ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

বইমেলার শেষ শুক্রবারে উপচেপড়া ভিড়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২০
বইমেলার শেষ শুক্রবারে উপচেপড়া ভিড় বইমেলার শেষ শুক্রবারে উপচেপড়া ভিড়। ছবি: ডিএইচ বাদল

গ্রন্থমেলা প্রাঙ্গণ থেকে: ‘জুরাইন থেকে আগত সামিয়া, তুমি যেখানেই থাকো না কেন বড় কারো সাহায্য নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অবস্থিত তথ্যকেন্দ্রের সামনে চলে আসো। তোমার বাবা তোমার জন্য অপেক্ষা করছেন।’

অমর একুশে গ্রন্থমেলায় শেষ শুক্রবারে (২৮ ফেব্রুয়ারি) তথ্যকেন্দ্র থেকে হারিয়ে যাওয়া এ ঘোষণা বারবার শোনা যাচ্ছিল। সে সঙ্গে ভিড়ের মধ্যে সন্তান হাত শক্ত করে রাখার ঘোষণাও আসছিল।

এ ঘোষণাই অমর একুশে গ্রন্থমেলার শেষ শুক্রবারের ভিড়ের সাক্ষী। বেলা ১১টায় মেলার দ্বার খুলে যাওয়ার পরেই বইপ্রেমীদের ভিড় শুরু হয়।

বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ছিল শিশু প্রহর। এ দু’ ঘণ্টা শিশু চত্বরে ছিল শিশুদের জন্য বিশেষ আয়োজন। শিশুদের জন্য নির্ধারিত প্রহরে সিসিমপুরের হালুম, টুকটুকি আর ইকরিদের সঙ্গে দারুণ সময় পার করেছে তারা।

তবে সকালটা শিশুদের হলেও নিজেদের করে নিয়েছেন সব বয়সী মানুষেরা। সকাল থেকে হালকা ভিড় থাকলেও, দুপুর গড়াতেই ভিড় বাড়তে থাকে প্রকাশনীগুলোর প্যাভিলিয়ন ও স্টলে। শুধু ভিড়ই নয়, বিক্রিও হয়েছে দারুণ।

দুপুর গড়িয়ে বিকেল নামতেই মেলায় দেখা যায় উপচেপড়া ভিড়। সাড়ে সাত লাখ বর্গফুটের বিশাল পরিসরের মেলায় স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরে ফিরেছেন বইপ্রেমীরা। উপচেপড়া ভিড়ের সঙ্গে বিক্রিও ছিল ভালো।

পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্সের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান শায়ক বাংলানিউজকে বলেন, শেষ শুক্রবারে বিক্রি সব সময়ই ভালো হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আর যেহেতু শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) মেলা শেষ হয়ে যাচ্ছে, সেহেতু অনেকেই আজ বই কিনতে এসেছেন।

মেলার শেষ শুক্রবারে সকালে দেখা হলো জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলনের সঙ্গে। প্যাভিলিয়ন-স্টলে ঘুরে ফিরে দেখছিলেন বই। সেখানেই কথা হলো তার সঙ্গে। তিনি বললেন, প্রতিবারই মেলায় পছন্দ করে কিছু বই কিনি। এবারও তাই ঘুরেফিরে দেখছি। যা পছন্দ হচ্ছে সংগ্রহ করছি।

এদিকে, মেলার শেষ শুক্রবারে ভক্ত-পাঠকদের সঙ্গে সরাসরি দেখা করতে মেলায় এসেছিলেন কথাসাহিত্যিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, আনিসুল হক, মোস্তফা কামাল, দীপু মাহমুদ প্রমুখ।

সন্ধ্যার দিকে মেলা প্রাঙ্গণে কথা হলো কথাসাহিত্যিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এবারের মেলায় এ নিয়ে দ্বিতীয়বার এলাম। তবে যেটুকু দেখলাম ভালোই লাগছে। প্রচুর মানুষ এসেছেন। বই দেখছেন, কিনছেন।

সন্ধ্যায় মেলার অন্যপ্রকাশের প্যাভিলিয়নে উন্মোচন করা হয় অন্বয় মাজহারের ভ্রমণগদ্য ‘দ্য ম্যাজিক্যাল ওয়ার্ল্ড অব থাইল্যান্ড’ বইটির। বইটি প্রকাশ করেছে অন্যপ্রকাশ এবং পরিবেশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স। বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন কথাসাহিত্যিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।

শুক্রবার মেলায় নতুন বই এসেছে ৩৪১টি। ‘লেখক বলছি’ অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কামরুল হাসান, জাহীদ রেজা নূর, অদিতি ফাল্গুনী এবং মাসুদ পথিক।    

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২০
ডিএন/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।