ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

জীবনের গল্প বললেন ফেরদৌসী-রামেন্দু জুটি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৯
জীবনের গল্প বললেন ফেরদৌসী-রামেন্দু জুটি

ঢাকা: মঞ্চে তাদের পরিচয়। সেখান থেকে প্রণয়। প্রণয় থেকে পরিণয়। মঞ্চের জুটি থেকে বাস্তব জীবনের জুটি হয়ে ওঠা রামেন্দু মজুমদার ও ফেরদৌসী মজুমদার শনিবার (৯ নভেম্বর) আলাপনে বসেছিলেন। অধ্যাপক আবদুস সেলিমের সঞ্চালনায় প্রাণবন্ত আলাপনে তারা শোনালেন মঞ্চের গল্প, জীবনের গল্প।

ঢাকা লিট ফেস্টের অংশ হিসেবে বাংলা একাডেমির আবুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে ‘মঞ্চের জুটি, জীবনের জুটি’ শীর্ষক অধিবেশনে তারা কথা বলেন।

প্রথমেই ফেরদৌসী মজুমদার শোনালেন বিয়ের আগের জীবনের গল্প।

বললেন, ‘আমার বাবা খুবই রক্ষণশীল ছিলেন। ওই সময় আমাদের ভালোবাসার কথা তাকে বলার সাহস ছিল না। কিন্তু বাবার মেয়ে হিসেবে বাবার মতোই জেদি ছিলাম। এক সময় তিনি রাজি হয়ে গেলেন। তবে ১৯৭০ সালে এই বিয়ে প্রকাশ্যে হওয়া সম্ভব ছিল না। আমার দুই বড় ভাই মুনীর চৌধুরী ও কবীর চৌধুরীর সাহায্যে এই বিয়ে সম্ভব হয়। ’

ভালোবাসার কথা কে আগে প্রকাশ করেন- এ প্রশ্ন ছিল রামেন্দু মজুমদারের কাছে। তিনি বললেন, ‘যেহেতু ছেলেরা আগে বলে। সেজন্য আমিই ফেরদৌসীকে বলেছিলাম। ’

তারা জানালেন মঞ্চে প্রথম একসঙ্গে কাজ করেন ‘তামাশা’ নাটকে। আর টেলিভিশনে প্রথম কাজ ‘একতলা-দোতলা’। ফেরদৌসী মজুমদার বললেন, ‘তখন অনেক কুসংস্কার ছিল। এই যেমন বিয়ের আগে কোনো পুরুষকে স্পর্শ করা যাবে না। ’

রামেন্দু মজুমদার বললেন, ‘আমরা দু’জনই মুনীর চৌধুরী ও আবদুল্লাহ আল মামুনের কাছে চিরকৃতজ্ঞ। তারা না থাকলে আমরা এতদূর আসতে পারতাম না। ’

একসঙ্গে প্রায় ৫০ বছর কাটিয়ে দেওয়ার রহস্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোনো রহস্য নেই। আমাদের পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধাবোধ ও বন্ধুত্বের কারণেই আমরা এতদূর আসতে পেরেছি। ’

বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৯
ডিএন/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।