বাংলানিউজকে পাঠানো এক বার্তায় ‘লোক’ সম্পাদক অনিকেত শামীম ৫ দিনের কর্মসূচির বিস্তারিত তুলে ধরেন।
১৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার থেকে ১৮ জানুয়ারি শনিবার পর্যন্ত এই উৎসবে থাকছে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনাসভা, কবিতাপাঠ, সম্মাননা প্রদান, গান ও আড্ডার পাশাপাশি জাহাজভ্রমণ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে মঙ্গলবার বিকেল ৫টায়। সভাপতিত্ব করবেন কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। স্বাগত ভাষণ দেবেন লোক সম্পাদক অনিকেত শামীম। শুরুতেই ভিডিওচিত্রে লোকের দুই দশক পরিক্রমা দেখানো হবে। এরপর লোক-এর ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রকাশিত সংখ্যার পাঠ উন্মোচন। এ পর্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী, কবি কামাল চৌধুরী, কবি ফরিদ কবির, কথাশিল্পী সেলিম মোরশেদ, কবি রহমান হেনরী, কবি মুজিব মেহদী, কবি জাহানারা পারভীন, কবি সোহেল হাসান গালিব ও বিভিন্ন সাহিত্য-সংস্কৃতি সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
এরপর কয়েকটি ক্যাটাগরিতে সম্মাননা প্রদান করা হবে। আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী (নতুন দিগন্ত), আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ (কণ্ঠস্বর), রামেন্দু মজুমদার (থিয়েটার) ও আবুল কাসেম ফজলুল হক (লোকায়ত)। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের লিটলম্যাগ সম্মাননা কোটায় রয়েছে অনিন্দ্য, চর্যাপদ, লিরিক, নিসর্গ, জীবনানন্দ, প্রতিশিল্প, দূর্বা, মেঘ ও কারুভাষ। লিটলম্যাগ প্রকাশনা ও প্রতিষ্ঠান সম্মাননা পাচ্ছে উলুখড় (ঢাকা) এবং কলিকাতা লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি ও গবেষণাকেন্দ্র। লেখক সম্মাননা পাচ্ছেন কবি গৌতম চৌধুরী, কবি সরকার মাসুদ, কবি রোকসানা আফরিন, কবি শিবলী মোকতাদির, কবি কাজী নাসির মামুন, কবি মাদল হাসান ও কবি জুয়েল মোস্তাফিজ।
চিত্রশিল্পী ও আলোকচিত্রীর সম্মাননা পাচ্ছেন পীযুষ দস্তিদার ও খায়রুল মোমিন দুলাল।
পরদিন বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় পরীবাগের সংস্কৃতি বিকাশকেন্দ্রে শুরু হবে দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠান। শুরুতেই ‘ছোটকাগজের লড়াই : বর্তমান পরিপ্রেক্ষিত’ শীর্ষক সেমিনার। এতে সভাপতিত্ব করবেন কথাসাহিত্যিক সেলিম মোরশেদ। মূল প্রবন্ধ পাঠ করবেন কবি সৈকত হাবিব। আলোচনা করবেন কবি এজাজ ইউসুফী, কবি সরকার আজিজ, কথাশিল্পী সরকার আশরাফ, কবি স্বদেশবন্ধু সরকার, জিললুর রহমান, কবি আশিক আকবর, কবি মুজিব মেহদী, কবি মোস্তাক আহমাদ দীন, কবি আসমা বিথী ও কবি মনিরুল মনির।
সন্ধ্যা ৬টায় ‘আমাদের উপচে পড়ার দিন’ শিরোনামে কবিতাপাঠের আসর। সভাপতিত্ব করবেন কবি শেখ ফিরোজ আহমদ। সন্ধ্যা ৭টায় সম্মাননাপ্রাপ্তদের প্রতিক্রিয়া ও মুক্ত আলোচনা হবে প্রাবন্ধিক ও চিন্তক সলিমুল্লাহ খানের সভাপতিত্বে। রাত সাড়ে ৮টায় বসবে গানের আসর।
উৎসবের তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার শুরু হবে জাহাজভ্রমণ। ঢাকার বাদামতলী (বাবুবাজার) বিআইডব্লিউটিসি ঘাট থেকে বিকেল সাড়ে ৩টায় ভোলার চরফ্যাশনের চর কুকরি মুকরির উদ্দেশে রওনা দেবে জাহাজটি। শুরুতেই পরিচিতি পর্ব, মুক্ত আলোচনা ও বিকেলের নাস্তা থাকবে। সন্ধ্যা ৬টায় ‘ভাষা-রাজনীতি ও বাংলা কবিতার ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনার হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন কবি নাসির আহমেদ। মূল প্রবন্ধ পড়বেন কবি সোহেল হাসান গালিব। আলোচনা করবেন প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক রাজু আলাউদ্দিন, কবি মজিদ মাহমুদ, কবি আহমেদ স্বপন মাহমুদ, কবি আহমেদ নকীব, কবি শামীম রেজা, কবি ফারুক ওয়াসিফ, কবি আফরোজা সোমা, কবি নীহার লিখন ও কবি হাসান রোবায়েত। রাত সাড়ে ৭টায় ‘জলে ও জঙ্গলে জাগে সম্মিলিত স্বর’ শীর্ষক কবিতাপাঠের আসর বসবে; সভাপতিত্ব করবেন কবি সৈয়দ তারিক। কবিতা শেষে বসবে মুক্ত আড্ডা, চিয়ার্স ও সংগীতের আসর।
উৎসবের চতুর্থ দিন শুক্রবার সকালে ভোলার চরফ্যাশনের উল্লেখযোগ্য স্থান দর্শন, চরফ্যাশন থেকে চর কুকরিমুকরি যাত্রা, দুপুরে চর কুকরিমুকরি রেস্টহাউসে বিশ্রাম ও আহার, বিকেলে চর কুকরিমুকরি দর্শন ও সন্ধ্যায় চর কুকরিমুকরি থেকে ট্রলারযোগে জাহাজে আরোহন করা হবে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবে জাহাজটি। রাত সাড়ে ৭টায় ‘কথাসাহিত্য: বাংলার নিজস্বতা ও স্থানিকতার গতিপ্রকৃতি’ শীর্ষক সেমিনার শুরু হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন কথাশিল্পী পারভেজ হোসেন। মূল প্রবন্ধ পাঠ করবেন কথাশিল্পী জাকির তালুকদার। আলোচনা করবেন নয়জন কথাসাহিত্যিক। তাঁরা হলেন- নাসরীন জাহান, শহিদুল আলম, মনি হায়দার, পাপড়ি রহমান, সুমন রহমান, মাহবুব মোর্শেদ, স্বকৃত নোমান, তানিম কবির ও মোজাফফর হোসেন।
রাত সাড়ে ৮টায় ‘মুক্ত আলোচনা : ২০ বছরে লোক ও লিটলম্যাগ প্রাঙ্গণ’। এ পর্বের সভাপতি কবি আবদুর রাজ্জাক। এরপর আড্ডা, চিয়ার্স, সংগীত ও রাতের খাবার চলবে।
উৎসবের সমাপ্তি হবে শনিবার। সকাল সাড়ে ৭টায় ঢাকার বাদামতলীর (বাবুবাজার) বিআইডব্লিউটিসি ঘাঁটে ফিরে আসবে জাহাজটি। পেছনে পড়ে থাকবে বহু স্মৃতি, মায়া ও সোনালি অধ্যায়; যেখান থেকে সামনে আরো বহু যুগ বহু পথ তার উজ্জ্বল ডানা ‘লোক’-এর জন্য সাজিয়ে অপেক্ষা করছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২০
জেএম