শনিবার (৮ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হয় বাংলা একাডেমির সাধারণ পরিষদের ৪১তম বার্ষিক সভা। এতে দুপুরে গুণী এ ব্যক্তিদের সম্মাননা জানানো হয়।
একাডেমি পরিচালিত চারটি পুরস্কারের মধ্যে ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী পেয়েছেন সাহিত্যিক মোহম্মদ বরকতুল্লাহ প্রবন্ধসাহিত্য পুরস্কার, কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা পেয়েছেন মযহারুল ইসলাম কবিতা পুরস্কার, কবি আবিদ আজাদ (মরণোত্তর) পেয়েছেন সা’দত আলী আখন্দ সাহিত্য পুরস্কার এবং অধ্যাপক হায়াৎ মামুদ পেয়েছেন কবীর চৌধুরী শিশুসাহিত্য পুরস্কার ২০১৮।
‘বাংলা একাডেমি সম্মানসূচক ফেলোশিপ ২০১৮’ প্রাপ্তরা হচ্ছেন শিক্ষা ও গবেষণায় অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, চারুকলায় শিল্পী মনিরুল ইসলাম, কারুশিল্পে মঞ্জুলিকা চাকমা, নাট্যকলায় এসএম মহসীন, চিকিৎসাসেবায় ডা. সামন্ত লাল সেন, সংগীতচর্চায় শিল্পী রওশন আরা মুস্তাফিজ এবং বইবান্ধব সমাজ প্রতিষ্ঠায় পলান সরকার। অসুস্থ থাকায় পলান সরকারের পক্ষে ফেলোশিপ গ্রহণ করেন তার বড় ছেলে মো. হায়দার আলী।
পুরস্কার ও ফেলোশিপপ্রাপ্তদের হাতে পুরস্কারের অর্থমূল্য, সম্মাননাপত্র, সম্মাননা-স্মারক ও ফুলেল শুভেচ্ছা তুলে দেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আনিসুজ্জামান এবং ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। প্রয়াত কবি আবিদ আজাদের পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন তার বড় ছেলে ছেলে তাইমুর রশীদ।
অনুষ্ঠানে জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠার পর থেকে তার সামর্থ্য অনুযায়ী বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের গবেষণায় কাজ করে যাচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে মানুষের প্রত্যাশা বিপুল। আজকের সাধারণ সভায়ও একাডেমির সদস্যরা নানা মতামত ও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। আমাদের মনে রাখতে হবে বাংলা একাডেমি যেমন এর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের, তেমনি সদস্যরাও একাডেমি পরিবারের অংশ। আমরা আশা করি, আগামী দিনগুলোতে বাংলা একাডেমি সবার সহযোগিতায় তার কার্যক্রম আরো সুচারুরূপে পালন করতে সক্ষম হবে।
সকালে শিল্পী তপন মাহমুদের পরিচালনায় সংগীত সংগঠন ‘বৈতালিক’-এর শিল্পীদের সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনা এবং পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের মধ্যদিয়ে সভা শুরু হয়। এরপর দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রয়াত গুণী ব্যক্তিদের স্মরণে শোকপ্রস্তাব পাঠ ও তাদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সভায় বাংলা একাডেমির ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ও সচিব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ২০১৭-১৮ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন এবং ২০১৮-১৯ সালের বাজেট অবহিত করেন। একাডেমির সদস্যরা বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজেট সম্পর্কে সাধারণ আলোচনায় অংশ নেন।
সভার কার্যক্রম সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির পরিচালক ডা. কে এম মুজাহিদুল ইসলাম এবং উপপরিচালক ড. শাহাদাৎ হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৮
এইচএমএস/আরবি/