ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

৭ মার্চের ভাষণ আগামী প্রজন্মকে শোনানোর দায়িত্ব আমাদেরই

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৯ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০১৮
৭ মার্চের ভাষণ আগামী প্রজন্মকে শোনানোর দায়িত্ব আমাদেরই ‘৭ই মার্চের ভাষণের ইউনেস্কো-স্বীকৃতি ও এর তাৎপর্য’ শীর্ষক একক বক্তৃতা অনুষ্ঠান

ঢাকা: বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক সাত মার্চের ভাষণ যেন আগামী প্রজন্ম শোনে এবং হৃদয়াঙ্গম করতে পারে, সেই ব্যবস্থা আমাদেরই করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।

মঙ্গলবার (৬ মার্চ) বিকেলে বাংলা একাডেমির ‘৭ই মার্চের ভাষণের ইউনেস্কো-স্বীকৃতি ও এর তাৎপর্য’ শীর্ষক আয়োজনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে একক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান।

একক বক্তৃতা দেন অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ।

স্বাগত বক্তব্যে শামসুজ্জামান খান বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ পৃথিবীর ইতিহাসে অনন্য-অসাধারণ ভাষণ। বঙ্গবন্ধু যে পরিস্থিতির মধ্যে এ ভাষণ দিয়েছেন, সেটি বিবেচনা করলে পৃথিবীর ইতিহাসে এমন ভাষণ দ্বিতীয়টি নেই। এ কৌশলময় ভাষণ কেবল মানবিক আবেদনের জন্য নয়, শৈল্পিক কারণেও উল্লেখযোগ্য।

ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, ৭ মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু অতি কৌশলে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। কারণ তিনি বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের নেতা হিসেবে বিশ্বে চিহ্নিত হতে চাননি। তিনি চেয়েছেন মাইনরিটি হিসেবে পাকিস্তান নিজে থেকে বিচ্ছিন্ন হোক।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের এ ভাষণে বঙ্গবন্ধু কেবল একটি স্বাধীন জাতির স্বপ্ন উল্লেখ করেই থেমে যাননি; তিনি সে স্বাধীনতা অর্জনের সমস্ত উপায়ও বলে দিয়েছেন। তিনি কৌশলে স্বাধীনতার কথা বলে আলোচনার পথও খোলা রেখেছেন। এখানেই তার নেতৃত্বের বিচক্ষণতা।

সভাপতির বক্তব্যে ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যাতে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর প্রতিশোধমূলক আচরণ না করতে পারে, সেজন্য বঙ্গবন্ধু তার ৭ মার্চের ভাষণে অনানুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা করেছেন। ইউনেস্কোর স্বীকৃতি আমাদের গর্বিত করেছে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সদ্যপ্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা ফেরদোসী প্রিয়ভাষিণীর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এসময় সভার পক্ষ থেকে অধ্যাপক ড. জাফর ইকবালের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানান অতিথিরা।

বাংলাদেশ সময়: ০২২৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০১৮
এইচএমএস/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।