ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

‘দায়বদ্ধ লেখকে পরিণত হয়েছেন শেখ হাসিনা’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৯
‘দায়বদ্ধ লেখকে পরিণত হয়েছেন শেখ হাসিনা’ বাংলা অ্যাকাডেমির অনুষ্ঠানে অতিথিরা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বাংলা অ্যাকাডেমির সভাপতি ও জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, রাজনৈতিক নেতা ও রাষ্ট্রনায়কের পাশাপাশি দায়বদ্ধ লেখকে পরিণত হয়েছেন শেখ হাসিনা। রাজনীতিবিদ ও রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে শেখ হাসিনা যতটা আলোচিত হয়েছেন, লেখক শেখ হাসিনাও ঠিক ততটাই আলোচনা পাওয়ার দাবিদার।

বুধবার (৯ অক্টোবর) বাংলা অ্যাকাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘লেখক শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান, শেখ হাসিনাকে নিবেদিত স্বরচিত কবিতাপাঠ, আবৃত্তি ও সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে আনিসুজ্জামান বলেন, আমার ভালো লাগছে, ৩০ বছর আগে শেখ হাসিনার প্রথম গ্রন্থ ‘ওরা টোকাই কেন’র ভূমিকা লিখেছিলাম আমি।

তখন ভাবিনি রাজনীতির প্রবল দাবি মিটিয়ে শেখ হাসিনা লেখালেখিও অব্যাহত রাখতে পারবেন। কিন্তু, তিনি আমাদের বিস্মিত করে রাজনীতির পাশাপাশি লেখালেখিতেও সমান সক্রিয়তার পরিচয় দিয়ে চলেছেন। তার রচনায় মূলত তিনটি বিষয় মূল প্রতিপাদ্য হিসেবে ধরা দেয়। এগুলো হলো দারিদ্র্য দূরীকরণ, শিক্ষাবিস্তার ও গণতন্ত্রের প্রসার।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, দেশের মানুষের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তির লক্ষ্যে নিরলস সংগ্রামের পাশাপাশি দেশের সাংস্কৃতিক জাগরণেও শেখ হাসিনা ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করছেন। বাংলা সাহিত্যের শিক্ষার্থী হিসেবে তার রাজনৈতিক জীবনেও রয়েছে সাহিত্যের নিবিড় প্রভাব।

তিনি বলেন, আমাদের লেখক-সাহিত্যিক ও সংস্কৃতিজনের যেকোনো প্রয়োজনে, দুর্যোগে প্রধানমন্ত্রী পাশে দাঁড়ান। এভাবেই লালন, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল আর রাজনীতির কবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা স্বপ্নকে সফল করতে রাষ্ট্রনায়ক ও লেখক শেখ হাসিনা হেঁটে চলেছেন অবিরাম বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষের দিকে, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিকে।

বিশেষ অতিথি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল এনডিসি বলেন, শেখ হাসিনা তার রচনায় কঠিন কথাও সহজ করে বলেছেন। মাটি ও মানুষের প্রতি তার অকৃত্রিম ভালোবাসার প্রকাশ মুদ্রিত রয়েছে অক্ষরে অক্ষরে। জাতির পিতার মতোই শেখ হাসিনাও লেখালেখিতে অসামান্য দক্ষতার ছাপ রেখে চলেছেন।

অনুষ্ঠানে একক বক্তা হিসেবে লিখিত বক্তব্যে কবি কামাল চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনার লেখালেখিকে দুই ভাগে বিভক্ত করা যায়। একটি আত্মজৈবনিক স্মৃতিকথা, যেখানে উঠে এসেছে তার গ্রাম-জীবন, শৈশব-কৈশোরের স্মৃতি, পারিবারিক জীবন, পিতার অম্লান স্মৃতিচারণ। অন্য অংশে তার রাজনৈতিক সামাজিক অর্থনৈতিক চিন্তা ও উন্নয়নদর্শন প্রতিফলিত। মানবিক অঙ্গীকার, উপলব্ধির সততা আর প্রকাশভঙ্গির সারল্য একজন সফল রাজনৈতিক নেতা ও রাষ্ট্রনায়কের পাশাপাশি তাকে পরিণত করেছে একজন দায়বদ্ধ লেখকে।

স্বাগত বক্তব্যে বাংলা অ্যাকাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত হয়েছিল শেখ হাসিনার প্রথম বই ‘ওরা টোকাই কেন’। ২০১৮-তে তার প্রথম বই প্রকাশের ত্রিশ বছর পূর্ণ হল। আজকের এই আলোচনা সে অর্থে শেখ হাসিনার লেখকজীবনের তিন দশক পূর্তিরও আনন্দ উদযাপন। কোমল-স্নিগ্ধ-পেলব ভাষাভঙ্গিতে তিনি বয়ান করে চলেন রচনার একেকটি অক্ষর; পরম মমতায়, সংগ্রামে ও সংকল্পে যেমন রচনা করে চলেছেন বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের সামষ্টিক অগ্রগতির সোনালি স্বপ্ন-অক্ষর।

এর আগে বাংলা অ্যাকাডেমি প্রাঙ্গণে শেখ হাসিনা রচিত ও সম্পাদিত গ্রন্থের সপ্তাহব্যাপী প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার (৯ অক্টোবর) অতিথিরা এ বই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। এটি চলবে আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত।

বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৯
এসই/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।