ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

নৃত্য-গানে ভূপেন হাজারিকাকে স্মরণ

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০১৮
নৃত্য-গানে ভূপেন হাজারিকাকে স্মরণ

ঢাকা: উপমহাদেশের প্রখ্যাত গণসংগীতশিল্পী ড. ভূপেন হাজারিকা। বাংলাভাষী এমন কম মানুষই আছেন, যারা শিল্পী ভূপেন হাজারিকার নাম শোনেননি। তার ‘মানুষ মানুষের জন্য’ গানটি বিবিসির শ্রোতা জরিপে সর্বকালের প্রথম ১০টি জনপ্রিয় গানের মধ্যে স্থান করে নিয়েছিল।

সোমবার (৫ নভেম্বর) ছিল গানের কথায় মানবপ্রেম ফুটিয়ে তোলা গুণী এ শিল্পীর সপ্তম প্রয়াণদিবস। এ উপলক্ষে সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে আয়োজন করা হয় ‘আজ জীবন খুঁজে পাবি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ও ভূপেন হাজারিকার জন্মস্থান আসামের সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ব্যতিক্রম মাসদো’র সহযোগিতায় এতে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয় সুরেলা কণ্ঠের মানুষ ভূপেন হাজারিকাকে।

শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের শুরুতে মঙ্গল প্রদীপ জ্বালানো হয়। এরপর অতিথিদের পরিয়ে দেওয়া হয় উত্তরীয়।

অনুষ্ঠানে ভূপেন হাজারিকাকে নিয়ে আলোচনা করেন ড. সৌমেন ভারতীয়া, সূর্যকান্ত হাজারিকা ও ড. তিমির দে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভূপেন হাজারিকার বোন সংগীতশিল্পী সুদক্ষিণা শর্মা।

আলোচকরা বলেন, বাংলা ভাষাভাষী পশ্চিমবঙ্গ, আসাম এবং বাংলাদেশে এমন কাউকে পাওয়া বিরল হবে, যিনি শিল্পী ভূপেন হাজারিকার নাম শোনেননি। গানের দিক থেকে অনেকের কাছেই বেশ সহজবোধ্য ভূপেন হাজারিকা। সুরের দিক থেকে বিচার করলেও অত্যন্ত সুরেলা ছিল তার কণ্ঠ।

তারা বলেন, হিন্দুস্তানি ক্ল্যাসিক্যাল সংগীত ও উচ্চাঙ্গ নৃত্যের হাত ধরেই অনেকটা সংগীতের জগতে ভূপেন হাজারিকার পা পড়ে। তিনি ছোটবেলা থেকেই সর্বভারতীয় সংগীতের বিভিন্ন ধারা-উপধারার মতো গণসংগীত বুঝতে শেখেন।

ভূপেন হাজারিকা ছোটবেলা থেকেই স্থানীয় বরগীত, গোয়ালপাড়ার গান, চা–মজদুরের গান, বিহুগীতসহ বিভিন্ন ধরনের গ্রামীণ সংস্কৃতির রস আস্বাদন করেন বলেও জানান আলোচকরা।

আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক পর্বে অংশগ্রহণ করেন সংগীতশিল্পী সুদক্ষিণা শর্মা, লিয়াকত আলী লাকী, ঋষিরাজ শর্মা, ড. সঙ্গীতা কাকতী ও অভিজিৎ কুমার বড়ুয়া। সমবেত সংগীত পরিবেশন করেন ঢাকা সাংস্কৃতিক দল এবং সমবেত নৃত্য পরিবেশন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নৃত্যদল।

সাংস্কৃতিক পর্বের শুরুতে সংগীত পরিবেশন করেন সুদক্ষিণা শর্মা ও রিশিরাজ শর্মা। ‘ইবার দিব দালান কোঠা..’, ‘আজ জীবন খুঁজে পাবি..’ ও ‘বিস্তৃর্ণ দুপারে..’ গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নৃত্যদল।

‘বিমূর্ত এই রাত্রি আমার’ গানটি পরিবেশন করেন শিল্পী ইয়াসমিন আলী। এছাড়াও সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পকলা একাডেমির শিল্পী রোকসানা রূপসা, সোহানুর রহমান ও সুচিত্রা রানী। সবশেষে ভারত ও বাংলাদেশের শিল্পীরা একসঙ্গে পরিবেশন করেন ‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য..’ গানটি।

অনুষ্ঠানে ‘ব্যতিক্রম মাসদো’র পক্ষ থেকে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের হাতে ভূপেন হাজারিকার আত্মজীবনীসহ তার লেখা ১৮টি বই ও দু’টি প্রামাণ্যচিত্র তুলে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৩২৯ ঘণ্টা; নভেম্বর ০৬, ২০১৮
এইচএমএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।