শনিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টায় ধানমন্ডির বেঙ্গল শিল্পালয়ে 'কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার-২০১৯’ তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে কবিতায় 'জলপরীদের দ্বীপে' শীর্ষক কাব্যগ্রন্থের জন্য কবি হানযালা হান, কথাসাহিত্যে 'লালবেজি' গল্পগ্রন্থের জন্য কথাশিল্পী কামরুন নাহার শীলা, প্রবন্ধে 'সৈয়দ নজরুল ইসলাম: মহাজীবনের প্রতিকৃতি' প্রবন্ধ গ্রন্থের জন্য ফয়সাল আহমেদ, মুক্তিযুদ্ধ শাখায় 'মুক্তিযুদ্ধে ভারতের চিকিৎসা সহায়তা'শীর্ষক মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক গবেষণা ও সাহিত্যের জন্য চৌধুরী শহীদ কাদেরের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
কালি ও কলম সম্পাদকমন্ডলীল সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্পী রফিকুন নবী, নাট্যজন আসাদুজ্জামান নূর, কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন, অধ্যাপক মাহবুব সাদিক, কালি ও কলম’র প্রকাশক আবুল খায়ের, সম্পাদক আবুল হাসানাত প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে কালি ও কলম সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি। যাদেরকে আমরা কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কারের জন্য নির্বাচন করেছি। তারা পরবর্তীকালে বিভিন্ন শাখায় অবদান রেখেছে এবং পুরস্কার পেয়েছে। এটাই আমাদের সাফল্য। আমরা কখনো বাছাই করতে ভুল করিনি।
তিনি আরও বলেন, আজ যে চারজন পুরস্কার পেল তাদের লেখার মধ্যে তথ্য সংগ্রহের বিপুলতা আছে। ভাষার বহিঃপ্রকাশ আছে। অনুভূতির বৈচিত্র আছে। তারাও পরে ভালো করবেন আশা করি।
পুরস্কার প্রদান শেষে নাট্যজন আসাদুজ্জামান নূর কবিতা পাঠ করেন। এসময় তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সৈয়দ শামসুল হক ও জীবনানন্দ দাশের বেশ কয়েকটি কবিতা পাঠ করেন। এরপর বেঙ্গল পরম্পরা সঙ্গীতালয়ের বিদ্যার্থী সোহিনী মজুমদার সেতারা পরিবেশনার মধ্য দিয়ে আয়োজন শেষ হয়।
শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক মাসিক পত্রিকা কালি ও কলম বাংলাদেশের নবীন কবি ও লেখকদের সাহিত্যের গতি সঞ্চারের উদ্দেশ্যে ২০০৮ সাল থেকে এ পুরস্কার দিয়ে আসছে। পাঁচটি ক্ষেত্রে এ পর্যন্ত ৪৩ জন কবির ও লেখক পুরস্কার অর্জন করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০২০
পিএস/এবি