আগামী রোববার (২১ শে জুন) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা) সৌধের গজল ঠুমরি ও খেয়াল ফেস্টিভালের ফেসবুক পেজ থেকে ‘ইন্টারপ্রিটেশন অব আইজাক লেভিটান থ্রু ইন্ডিয়ান ক্লাসিক্যাল মিউজিক’ শিরোনামের ওই ডিজিটাল পরিবেশনা সম্প্রচারিত হবে।
সৌধের পরিচালক কবি টি এম আহমেদ কায়সারের ভূমিকা, পরিচালনা ও নির্দেশনায় এ আয়োজনে বিষাদ, নিঃসঙ্গতা ও মগ্নতা সংক্রান্ত আইজাক লেভিটানের ১০টি চিত্রকর্মের সঙ্গে থাকবে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ও পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষার কবিতা।
এতে সঙ্গীত পরিবেশন করবেন- কিরানা ঘরানার স্বনামধন্য শাস্ত্রীয় শিল্পী সংহিতা নন্দী, ভারতের অন্যতম শীর্ষ বেহালা বাদক স্বর্ণা খুন্তিয়া, প্রখ্যাত সেতার বাদক সাহানা ব্যানার্জি, শাস্ত্রীয় কণ্ঠশিল্পী মীনাক্ষী মজুমদার ও রামপ্রসন্ন ভট্টাচার্য। পাবলো নেরুদা, রবীন্দ্রনাথ ও লোরকা থেকে পাঠ করবেন শুবার্ট গায়ক এরিক শিলিন্ডার।
ব্যতিক্রমধর্মী এ পরিবেশনা প্রসঙ্গে নির্দেশক, কবি টি এম আহমেদ কায়সার বলেন, আইজাক লেভিটানের ল্যান্ডস্কেপগুলো আসলে একেকটি কালজয়ী কবিতা। আমি বারবার এসব চিত্রকর্মের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের উদ্দেশ্যে নতুন সেতুর সন্ধান করছিলাম। বারবারই তার এসব চিত্রকর্ম মানুষকে নতুন নতুন বোধের মুখোমুখি করে। আমি বরাবরই চেয়েছি প্রাচ্যে-পাশ্চাত্যে নতুন নতুন যোগাযোগের সেতু তৈরি হোক। বরাবরই চেয়েছি চিত্রকর্মের, কবিতার, নাটকের, সঙ্গীতের, অর্থাৎ প্রতিটি শিল্প মাধ্যমের নতুন ভোক্তা তৈরি হোক।
‘আইজাক লেভিটানের চিত্রকর্মের দর্শকরা অনায়াসে যেমন আমাদের শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের যাদুতে বুদ হতে পারেন, ঠিক তেমনি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের শ্রোতারাও সমানভাবে আইজাক লেভিটানের মতো অসামান্য চিত্রশিল্পীর কালজয়ী সব কাজে ডুবে যেতে পারেন। কিন্তু এই মিথস্ক্রিয়া তৈরিতে যে সুক্ষ সেতু তৈরি করতে হবে তার একটি দার্শনিক ভিত্তিও থাকতে হবে, অন্যথায় এ প্রয়াসগুলো যথাযথ মাত্রা পাবে না। ’
করোনার ক্রান্তিকাল শেষ হলে আগামীতে সৌধ এ ধরনের আরও নতুন নতুন শিল্প-ধারণা নিয়ে বিভিন্ন আয়োজন করবে বলে জানান আহমেদ কায়সার।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৪ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২০
এইচজে