রবীন্দ্রনাথের জীবনদর্শনের ওপর তারই সৃজিত সংগীত নিয়ে এ গীতি-আলেখ্যটি রচনা করেছেন অরুণাভ লাহিড়ী। কবিগুরুর গানের সুর আর কবিতা ছন্দে দোলায়িত হবার বর্ণনা পাঠের সঙ্গে সম্মেলক ও একক গানের এ আয়োজনে সংগীত পরিচালনা করেছেন সেমন্তী মঞ্জরী।
জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদের ঢাকা মহানগর শাখার আয়োজনে শুক্রবার (৪ মে) বৈশাখের সন্ধ্যায় এ আয়োজন আনুষ্ঠিত হয়।
রাজধানীর ধানমন্ডি ছায়ানট সংস্কৃতি প্রধান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনের শুরুতেই সংগঠনের ঢাকা মহানগর শাখার শিল্পীরা সম্মেলক কণ্ঠে গেয়ে শোনান ‘কোন আলোতে প্রাণের প্রদীপ’। সম্মেলক কণ্ঠে শিল্পীরা আরও গেয়ে শোনান ‘বিশ্বাসাথে যোগে যেথায় বিহারো’, ‘আমার প্রাণের মানুষ আছে’, ‘গ্রামছাড়া ঐ রাঙামাটির পথ’, ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে’ ও ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’।
অনুষ্ঠানে একক কণ্ঠে সংগীত পরিবেশন করেন শ্রাবণী মজুমদার, নাসরিন বাঁধন, কল্লোল সেন গুপ্ত, মানসী সাধু, সুদীপ সরকার, মোস্তাফিজুর রহমান তূর্য, বিথী রহমান, হৃষিৎ মুখোপাধ্যায়, আশরাফুজ্জামান পিনু প্রমুখ।
তাদের কণ্ঠে গীত হয় ‘আমি কান পেতে রই’, ‘না চাহিলে যারে পাওয়া যায়’, ‘আমি তারেই খুঁজে বেড়াই’, ‘এই যে তোমার প্রেম ওগো হৃদয়হরণ’, ‘কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি’, ‘রইল বলে রাখলে যারে’।
রবীন্দ্রনাথের লেখার অংশ থেকে পাঠ করেন বাচিকশিল্পী গোলাম রব্বানী ও কৃষ্টি হেফাজ। সংগঠনের শিল্পীদের কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শেষ হয় এ আয়োজন।
আয়োজন সম্পর্কে সংগঠনের সভাপতি গোলাম রব্বানী এবং সাধারণ সম্পাদক সেমন্তী মঞ্জরী বলেন, লোকসংগীতের গবেষকেরা মনে করেন নানা ধরণের তত্ত্বগানকে আলাদাভাবে শনাক্ত করা কঠিন, সাধারণভাবে সব গানকে বাউল গান বলে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সাধনার পাত্র অনুযায়ীই ভক্তির বীজ ব্যপ্ত হয়। রবীন্দ্রনাথের বাউল-দর্শন পূর্ণতা পেয়েছে জীবনদেবতার সন্ধানে, এ এক আধুনিক জীবনদর্শনও বটে যা মানবতাকে প্রধান বলে মানে। যা তিনি প্রকাশ করেছেন তার লেখায়, গানে ও চিত্রকলায়। এমন দর্শনস্তম্ভের টুকরো অংশ নিয়ে সাজানো হয়েছে এ গীতি-আলেখ্যটি।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪১ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৮
এইচএমএস/জিপি