ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

কবি ও লেখক শান্তনু কায়সার আর নেই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৭
কবি ও লেখক শান্তনু কায়সার আর নেই শান্তনু কায়সার

ঢাকা: বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি ও লেখক শান্তনু কায়সার আর নেই (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন)। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।

শান্তনু কায়সার কুমিল্লা শহরের নজরুল অ্যাভিনিউ রোডে ল কলেজের বিপরীত পাশের একটি বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকতেন। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

গত ১৭ মার্চ রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে শান্তনুকে দ্রুত কুমিল্লা শহরেরই একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, তিনি হার্ট অ্যাটাক করেছেন। তখন সঙ্গে সঙ্গে তাকে সিসিইউতে ভর্তি করা হয়।  অবস্থার খানিকটা উন্নতি হলে দু’দিন পর তাকে হাসপাতালের কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।

তারপর তাকে ঢাকার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় গবেষণায় বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত এ কবি ও লেখকের।  তার ফুসফুসে সংক্রমণ হয়েছিল।

তার বড় ছেলে ওদুদ রায়হান বাংলানিউজকে বলেন, মরহুমের মরদেহ সকালে বাংলা একাডেমিতে নিয়ে যাওয়া হবে। তবে সেখানে জানাজা হবে কিনা সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এরপর তার মরদেহ কুমিল্লায় নিয়ে যাওয়া হবে। কুমিল্লায় জানাজা হওয়ার পর গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরে বাবার কবরের পাশে তাকে চিরসমাহিত করা হবে।  

শান্তনু কায়সার ১৯৫০ সালের ৩০ ডিসেম্বর চাঁদপুরের ফরিদপুর উপজেলার সাচনামেঘ (সাজনমেঘ) গ্রামে সিরাজুল হক ও মাকসুদা খাতুন দম্পতির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর শেষে অধ্যাপনাকে জীবনের ব্রত হিসেবে নেন। বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শেষে অবসরের পর তিনি লেখালেখিতে মনোনিবেশ করেন। তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৪৫টি।

সাহিত্যে অবদানের জন্য বহুল জনপ্রিয়তা পাওয়া শান্তনু কায়সার বাংলা একাডেমি পুরস্কার, প্রত্যাশা (সাহিত্য) পুরস্কার, আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি পুরস্কার ও অদ্বৈত সম্মাননাসহ অসংখ্য স্বীকৃতি-পুরস্কারে ভূষিত হন।

বাংলাদেশ সময়: ২২৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৭
এমসি/আইএজে/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।