ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

লিট ফেস্টের বৃষ্টিস্নাত সমাপন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৯
লিট ফেস্টের বৃষ্টিস্নাত সমাপন

ঢাকা: দ্বিতীয় দিনেই ছোঁয়া বৃষ্টির। শেষ দিনে তো সকাল থেকেই। ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর আগমনী বার্তার মাঝে বৃষ্টিস্নাত সমাপন হলো ঢাকা লিট ফেস্টের।

শনিবার (৯ নভেম্বর) ছিল ঢাকা লিট ফেস্টের শেষ দিন। ভজন আর কীর্তনের সুর মূর্ছনায় শুরু হওয়া শেষ দিনের আয়োজন শেষ হয় সামনের দিনে আরও ভালো করার প্রত্যাশায়।

শনিবার সন্ধ্যায় সমাপনী আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী, ঢাকা ট্রিবিউন সম্পাদক জাফর সোবহান, ব্রাজিলিয়ান লেখক মারিয়া ফিলোমেনা বৈসো লেপেস্কি, সিটি ব্যাংকের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মাশরুর আরেফিন ও উৎসবের তিন পরিচালকদের অন্যতম সাদাফ সায।

সাদাফ সায বলেন, সবার সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে এই আয়োজন আরও আকর্ষণীয় এবং জনমানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। আর ২০২০ সালে ঢাকা লিট ফেস্ট উৎসর্গ করা হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।

ঢাকা লিট ফেস্টে ভারতীয় রাজনীতিবিদ শশী থারুর।  ছবি: রাজীন চৌধুরী

ঢাকা লিট ফেস্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বাংলা সাহিত্যকে বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতির বিষয়ে জানান তিনি।

শনিবার সকালে ইসকনের সঙ্গীত দলের ভজন কীর্তন দিয়ে শুরু হওয়ার পর শিশুতোষ বই ‘সাগর তীরে’র মোড়ক উন্মোচন করা হয়। উন্মোচনের পর লেখক নাজিয়া জেবীন বই থেকে শিশুদের গল্প পড়ে শোনান। উন্মোচনের সময় বইটির প্রকাশক মিথিয়া ওসমান এবং মুদ্রণকারী মৌমিতা শিকদার উপস্থিত ছিলেন।

একই মঞ্চে পরে ‘দ্য এলিফ্যান্ট ইন দ্য রুম’ বইয়ের লেখক নন্দিতা খান বই থেকে শিশুদের গল্প পড়ে শোনান। এসময় বইটির মুদ্রণকারী শাফরিন ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।

পরবর্তীতে আবারও একই মঞ্চে ওঠেন কার্টিস জবলিং। তিনি শিশুদের বিভিন্ন শব্দজট ও ছবির মাধ্যমে নানা জিনিস শেখান। কয়েকটি গল্পের সঙ্গে অভিনয় করেও দেখান। এ সময় লনে ‘রিভাইভিং দ্য আর্ট অব স্টোরি টেলিং’ শীর্ষক শিশুতোষ আলোচনায় মাদিহা মোরশেদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ চিত্রকর ও অ্যানিমেটর কার্টিস জবলিং, চাইল্ড স্পেশালিস্ট ফ্রান হুরলি, নিউরোসায়েন্টিস্ট নাইলা জামান খান এবং সাজিয়া জামান।

বাংলা একাডেমির কসমিক টেন্টে ‘পাওয়ার অব পিকচার’ সেশনে উপস্থিত ছিলেন গ্রাফিক নভেলিস্ট ও কার্টুনিস্ট ফাহিম আঞ্জুম এবং চলচ্চিত্র ও বিজ্ঞাপন নির্মাতা আবরার আখতার। সঞ্চালক ছিলেন কার্টুনিস্ট সৈয়দ রাশাদ ইমাম তন্ময়। কসমিক থেকে সমাজের যে বড় পরিবর্তন এসেছিল, তা নিয়ে আলোচনার মাধ্যমেই ‘পাওয়ার অব পিকচার’ সেশনটি শেষ হয়।

আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ অডিটোরিয়ামে পুলিৎজার পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক জেফরি গেটেলম্যান তার বই ‘লাভ, আফ্রিকা: আ মেমোয়ার অব রোমান্স, ওয়ার অ্যান্ড সারভাইভাল’ নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন। ‘লাভ, আফ্রিকা’ শীর্ষক সেশনটি সঞ্চালনা করেন জাফর সোবহান।

সকালে সবচেয়ে জমজমাট আলোচনা ছিল ভারতীয় রাজনীতিবিদ শশী থারুর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সি আর আবরারের আলাপ। লেখক শশী থারুরের বই নিয়ে আলাপ করার পরিকল্পনা থাকলেও সেটি গড়ায় কাশ্মীর, মোদী ও রামমন্দির ইস্যুতে।

বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে আয়োজিত ‘সাহিত্য ও সাংবাদিকতা: দ্বৈতসত্তার মিল-অমিল’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের কবি ও সাংবাদিক মৃদুল দাশগুপ্ত, কবি ও সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি এবং প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কবি সাজ্জাদ শরীফ। । অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নিউজ টুয়েন্টিফোরের প্রধান বার্তা সম্পাদক শাহনাজ মুন্নী।

দিনব্যাপী আয়োজনে আরও ছিল ‘অন দ্য রোড: ট্রাভেল রাইটিং উইথ উইলিয়াম ড্যালরিম্পল’ শীর্ষক অধিবেশনে অংশ নেন ইতিহাসবিদ উইলিয়াম ড্যালরিম্পল। মঞ্চের ও ব্যক্তিজীবনের জুটি ফেরদৌসী মজুমদার ও রামেন্দু মজুমদার আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মঞ্চে বসেন জীবন ও পেশার গল্প নিয়ে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৯
ডিএন/এইচএমএস/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।