শুক্রবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেন। এসময় তিনি শিল্পীদের সঙ্গে প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে ব্লেকেন বলেন, বাংলাদেশ এমন একটি দেশ, যারা নিজেদের স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়েছে। আর স্বাধীনতার সে যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন নারীরাও। এখানে এ প্রদর্শনীর মাধ্যমে নারীরা বিভিন্নভাবে তাদের জীবনকে তুলে ধরতে চেষ্টা করেছেন। এর মধ্যে আছে তাদের আনন্দ, বেদনা আর সুখ-দুঃখের গল্প।
কর্মক্ষেত্রের পাশাপাশি নারীরা এখন শিল্পকর্মেও এগিয়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এসময় সদ্যপ্রয়াত ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি জীবনের সুন্দর অংশগুলো সবার সামনে তার কাজের মধ্য দিয়ে তুলে ধরতে চেয়েছেন। তার শিল্পকর্মগুলো আমাদের আবেগ ছুঁয়ে যায়।
প্রদর্শনীতে যে সক শিল্পীর শিল্পকর্ম স্থান পেয়েছে তারা হলেন- আফরোজা জামিল কঙ্কা, আখতারুন নাহার আইভী, আতিয়া ইসলাম এ্যানি, বিপাশা হায়াত, দিলরুবা লতিফ রোজী, এলহাম হক খুকু, ফাহমীদা এনাম কাকলী, ফাহমিদা খাতুন, ফরিদা জামান, ফারিয়া জেবা, ফারজানা রহমান উর্মী, ফারজানা রহমান ববি, ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী, গুলসান হোসেন, আইভী জামান, কণক চাঁপা চাকমা, লুতফুন নাহার লীজা, মাকসুদা ইসলাম নীপা, মিনি করিম, নারগীস পলি, নাসরীন বেগম, নাজিয়া আন্দালীব প্রীমা, রহিমা আফরোজ, রেবেকা সুলতানা মলি, রোকেয়া সুলতানা, সামিনা নাফিস, শামীম সুব্রানা, শান্তনা শাহরীন নিনি, স্রুতি গুপ্তা কাসানা, সুলেখা চৌধুরী, সোহানা শাহরীন, তৈয়বা বেগম ও ভিনীতা করিম।
প্রদর্শনীতে ৩৩ জন নারী শিল্পীর ৩৩টি শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে। এক মাসব্যাপী এ প্রদর্শনী প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৮
এইচএমএস/এএ