ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

দীপনপুরে ঐহিক সম্মাননা প্রদান ও কবিতা-গল্প পাঠ

শিল্প-সাহিত্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৩ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০১৯
দীপনপুরে ঐহিক সম্মাননা প্রদান ও কবিতা-গল্প পাঠ ঐহিক সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান

রাজধানীর দীপনপুরে সম্পন্ন হয়েছে ঐহিক সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান। এতে ও কবিতা-গল্প পাঠ করেছেন তরুণ কবি ও কথাসাহিত্যিকরা। 

অমর একুশে গ্রন্থমেলা সমাপ্তির কথা মাথায় রেখে ঐহিক বাংলাদেশ তাদের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শুক্রবার (১ মার্চ)। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চলতি বছর বইমেলা দীর্ঘায়িত হওয়ায় অনুষ্ঠানের শুরুতে আয়োজকরা চিন্তিত ছিলেন দর্শক-শ্রোতার সমাগম নিয়ে।

তাদের দুশ্চিন্তাকে ভুল প্রমাণ করে বিপুলসংখ্যক সাহিত্যানুরাগী উপস্থিত হন ঐহিকের আয়োজনে।

কলকাতায় ঐহিক যাত্রা শুরু করে ত্রিশ বছর আগে। তিরিশ বছরের লিটল ম্যাগ ঐহিক বাংলাদেশে কাজ শুরু করে পাঁচ বছর আগে। শুরু থেকেই তারা সচেষ্ট ছিলো দুই বাংলার সেতুবন্ধনে। সীমানাহীন সাহিত্যের এই উদ্যোগে তারা সম্মাননা প্রদান, বই প্রকাশ, সাহিত্যের আড্ডা ও অন্যান্য ছোট-বড় অনুষ্ঠান ও তাদের প্রিন্ট ও ওয়েবজিনে দেশে ও প্রবাসে বসবাসকারী বাংলাদেশের কবি ও কথাসাহিত্যিকদের যথাযথ গুরুত্ব প্রদানের কারণে আপন হয়ে ওঠে অচিরেই।
ঐহিক সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানশুক্রবার দীপনপুরে ছিল তেমনই এক নিবিড় করে নেওয়া সাহিত্য সন্ধ্যা। অনুষ্ঠানে ২০১৯-এর পাণ্ডুলিপি সম্মাননা দেওয়া হয়েছে রাজশাহী নিবাসী তরুণ কথাসাহিত্যিক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সুবন্ত যায়েদকে। এবং সৃজন সম্মান পেলেন তরুণ কবি হাসনাত শোয়েব। এ দুই তরুণ কবিকে সম্মাননা ও তাদের বই প্রকাশ ছাড়াও আরো এক ঝাঁক তরুণের বই প্রকাশ করেছে ঐহিক।  

বাংলাদেশের অগ্রজ সাহিত্যিকদেরও কবিতা ও গল্প সংকলনও তারা প্রকাশ করে চলেছে একই সাথে। ঐহিক প্রকাশিত বইগুলি ভার‍ত-বাংলাদেশ, উভয় দেশেই সমাদৃত হচ্ছে।  

স্বভাবতই ঐহিকের আন্তরিকতা ও উষ্ণ আতিথেয়তায় দীপনপুর প্রেক্ষাগৃহে নবীন-প্রবীণের মেলবন্ধনে শনিবার সন্ধ্যা হয়ে উঠেছিলো আনন্দমুখর। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কবি জুয়েল মাজহার, কবি কাজল শাহনেওয়াজ, কথাসাহিত্যিক নাসরীন জাহান, কবি ফেরদৌস নাহার ও কবি উমাপদ কর।

অনুষ্ঠানে কবিতা ও অণুগল্প পাঠ করেন তরুণরা। ঐহিক এর পক্ষে তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানান তমাল রায় ও মেঘ অদিতি।

সীমানাহীন সাহিত্যের এ উদ্যোগ অব্যাহত থাকুক। শুধু কথায় না কাজেও এগিয়ে আসুক ঐহিকের মতো অন্যান্য সংস্থাও। ভৌগলিক ও রাজনৈতিক বিভাজন অগ্রাহ্য করে বাংলাভাষা এক ও অখণ্ড সত্তায় এগিয়ে চলুক অন্যভোরের সন্ধানে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১৯
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।