ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

‘বাঙালি সাংস্কৃতিক বন্ধন’র আত্মপ্রকাশ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০১৮
‘বাঙালি সাংস্কৃতিক বন্ধন’র আত্মপ্রকাশ সংবাদ সম্মেলনে ‘বাঙালি সাংস্কৃতিক বন্ধন’র কর্মীরা-ছবি-শাকিল আহমেদ

ঢাকা: বাঙালি সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে ‘বাঙালি সাংস্কৃতিক বন্ধন’ নামে নতুন একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে কাজ করছে এমন ২৫টি সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে এই জোট। 

বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

বাঙালি সাংস্কৃতিক বন্ধনের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি আকবর হোসেন পাঠান ফারুক।

এতে উপস্থিত ছিলেন-সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আজম বাশার। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন-কবি কাজী রোজী এমপি, কবি ড. মুহাম্মদ সামাদ, শিল্পী ইন্দ্রমোহন রাজবংশী, মনোরঞ্জন ঘোষাল, সঙ্গীতজ্ঞ শেখ সাদী খান, নাট্যজন এসএম মহসিন, শিল্পী বুলবুল মহলানবীশ, বাউল শিল্পী শফি মণ্ডল প্রমুখ।  

আকবর হোসেন পাঠান ফারুক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। দেশের প্রতিটি জেলায় এই সংগঠন গড়ে তোলা হবে। বাঙালি সংস্কৃতি ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধি একমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাতেই নিরাপদ। তাই এই বন্ধনের সব সদস্য সংগঠন ও সংগঠনভুক্ত নেতাকর্মীরা আসন্ন নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করার জন্য ঐক্যবদ্ধ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে।

চিত্রনায়ক ফারুক আরও বলেন, ৭১’র সেই পরাজিত শক্তি তাই চক্রান্তের জাল বিস্তার করে স্বাধীনতার মাত্র ৪ বছরের মধ্যেই স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধু এবং চার নেতাকে হত্যা করে। তাদের পরাজয়ের প্রতিশোধের সঙ্গে সঙ্গে তারা আবার বাংলাদেশকে ফিরিয়ে নিয়ে যায় পাকিস্তানি ঘরানায়। সেই ঘোর অমানিশার মধ্যে যখন মুক্তিযুদ্ধের কথা বলা যেত না, বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করা যেত না, বাঙালি সংস্কৃতি নির্বাসনে, তখনও সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সাংস্কৃতিক কর্মীরাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে তৎপর ছিল। তখন গানে, কথায়, লেখায়, ছবিতে, নাটকে, চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তারা মুক্তিযুদ্ধের কথা বলেছে। বঙ্গবন্ধুর কথা বলেছে, বাঙালির সাংস্কৃতির প্রদীপকে টিমটিম করে জ্বালিয়ে রেখেছে। অন্যদিকে, পাকিস্তানের দোসররা ফিরিয়ে এনেছে পাকিস্তানি ভাবধারার সমাজব্যবস্থা, পাকিস্তানি সংস্কৃতি। ৭৫ পরবর্তী শাষকগোষ্ঠী এক ও অভিন্ন ধারায় বাঙালি সংস্কৃতিকে বিসর্জন এবং মক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিসর্জনের যাবতীয় কর্মকাণ্ডের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়।  

উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, আওয়ামী শিল্পী গোষ্ঠী, বাংলার মুখ, আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরাম, আওয়ামী সাংস্কৃতিক জোট, বাংলাদেশ লোক সাংস্কৃতিক পরিষদ, বাংলাদেশ সঙ্গীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ, স্বাধীনতা চারুশিল্পী পরিষদ, বঙ্গবন্ধু লেখক পরিষদ, বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ, শিল্পী কলাকুশলী সমিতি, ভাওয়াইয়া অঙ্গন, বাংলাদেশ ললিতকলা পরিষদ, বাংলাদেশ রোদসী কৃষ্টিসংসার, প্রতিভা মূল্যায়ন সংসদ, স্বাধীনতা সাংস্কৃতিক একাডেমি, বঙ্গমাতা পরিষদসহ ২৫টি সংগঠন ‘বাঙালি সাংস্কৃতিক বন্ধন’ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, ১ নভেম্বর, ২০১৮
টিআর/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।