভাগ্নেকে আর ঘাঁটায় না। সে মনে মনে ঠিক করে ফেলে যে এবার লিংকনের রেসে ভাগ্নেকেও সাথে নেবে।
মামা বলে, “শোন বাবা, ‘মির্জা’র নামে বিশ পাউন্ড বাজি ধরছি। আর তোর পছন্দের ঘোড়ার নামে আরো পাঁচ পাউন্ড ধরব। তোর কোনো পছন্দের ঘোড়া থাকলে নাম বল। ”
“‘ড্যাফোডিল’, মামা। ”
“না না, ‘ড্যাফোডিল’ এর নামে পাঁচ পাউন্ড ধরা ঠিক হবে না। ”
“আমি হলে কিন্তু ঠিকই ধরতাম। ”
“বাহ! ঠিক বলেছিস! তাহলে ‘ড্যাফোডিল’এর নামে আমার পাঁচ পাউন্ড আর তোর পাঁচ পাউন্ড, কেমন। ”
ছেলেটি জীবনে কখনো ঘোড়দৌড়ের ময়দানে যায়নি। তার নীল চোখের তারায় যেন দাবানল জ্বলে উঠেছে। সে একদম মুখ বুজে চুপচাপ রেস দেখে যায়। ঠিক তার সামনেই এক ফরাসী ভদ্রলোক ‘ল্যান্সলট’-এর নামে বাজি ধরেছে। উত্তেজনায় উন্মত্ত হয়ে লোকটি দু’হাত চাপড়ে ফরাসী উচ্চারণে “‘ল্যান্সলট’!‘ল্যান্সলট’!” বলে চেঁচাতে থাকে।
সেই রেসে ‘ড্যাফোডিল’ প্রথম হয়, ‘ল্যান্সলট’ হয় দ্বিতীয় আর ‘মির্জা’ তৃতীয়।
ছেলের মুখে রক্তিম আভা, দু’চোখে আগুনের হলকা, অথচ কী অদ্ভুত রকমের শান্ত ভাব। মামা চারটি পাঁচ পাউন্ডের নোট এনে তার হাতে দেয়। তার বাজিতে ধরা টাকা এবার চার গুণ হয়ে ফিরে এসেছে।
“এগুলো দিয়ে এবার কী করি বল তো?” মামা সেই টাকাগুলো ভাগ্নের মুখের সামনে নাড়তে নাড়তে চিৎকার করে বলে।
“ভাবছি ব্যাসেটের সাথে কথা বলে দেখব। এবার বোধহয় আমার পনের শ’ পাউন্ড হলো। এছাড়া জমা আছে আরো বিশ পাউন্ড, সেই সাথে যোগ হলো আজকের বিশ পাউন্ড,” ছেলেটি বলে।
মামা তার এই ভাগ্নেকে মন দিয়ে কয়েক মুহূর্ত দেখে। তারপর বলে, “আচ্ছা দেখ ভাগ্নে, ব্যাসেট আর ওই পনের শ’ পাউন্ডের গল্পটা আসলে সত্যি না, তাই না?”
“সব সত্যি, মামা। কিন্তু এসব কথা কেবল তোমার আর আমার মাঝেই থাকবে। তিন সত্যি করো!”
“আচ্ছা বাবা, ঠিক আছে, তিন সত্যি করছি! কিন্তু ব্যাসেটের সাথে আমাকে কথা বলতেই হবে। ”
“আমার আর ব্যাসেটের সাথে যদি পার্টনার হতে চাও, তবে আমরা তিন জনে মিলে পার্টনার হতে পারি। শুধু একটা কথা, তোমাকে তিন সত্যি করে কথা দিতে হবে যে আমরা তিনজন ছাড়া এসব কথা আর কেউ জানতে পারবে না। আমার আর ব্যাসেটের ভাগ্য আছে। তোমারও নিশ্চয়ই আছে, কারণ তোমার দেয়া দশ শিলিং দিয়েই আমার রেস জেতা শুরু...। ”
অস্কার মামা এক বিকেলে পল আর ব্যাসেটকে রিচমন্ড পার্কে নিয়ে যায়। সেখানেই তাদের কথাবার্তা হয়।
“ব্যাপারখানা হলো, স্যার, ছোট সাহেব আমার কাছে রেসের নানান কিস্যা-কাহিনী শুনতে চায়। জিতলাম কি হারলাম তাতে তার বেজায় আগ্রহ। প্রায় বছর খানেক আগে ছোট সাহেবের হয়ে ‘ব্লাশ অব ডন’-এর নামে পাঁচ শিলিং বাজি ধরেছিলাম। সেবার হেরে যাই। এরপর ‘সিংহলি’র নামে বাজি ধরলাম আপনার দেয়া সেই দশ শিলিং দিয়ে। তাতেই ভাগ্য ফিরে গেল। আর সেই থেকে সব মিলিয়ে ভালোই চলে যাচ্ছে। কী বলো, ছোট সাহেব?”
“মন থেকে সায় পেলেই ঠিক কাজটা করা যায়। মন থেকে সায় না পেলেই যত লোকসান,” পল বলে।
“আমরা কিন্তু তখন সাবধানেই পা ফেলি,” ব্যাসেট বলে।
“কিন্তু মন থেকে এই ‘সায়’টা পাস কখন?”
“এই হলো আমাদের ছোট সাহেব, স্যার। ঠিক যেন ঈশ্বরের কাছ থেকে সংকেত পায়। এই যেমন লিংকনের রেসে ‘ড্যাফোডিল’-এর জেতার কথাটা আগেই বলতে পারল। একদম খাপে খাপে মিলে গেল সব,” ব্যাসেট এমনভাবে বলে যেন ভক্তিভরে কোনো নিগূঢ় কথা বলছে।
“‘ড্যাফোডিল’-এর নামে বাজি ধরেছিলে না কি?” অস্কার ক্রেসওয়েল জিজ্ঞেস করে।
“জ্বী, স্যার। এই সামান্য কিছু আয় হয়ে গেল, আর কি,” পলের দিকে তাকিয়ে ব্যাসেট এবার মুখে কুলুপ এঁটে রাখে।
“আমি তো বার শ’ জিতেছি, তাই না ব্যাসেট? মামাকে আগেই বলেছিলাম যে ‘ড্যাফোডিল’-এর নামে তিন শ’ ধরব। ”
“ঠিক তাই,” ব্যাসেট মাথা ঝাঁকায়।
“কিন্তু কোথায় সেই টাকা?” মামা জানতে চায়।
“সে আমি তালা-চাবি দিয়ে রাখি, স্যার। ছোট সাহেব একবার মুখ ফুটে চাইলেই সব বের করে এনে দেব। ”
“কী! পনের শ’ পাউন্ড?”
“সাথে আরো বিশ পাউন্ড! মানে আজকের রেসের আয় মিলিয়ে আরো চল্লিশ পাউন্ড, আর কি। ”
“এ তো সাংঘাতিক ব্যাপার!” মামা বলে।
“বেয়াদবি না নিলে একটা কথা বলি, স্যার। ছোট সাহেব যদি আপনাকে পার্টনার করতে চায় তবে রাজি হয়ে যাওয়াই ভালো,” ব্যাসেট বলে।
অস্কার ক্রেসওয়েল এ ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করে দেখে।
“সেই টাকাটা একবার দেখতে চাই,” সে বলে।
তারা গাড়ি করে আবার বাড়ি ফিরে যায়। বাগানের চালাঘরে এসে ব্যাসেট সত্যি সত্যি পনের শ’ পাউন্ড বের করে এনে তাকে দেখায়। আর বাকি সেই বিশ পাউন্ড জমা থাকে রেসকোর্সের কোষাগারে, কোষাধ্যক্ষ জো গ্লি’র জিম্মায়।
“দেখলে তো মামা, মন থেকে সায় পেলেই সব কাজ ঠিকমতো হয়! মনের জোরই তো আমাদের আসল জোর, তাই না ব্যাসেট?”
“ঠিক তাই, ছোট সাহেব। ”
“আর তোর মন থেকে কখন সায় পাস?” মামা হাসতে হাসতে প্রশ্ন করে।
“আসলে, মাঝে মাঝে এমন হয় যে মন থেকে পুরোপুরি সায় পেয়ে যাই, এই যেমন ‘ড্যাফোডিল’-এর বেলায় হলো। কোনোদিন আবার কিছুটা আভাস পাই, কখনো আবার কোনো আভাসই পাই না, তাই না ব্যাসেট? তখনই আমাদের সাবধানে পা ফেলতে হয়। কারণ তখন বেশিরভাগই লোকসান হয়। ”
“তাই না কি রে? আর ওই যে ‘ড্যাফোডিল’-এর বেলায় তোর মন থেকে সায় পেলি, সায় পেলে কিভাবে বুঝতে পারিস, বল তো ভাগ্নে। ”
“কিভাবে বুঝতে পারি তা তো জানি না, মামা। কিন্তু কোনো একভাবে বোঝা যায়, এই আর কি,” ছেলেটি অস্বস্তিতে পড়ে।
“ঠিক যেন ঈশ্বরের কাছ থেকে পাঠানো সংকেত আসে, স্যার” ব্যাসেটের মুখে ঘুরে ফিরে সেই এক কথা।
“এই তবে মানতে হবে!” মামা বলে।
মামা কিন্তু পার্টনার হলো। লেজার-এর রেসের আগে আগে পল মন থেকে ‘সায় পেল’ যে, ‘লাইভলি স্পার্ক’ নামের বাজে একটা ঘোড়াই নাকি জিতবে। পল গোঁ ধরে বসে যে এই ঘোড়ার নামে সে হাজার পাউন্ড ধরবেই। ব্যাসেট ধরল পাঁচ শ’ আর অস্কার ক্রেসওয়েল দু’শ’। ওই ঘোড়াই শেষপর্যন্ত মাৎ করে। বাজির টাকার দশগুণ উঠে আসে। এই রেস থেকে পলের দশ হাজার পাউন্ড আয় হয়।
“দেখলে তো, এর ব্যাপারে মন থেকে পুরোপুরি সায় পেয়েছিলাম,” সে বলে।
অস্কার ক্রেসওয়েলও দু’হাজার পাউন্ড আয় করে ফেলে। সে বলে, “দেখ ভাগ্নে, এসব ব্যাপারে আমার কেমন জানি অস্বস্তি হয়। ”
“অস্বস্তির কিছু নেই, মামা। হয়ত দেখবে সামনের অনেকদিন ধরে আমি আর মন থেকে তেমন কোনো সায় পেলাম না। ”
“কিন্তু তোর টাকাগুলো দিয়ে এবার কী করবি?”
“কী আর করব। মায়ের জন্যই তো এসব ধরলাম। মা বলে বাবার ভাগ্য নেই বলে তারও নাকি ভাগ্য নেই। তাই ভাবলাম আমার ভাগ্য থাকলে যদি আওয়াজটা এবার বন্ধ হয়। ”
“কিসের আওয়াজ বন্ধ হবে?”
“আমাদের বাড়ির। এই আওয়াজের জন্যই বাড়িটা অসহ্য লাগে আমার। ”
“কী রকম আওয়াজ হয়?
“আমি... আমি... আমি ঠিক জানি না। কিন্তু সবসময় শুধু টাকার অভাব থাকে, জানো মামা,” ছেলেটি অস্থিরভাবে নড়েচড়ে বসে।
“জানি বাবা, জানি। ”
“তুমি তো জানো মা’র কাছে পাওনাদারদের চিঠি আসে, জানো না?”
“হ্যাঁ, তা জানি,” মামা বলে।
“তখন বাড়িতে এমন আওয়াজ হয় যেন কেউ আমাদের নিয়ে আড়ালে হাসাহাসি করছে। সত্যিই ভীষণ খারাপ লাগে। তাই ভাবলাম, আমার যদি ভাগ্য থাকত...”
“তাহলে তুই এই আওয়াজটা থামাতে পারতি,” মামা কথা শেষ করে।
ছেলেটি তার বড় বড় নীল চোখ মেলে চুপচাপ তাকিয়ে থাকে। তার চোখে যেন শীতল এক আগ্নেয়গিরি।
“ভালো কথা, আমরা এবার কী করব?” মামা বলে।
“আমি চাই না মা আমার ভাগ্যের কথা জানুক। ”
“জানাতে চাস না কেন?”
“জানতে পারলে মা আর আমাকে এসব করতে দেবে না। ”
“আমার মনে হয় না সে এমনটা করবে। ”
“না না, মামা, আমি মোটেই চাই না মা কিছু জানুক,” ছেলেটি অদ্ভুতভাবে কাঁচুমাচু করতে থাকে।
“আচ্ছা বাবা, ঠিক আছে। মা’কে না জানিয়েই সব হবে, কেমন। ”
শেষ পর্ব পড়তে ক্লিক করুন
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৫