ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

আবৃত্তিও এক ভাষা আন্দোলন: মুনমুন মুখার্জী

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৯
আবৃত্তিও এক ভাষা আন্দোলন: মুনমুন মুখার্জী

ঢাকা: কবিতার সঙ্গে তার দৈনন্দিন ঘরকন্না। তার আবৃত্তির বিশেষ ঘরানা আলাদা করেই মুগ্ধ করে শ্রোতাদের। যেখানেই নিজের কণ্ঠে উচ্চারণ করেছেন কবিতার পংক্তি, পেয়েছেন দর্শক-শ্রোতার অফুরান ভালোবাসা, অভিনন্দন। বলা হচ্ছে, ভারতের বিশিষ্ট আবৃত্তিকার মুনমুন মুখার্জীর কথা। 

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর জাতীয় পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান মিলনায়তনে ছিল গুণী এ বাচিকশিল্পীর পরিবেশনা। এদিন অষ্টম ‘সংবৃতা আবৃত্তি উৎসব’র সমাপনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে কবিতা দৃপ্ত উচ্চারণে তিনি ছুঁয়ে গেলেন মিলনায়তন ভর্তি দর্শক-শ্রোতার হৃদয়।

 

এখানেই কবিতা, আবৃত্তি আর ভাষা নিয়ে বলতে গিয়ে এক পর্যায়ে মুনমুন মুখার্জী বলেন, আবৃত্তির মাধ্যমে ভাষার শুদ্ধ চর্চাটাও একটা ভাষা আন্দোলন। আমাদের এ আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।

দুইদিনব্যাপী আবৃত্তি উৎসবের সমাপনীতে প্রধান অতিথি ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এ কে এম সামছুদ্দোহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সামসুজ্জামান বাবু, বাচিকশিল্পী আশরাফুল আলম, আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহকাম উল্লাহ, অভিনেতা ও আবৃত্তিশিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়।  

আবৃত্তির বিশেষত্ব তুলে ধরতে গিয়ে উপাচার্য আখতারুজ্জামান বলেন, আবৃত্তি আমাদের সুন্দর মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কেননা, কবিতার মধ্য দিয়ে আবৃত্তি আমাদের মানবিক গুণাবলি, অসাম্প্রদায়িকতা ও বিশেষ মূল্যবোধ তৈরিতে সাহায্য করে।

জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, বর্তমান সময়ে এসে আমরা বাংলা ভাষার মান, মাধুর্য, কমনীয়তা হারিয়ে ফেলছি। প্রমিত বাংলার পরিবর্তে আমরা এখন আঞ্চলিক ভাষাসহ অন্য ঘরানার ভাষার প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়ে পড়ছি। আমরা অবশ্যই আঞ্চলিক ও অন্য ভাষাকে সম্মান করি, তবে নিজেদের ভাষায় শুদ্ধ করে কথা বলতে পারাটাও আমাদের একটি নৈতিক দায়িত্ব। আর আবৃত্তির মাধ্যমে তা ফিরিয়া আনা সম্ভব। বাংলা ভাষার ফুল ফোটাতে আবৃত্তি অপরিহার্য।

সমাপনী দিনের এ আয়োজনে উৎসবে আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

শেষে মঞ্চে কবিতার ডালি নিয়ে হাজির হন মুনমুন মুখার্জী। কবিতার দৃপ্ত উচ্চারণে এসময় মুখরিত হতে থাকে পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তন। পিনপতন নীরবতায় এ আসর উপভোগ করেন কবিতাপ্রেমীরা। এসময় শিল্পী নিজের কণ্ঠে জনপ্রিয় নানা কবিতা আবৃত্তি ছাড়াও রবীন্দ্রনাথ ও কাজী নজরুল ইসলামের বিভিন্ন কবিতা আবৃত্তি করে শোনান।  

বাংলাদেশ সময়: ০৫৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৯
এইচএমএস/এইচজে 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।