একুশে বইমেলা নিয়ে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের কাছে একগুচ্ছ প্রস্তাব তুলে ধরেছে সৃজনশীল গ্রন্থ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানসমূহের একমাত্র প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন ‘বাংলাদেশ সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি’।
সমিতির প্রতিনিধিদল রোববার (২৭ অক্টোবর) বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ আজমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রস্তাবগুলো তুলে ধরে।
অভ্যুত্থানোত্তর বাংলাদেশে পাঠক, লেখক, প্রকাশকদের মিলনমেলা ‘অমর একুশে বইমেলা-২০২৫’ নিয়ে প্রতিনিধিদল আনুষ্ঠানিকভাবে লিখিত প্রস্তাবগুলো হলো-
১. ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৫’ কে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের থিমে আয়োজন করা।
২. বইমেলা আয়োজনের সকল উপকমিটিতে ন্যূনতম একজন প্রকাশক প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা।
৩. প্রকৃত প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে স্টল বরাদ্দ দিতে হবে। সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে বাদ দিতে হবে।
৪. মেলার সময় রাত ১০টা পর্যন্ত বর্ধিত করা এবং মেলা উপলক্ষে রাত ১০.৩০ পর্যন্ত মেট্রোরেলের বিশেষ ট্রিপ চালুর ব্যবস্থা করা।
৫. বাংলা একাডেমি চত্বরে কোনো প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে স্টল বরাদ্দ না দেওয়া। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ব্যতিরেকে অন্য কোনো ধরনের প্রতিষ্ঠানকে স্টল বরাদ্দ না দেওয়া।
৬. বিগত বছরগুলোতে চিহ্নিত লুটেরাশ্রেণি এবং দুর্নীতিবাজ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করা এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
সৌজন্য সাক্ষাতে বাংলাদেশ সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির প্রতিনিধি হিসেবে প্রকাশকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা আরিফুর রহমান নাইম (ঐতিহ্য), সভাপতি ইকবাল হোসেন সানু (লাভনী), সাধারণ সম্পাদক মো. গফুর হোসেন (রিদম প্রকাশনা), আবুল বাশার ফিরোজ (ধ্রুবপদ), মো. জহির দীপ্তি (ইতি প্রকাশন), মো. আইনুল হোসেন (এএইচ ডেভলাপমেন্ট পাবলিশিং), শাহ আল মামুন (মনন প্রকাশ), মো. মিজানুর রহমান (শোভা প্রকাশ), মাশফিক উল্লাহ তন্ময় (স্টুডেন্ট ওয়েজ), মনির হোসেন পিন্টু (অন্যধারা), আবু বকর সিদ্দিক রাজু (স্বরে-অ), রাজ্জাক রুবেল (গ্রন্থিক)।
আলোচনায় নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে এবং একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় বাংলা একাডেমি ও প্রকাশকদের কাজের গুরুত্ব এবং পারস্পরিক সহযোগিতার ইস্যু উঠে আসে। ঐক্যবদ্ধ থেকে একটি সফল বইমেলা আয়োজনে পারস্পরিক প্রত্যাশা ও যৌথ উদ্যোগের ব্যাপারে ঐকমত্য প্রকাশ করে ‘বাংলা একাডেমি’ এবং ‘বাংলাদেশ সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি’।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২৪
নিউজ ডেস্ক