বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে বাচিক শিল্পী লুৎফা বিনতে রব্বানীর কণ্ঠে ‘চিৎকার করো মেয়ে, দেখি কতদূর গলা যায়’ আবৃত্তির মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ আয়োজন।
এরপর একে একে আবৃত্তি করেন শান্তা তাওহীদ, মুনমুন খান, বিরেইন।
আয়োজনে সংহতি জানান বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আহাদুজ্জামান মোহাম্মদ আলী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, বিশিষ্ট আবৃত্তিশিল্পী আশরাফুল আলমসহ বরেণ্যজনেরা। স্বাগত বক্তব্য দেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহকাম উল্লাহ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মীর মাসরুর জামান রনি।
আহকাম উল্লাহ বলেন, আমাদের জীবনযাপনের প্রক্রিয়া থেকে ‘ধর্ষণ’ শব্দটি মুছে ফেলতে আমরা সংস্কৃতিকর্মীরা দৃঢ়প্রত্যয়ী। ধষর্ণের বিচার কাজ কতদূর এগোলো, তার থেকে এখন বড় কথা আর কেউ যেন ধর্ষণের শিকার না হয়। প্রতিটি ধর্ষণের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সব গৌরব ম্লান হয়ে যায়।
ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ বলেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশে এখন ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। অথচ আমরা এখনো সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন নিয়ে আছি। আমরা ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। একই সঙ্গে ধর্ষণ তদন্ত করার জন্য আলাদা একটি বিশেষায়িত তদন্ত কমিটি গঠন করা প্রয়োজন। আর আমাদের মানসিকতারও পরিবর্তন করা জরুরি। কেননা আমার রাস্তার ধারের ধর্ষণের খবরগুলো নিয়েই আন্দোলন করি, অথচ আমাদের ঘরেও প্রতিনিয়ত অসংখ্য নারী ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন।
গোলাম কুদ্দুছ বলেন, আইনের কঠোর প্রয়োগের পাশাপাশি ধর্ষণ না করার বিষয়াটিও আমাদের ভাবতে হবে। শিক্ষাব্যবস্থায় নৈতিকতার বিষয়ে আরো গুরুত্ব দিতে হবে এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ের আগে শিশুদের হাতে অ্যানড্রয়েড মোবাইল তুলে দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
আয়োজনে নারীর প্রতি সম্মান জানিয়ে কবিতার শব্দে প্রতিবাদ করেন নারী বাচিক শিল্পীরা। এসময় আবৃত্তিতে অংশ নেন আবৃত্তি শিল্পী তিথি, তামান্না পারভিন ছন্দা, সৈয়দা সালমা শিরিন, শারমিন নাহার, তাহেরা আফরোজ, আফরিন খান, সাবিরা মাহবুব উর্মি, সিফাত সালাম, তানজিয়া তাজিম, খন্দকার শামীমা সুলতানা, তামান্না তিথি, জেবুন নেসা খানম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৯
এইচএমএস/এএ