ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের জন্মবার্ষিকী উদযাপন

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৯
আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের জন্মবার্ষিকী উদযাপন

ঢাকা: বাংলা সাহিত্যের খ্যাতিমান গবেষক আবদুল করিম সাহিত্যবিশাদের ১৪৮তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেছে বাংলা একাডেমি।

 

এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১০ই অক্টোবর) বিকেলে বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে একক বক্তৃতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বাংলা একাডেমির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও কর্মকর্তা মাহবুবা রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী।

 

আবদুল করিমের  লোকসাহিত্য-চর্চা শীর্ষক বক্তৃতা প্রদান করেন রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ।  

তিনি বলেন, আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ কেবল পুঁথি সংগ্রাহক ছিলেন না, লোকসাহিত্যচর্চায়ও তার অবদান স্মরণযোগ্য। যদিও পুঁথি সংগ্রহ ও ইতিহাসচর্চার আড়ালে তার এই দিকটি তেমনভাবে আলোচনায় আসেনি।

অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ বলেন, লোকভাষার শব্দগত বুৎপত্তি নির্ণয়, ছড়া-ধাঁধা-ব্রত-হেঁয়ালি ইত্যাদি সংগ্রহ, ব্যতিক্রমী বাউল গান উদ্ঘাটন এবং এ সমস্ত লোক উপাদানের ব্যাখ্যা প্রদানে আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের ভূমিকা আধুনিক ফোকলোরবিদের মতই। সামাজিক বিবর্তনের ফলে লোকসাহিত্যের আবেদন-হ্রস বা লুপ্ততার পেছনে ঔপনিবেশিক শাসনকে দায়ী করেছেন সাহিত্যবিশারদ।

সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের অবদান চিরস্মরণীয়। পুঁথি সংগ্রাহক এবং লোকসাহিত্যসহ বহু বিষয়ের গবেষক হিসেবে তিনি অনন্য। তার এ অবদান যথাযোগ্য স্বীকৃতি লাভ করবে বলে তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেন।  

স্বাগত বক্তব্যে হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, রক্ষণশীল সামাজিক পরিবেশের সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ তার একজীবনের শ্রম ও সাধনায় বিপুলসংখ্যক পুঁথি সংগ্রহ করেছেন, পাঠোদ্ধার সম্পন্ন করেছেন। তার আবিষ্কৃত পুঁথিসমূহকে সঙ্গত কারণেই ‘মধ্যযুগের মুসলিম বাংলা সাহিত্যে প্রবেশপথের প্রদ্বীপ’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মনিরুজ্জামান, অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান, অধ্যাপক নেহাল করিমসহ অনেকে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৯
এইচএমএস/ কেএসডি/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।