সোমবার (২৫ মে) নজরুলজয়ন্তী উপলক্ষে ‘নব যুগ ঐ এল ঐ,’ শিরোনামের আয়োজনে এ আহ্বান জানানো হয়। করোনা পরিস্থিতি কারণে নিজস্ব মিলনায়তনের বদলে ইউটিউব চ্যানেলে এ আয়োজন প্রচার করে দেশের ঐতিহ্যবাহী সংগঠনটি।
আয়োজনের শুরুতেই সম্মেলক কণ্ঠে গীত হয় ‘দুর্গম গিরি কান্তার মরু’ গানটি। এর পর কথনে অংশ নেন ছায়ানট সভাপতি সন্জীদা খাতুন।
সন্জীদা খাতুন বলেন, নজরুলের গানের বিষয়বস্তু ও সুরে যে বৈচিত্র্য, তা বাংলার শিল্প-সাহিত্যের জগতে উচ্চ মর্যাদায় আসীন হয়েছে। তার রচনা বাঙালির বিপদের দিনে সাথে ছিলো। আজ মহামারীপীড়িত বিশ্বে যখন অসহায়ত্ব সকলকে গ্রাস করতে বসেছে, তখন নজরুলের সৃষ্টি আমাদের প্রাণে সাহস যোগাবে। মানবিকতার উন্মোচন ঘটাবে। এবং এ প্রত্যয় দেবে মানবসভ্যতার জয় সুনিশ্চিত।
সন্জীদা খাতুনের কথনের পরে শিল্পী শাহীন সামাদ গেয়ে শোনান 'থৈ থৈ জলে ডুবে গেছে'। এরপর সুমন মজুমদার ‘আজ বাদল ঝরে’, নাসিমা শাহীন ফ্যান্সি', ‘দীপ নিভিয়াছে ঝড়', বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী ‘ঝর ঝর ঝরে শাওন ধারা’, সুস্মিতা দেবনাথ শুচি ‘রিম্ ঝিম্ রিম্ ঝিম্ ঝিম্ ঘন দেয়া বরষে’ গানগুলো গেয়ে শোনান।
গান থেকে খানিক বিরতি নিয়ে বাচিকশিল্পী জহিরুল হক খান পাঠ করেন ‘রুদ্র মঙ্গল’ প্রবন্ধের নির্বাচিত অংশ। এর পর আবারও গানের পালা। একক কণ্ঠে সঙ্গীত পরিবেশন করেন রেজাউল করিম, শারমিন সাথী ইসলাম, মোহিত খান ও খায়রুলআনাম শাকিল। তাদের কণ্ঠে যথাক্রমে গীত হয় ‘শাওন রাতে যদি স্মরণে আসে মোরে’, ‘সজল-কাজল-শ্যামল এসো’, ‘শাওন আসিল ফিরে’ ও ‘সোনার হিন্দোলে কিশোর কিশোরী দোলে’।
এর পর সম্মেলক কণ্ঠে ‘বল ভাই মাভৈঃ মাভৈঃ’ গানটি গীত হওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হয় এ আয়োজন।
এ আয়োজনে সম্মেলক দলের হয়ে অংশ নেন অমিত আচার্য্য হিমেল, কানিজ হুসনা আহ্ম্মাদী সিমপী, তানভীর আহমেদ, নাহিয়ান দুরদানা শুচি, মনীষ সরকার, সুপ্তিকা মণ্ডল, সৈয়দা সনজিদা জোহরা বীথিকা ও হারাধন চন্দ্র সাহা।
বাংলাদেশ সময়: ০০১৫ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২০
ডিএন/এইচএমএস