সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নার মিশেলে এই জীবন। একগুচ্ছ মুহূর্তের কোলাজ।
১৪
দুবাইয়ে লাইলীর এক পুরানো খদ্দের হোটেলে ওকে দেখে চিনতে পারে। ওখানে প্রচার করে দেয় ওর আগের পরিচয়। হোটেলের চাকরিটা চলে যায়। আরও কিছু হোটেলে কাজের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে আবার পুরানো কাজ শুরু করে লাইলী। ওখানেও দালাল। নাসিমা আপার মতো ইন্ডিয়ান দালাল। তার ঘরে ওর জায়গা হয়। কত দেশের খদ্দের আসে আরব, মিশর, সুদান, জার্মান। আরবরাই বেশি আসে। ওরা খুব নিষ্ঠুর প্রকৃতির, লাইলীর শরীরের সব রস নিংড়ে নেয়। হাতে খুব বেশি টাকা জমে না। তার থেকে অনেক কষ্টে কিছু টাকা বাঁচিয়ে খালার কাছে পাঠায় বাবাকে দেওয়ার জন্য। ওখানে এক আরব শেখ এসে লাইলীকে তার গুদামে কাজের জন্য বলে। লাইলী প্রথমে একটু দোদুল্যমানতায় ভোগে। পরে ভাবে ভালো বেতন পেলে আরব শেখের গুদামে কাজ করবে। একবার যখন অনিশ্চয়তার পথে নেমেছে তখন আর ভেবে লাভ নাই। ইন্ডিয়ান দালাল ওকে ছাড়তে চায় না, পাসপোর্ট আটকে রাখে, নানা ভয় দেখায়। পরে আরব শেখ বেশকিছু টাকা দিয়ে লাইলীর পাসপোর্ট ছাড়িয়ে ওকে নিজের গুদামে নিয়ে যায়। প্রথম কয়েকদিন লাইলী গুদামের শ্রমিকদের রান্নার কাজ করে,পরিষ্কার-পরিছন্নতার কাজ করে। শ্রমিকদের মধ্যে অনেকে বাংলাদেশি। ওরা বলে তুমি এখানে কাজ নিয়ে আসছো কেন? এই আরব ভালো লোক না, তোমার ওপর অনেক অত্যাচার করবে। লাইলী ভয় পেয়ে যায় কিন্তু ওখান থেকে বাইরে যাওয়ার কোনো উপায় নাই। চারদিকে কড়া পাহারা, পালাতে চেষ্টা করলে মেরে ফেলবে।
কিছুদিন পর আরবটি দূরে কোথাও কাজে যায়। ফিরে আসার পর লাইলীকে অন্য একটি গুদামে নিয়ে যায়। ওখানে ওকে একটা ছোট ঘরে আটকে রাখা হয়, খাবার খুব কম দেওয়া হয়। ওটা একটা বদ্ধ জায়গা, বাইরের আলো হাওয়া কিছুই প্রবেশ করে না ওই ঘরে। কয়েকজন আরব ছাড়া আর কাউকে দেখতে পায় না লাইলী। গরমে আর বাতাসের অভাবে দিন দিন অসুস্থ হয়ে পড়ে। দেশের সাথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ওর টাকা, ফোন, পাসপোর্ট সব কেড়ে নিয়েছে আরব শেখ। লাইলী অনেকবার পালাতে চেষ্টা করে কিন্তু পারে না। আরবটির অস্বাভাবিক যৌন লালসার কারণে লাইলী আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থ অবস্থায় একদিন আরবটির চাহিদা মিটাতে না পারলে আরবটি ওর গলা টিপে ধরে। লাইলী প্রাণপণ চিৎকার করে কিন্তু কেউ সে চিৎকার শুনতে পায় না। ওর নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। হাত দিয়ে আরবটিকে সরাতে চেষ্টা করে। পানি পানি বলে চিৎকার করে। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে আরবটি লাইলীকে ছেড়ে দেয় কিন্তু ততক্ষণে ওর শরীরে কোনো প্রাণ নাই।
কিছুদিন ধরে লালু শেখ মেয়ের ফোন বন্ধ পায়। মেয়ের খবর না পেয়ে অস্থির হয়ে ওঠে। যে দালাল লাইলীকে দুবাই পাঠিয়েছিল তার কাছ থেকেও সঠিক কোনো খবর পাওয়া যায় না।
দালাল লালু শেখকে জানায় লাইলী হোটেলের চাকরি ছেড়ে চলে গেছে। ওখানে ঝামেলা হয়েছে। বেতন-কড়ি ঠিকমতো পায় নাই। হোটেল কর্তৃপক্ষ ওর ওপর অনেক বিরক্ত। নানা কথা শোনা গেছে ওর নামে। চাচা আপনারে আর কী বলব, আপনি বুড়া মানুষ, মেয়ের বাপ। এখন মেয়ে যদি ইচ্ছামতো নিজের জীবন বেছে নেয় কারও তো কিছু বলার নাই। আপনি তারে আটকাইয়া রাখতে পারবেন? এখন শুনছি কোনো এক ইন্ডিয়ান মহিলার সাথে কাজ করে। কিন্তু দালাল লাইলীর বর্তমান কোনো সঠিক খবর দিতে পারে না।
দুবাইতে লাইলীর মৃত্যুর পনেরো দিন পর লালু শেখের কাছে খবর আসে। মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে লালু শেখ পাগলের মতো হয়ে যায়। এলাকার বহুলোক বাড়িতে ভিড় করে। লালবাগের আলোহীন ঘুপচি ঘরে একজন স্বজাতির মৃত্যুর খবরে পুরো এলাকাবাসী ভেঙে পড়ে। তারা যেন তাদের বোনকে হারিয়েছে, তাদের মেয়েকে হারিয়েছে। লালু শেখের কষ্ট দেখে সবার চোখ অশ্রু সজল হয়ে ওঠে। লালু শেখ কষ্টে পাথরের মতো নিশ্চল হয়ে পড়ে। শুকনো মুখ করে ঘরের দাওয়ায় বসে থাকে। এই কি ওদের জীবনের পরিণতি? ফুলের মতো মেয়েটা কী দোষ করেছিল? যার জন্য তাকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হলো? জীবন দিতে হলো? লালু শেখের সারা গা কাঁপতে থাকে।
মৃত্যুর এক মাস পর লাইলীর লাশ এসে পৌঁছায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। দুবাইয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস লাইলীর লাশ দেশে পাঠানোর খরচ বহন করে। যে আরব শেখের তত্ত্বাবধানে লাইলী ছিল সে দূতাবাসকে জানায় লাইলীকে কাজের জন্য রাখা হয়েছিল, রান্না করতো, গুদামের সবার কাজ করতো। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে, জ্বর হয়, খাবার খেতে পারতো না। রাতে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে, হাসপাতালে নেওয়ার আগে মারা যায়। এ নিয়ে কোনো পুলিশ কেস হয় না।
বিমানবন্দরে লাশ নেওয়ার জন্য লালু শেখ, লাইলীর খালা আর পাড়ার একজন মুরুব্বি অপেক্ষা করতে থাকে। লাশ ডেলিভারি সেকশনে দুটি লাশ ডেলিভারি হয় কিন্তু লাইলীর মরদেহের কোনো খবর আসে না। এয়ারপোর্টে বসে থাকতে থাকতে লালু শেখ ঘুমিয়ে পড়ে। শেষে বিকেলের ফ্লাইটে লাইলীর মরদেহ আসে আরও দুজন মেয়ের লাশের সাথে, তারাও দুবাইয়ে চাকরি করতো। লালু শেখ কফিন ধরে মেঝেতে বসে থাকে। বিমানবন্দরে হাজার হাজার মানুষ। একজন আসছে একজন যাচ্ছে। কারও দুঃখের সংবাদ, কারও আনন্দের। যে লাইলী একদিন সুন্দর জীবনের আকাঙ্ক্ষায় নিজের আপনজনদের ছেড়ে বিদেশে গিয়েছিল জীবন নাটকের পরিক্রমায় তার লাশ এসে আজ দেশে পৌঁছায়। লালু শেখ, লাইলীর খালা সবাই একটা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অ্যাম্বুলেন্সে করে লাইলীকে লালবাগের বাড়িতে নিয়ে আসে।
লালু শেখের চোখের পানিতে কেরোসিন কাঠের কফিন বাক্সটি ভিজে ওঠে। মেয়েটি সারাজীবনের জন্য নিস্তেজ হয়ে গেছে। ছোটবেলায় খুব দুষ্টু ছিল। বাবার কাঁধে চড়ে সদরঘাটে যেত। ওখানে গিয়ে নানা রকম আচার, আমসত্ত্ব খেত। লালু শেখ মেয়েকে মাঝে মাঝে নিজের সাথে লঞ্চে করে নিয়ে যেত। মেয়ের সবসময় দূর দেশে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল। আজ সে সব বাধা পেরিয়ে অনেক দূরের দেশে চলে গেছে। জীবন-জীবিকা তাকে বহু দূরে টেনে নিয়ে গেছে। কিন্তু নিষ্ঠুর পৃথিবী, মানুষের লোভ-লালসা তাকে আজ অন্য এক দূর দেশে নিয়ে গেলো যেখান থেকে আর কোনোদিন ফেরা যায় না।
লালু শেখের জীবনের সব দীর্ঘশ্বাস এসে জমা হয় মেয়ের লাশের সামনে। লাশ গোসলে নেওয়ার আগে কফিনের ডালা খোলা হয়। লালু শেখ বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখে মেয়ের দুই কানে নূরজাহান বিবির সেই মুক্তার দুলজোড়া। লাইলীকে লালু শেখের কাছে নূরজাহান বিবির মতো লাগে। সেই টিকালো নাক, উজ্জ্বল গাত্র বর্ণ, কোথাও একফোঁটা মালিন্য নাই। লাইলী যেন নূরজাহান বিবির বেশ ধরে উপস্থিত হয়েছে লালবাগের ছোটঘরে। গোসলের সময় এক প্রতিবেশী মহিলা মুক্তার দুলজোড়া লালু শেখের হাতে দেয়।
গোসলের সময় ওর সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। কেউ যেন সূঁচালো অস্ত্র দিয়ে সারা শরীর ক্ষত-বিক্ষত করেছে। যৌনতার লিপ্সা ওর ছোট শরীরে ছোপ ছোপ কালো দাগ হয়ে ফুটে আছে। গোসল করালো যে চারজন মহিলা তারা ওর শরীরের আঘাত দেখে কান্না সামলাতে পারে না। লালু শেখের ছোট ঘর, ঘরের সামনের পথ, রান্না ঘর পুরানো সিন্দুক সব হু হু কান্নার শব্দে মুহ্যমান হয়ে থাকে। অনেকে লাইলীর মরদেহ দেখে কানাঘুষা করতে থাকে। লাইলী ভালো মেয়ে ছিল না, দেশে থাকতে নানা খারাপ কাজ করেছে, পতিতাবৃত্তি করেছে, বিদেশেও এইসব কাজ করতো। কিন্তু লালু শেখের সামনে কেউ এ প্রসঙ্গ তোলে না। মসজিদের মৌলানা ওর জানাজা পড়ানো নিয়ে নানা কথা তোলে, তখন লালু শেখের চাচাতো ভাই জুম্মান শেখকে খবর দেওয়া হয়। সে এসে সব কিছু সামলে নেয়। টাকা দিয়ে সব ব্যবস্থা করে ফেলে। রোখসানা আর নাসিমা খবর পেয়ে আসে, ওরাও লাইলীর কফিনের সামনে উচ্চস্বরে কাঁদে। ওকে কবর দেওয়া হয় আজিমপুরে মায়ের কবরের পাশে। মায়ের কবরে ফুটে থাকা গোলাপ পাপড়ি লাইলীর কবরেও ছড়িয়ে পড়ে।
লাইলীর মৃত্যুর পর লালু শেখ অপ্রকৃতস্থের মতো হয়ে যায়। কোনো কিছুতেই মনে শান্তি নাই। বার বার মেয়ের অপাপবিদ্ধ চেহারাটা মনে ভেসে ওঠে। লালু শেখ সোবাহানের খবর নেওয়ার জন্য একে তাকে ধরে। কেউ কোনো খবর দিতে পারে না। লাইলীর পাঠানো টাকা যা ছিল সব শেষের দিকে। বছর গড়িয়ে চলে। পাড়া-প্রতিবেশীরা মাঝে মাঝে খোঁজ-খবর নিতো তাও আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে যায়। চাচাতো ভাই জুম্মান একবার খবর পাঠালো বাড়িটা তার কাছে বিক্রি করে দিতে। লালু শেখ কিছুতেই এই বাড়ি বিক্রি করবে না। এটাই ওর পরিবারের শেষ চিহ্ন। সারেং বাড়ির শেষ নিশান। একদিন সোবাহান এইখানে ফিরে আসবে, বিয়ে-শাদি করবে। তার ঘরে ফুটফুটে চাঁদের মতো ছেলে-মেয়ে হবে। তারা লালু শেখের বংশে প্রদীপ জ্বালাবে। দিন-রাত লালু শেখ সিন্দুকের মধ্যে কী যেন খুঁজে বেড়ায়।
লাইলীর মৃত্যুর এক বছর পর সোবাহান জেল থেকে ছাড়া পায়। কোরবানি ঈদের সময় রাষ্ট্রপ্রতি কয়েকজন তরুণ অপরাধীকে সাধারণ ক্ষমা করেন। সোবাহান সে কোটায় মুক্ত হয়। জেলে থাকতেই বোনের মৃত্যুর খবর পায়। তারপর থেকে ওর মন সম্পূর্ণ ভেঙে যায়। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে মুক্তির স্বাদ সে পুরোপুরি উপভোগ করতে পারে না। জেল থেকে বেরিয়েই মাথাটা চক্কর দিয়ে ওঠে। কয়েক বছর জেলের ভেতরের আবহাওয়াতে অভ্যস্ত সোবাহান বাইরের ব্যস্ত পৃথিবীতে পা দিয়ে কেমন অসহায় বোধ করে। মা নাই, বোনটা চলে গেছে, বাবা কেমন করে বেঁচে আছে একা একা? শাবান আহা শাবানের জন্য বুকের ভেতরটা হাহাকার করে ওঠে। শাবান কি পারতোনা সোবাহানের জন্য অপেক্ষা করতে? কেউ কি কারও জন্য অপেক্ষা করে না? নাকি জীবনের নিয়ম হচ্ছে একজন অন্যজনকে ছেড়ে চলে যাবে। সোবাহান বাড়ি ফিরে দেখে লালু শেখ মলিন-জীর্ণ পোশাকে মোড়ের দোকানে বসে আছে। সোবহানকে দেখে প্রথমে চিনতে পারে না।
আব্বা আমি সোবাহান।
সোবাহান, সোবাহানতো জেলে। সে জেলের ভাতের মজা পাইছে। বুড়া বাপরে তার দরকার নাই, বোনরে তার দরকার নাই।
আব্বা আমি সোবাহান।
লালু শেখ নির্বিকার চোখে ছেলের দিকে তাকিয়ে থাকে। সত্যি তো সোবাহানের মতো লাগে, সেই নাক, সেই চোখ। লালু শেখ ছেলেকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়ে। সোবাহান আমার মেয়েরে আইন্যা দে, তোর জন্যই আজ আমার মেয়েরে হারাইছি। তুইতো বোনের শেষ যাত্রাটাও দেখতে পারলি না। লাইলী যেন নূরজাহান বিবির বেশ ধইরা নিচে নামছিল।
সোবাহান বাবার ক্লান্ত, রিক্ত চেহারার দিকে তাকিয়ে চমকে ওঠে। সেই বাবা আর নাই সে আজ একজন বাতিল হয়ে যাওয়া মানুষ, যার শরীর-মন নিংড়ে কে যেন রক্ত বের করে নিয়েছে। যৌবনে আব্বা কত তাগড়া ছিল, শরীর ভর্তি শক্তি। এক ধাক্কায় দশজন মানুষকে ফেলে দিতে পারতো। কুস্তি করতো। কুস্তিতে কোনোদিন হারে নাই, সোবাহানতো বাবার কিছুই পায় নাই। কয়েকদিন ঘরে ঘুমিয়ে থাকলো সোবাহান। পুরানো বন্ধু-বান্ধব এসে ওকে ডাকাডাকি করে, সোবাহান কোনো উত্তর দেয় না। জেলে বসে যে ড্রাগের নেশাটা হয়েছিল তার প্রকোপে সারাদিন ঝিমাতে থাকে। হঠাৎ ছুটে ঘর থেকে বেরিয়ে জুয়েলের কাছে যায়, বাকিতে কিছু ফেন্সি এনে ঘরে রাখে। শেষ হয়ে গেলে আবার যায়। কাজ-কর্ম কিছু করার ইচ্ছা হয় না, ঘরে টাকা-পয়সা নাই। রানা কিছু টাকা দিয়েছিল জেল থেকে বের হওয়ার পর, প্রায় শেষ।
নভেরা হোসেন
জন্ম ২০ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫, মাদারীপুর শহরে নানাবাড়িতে। শৈশব থেকেই ঢাকায় বেড়ে ওঠা। তিনি লেখাপড়া করেছেন ধানমন্ডির কাকলি উচ্চ বিদ্যালয়, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ এবং নৃবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। লিটল ম্যাগাজিনে লেখা শুরু করেছেন ২০০০ সালের পর থেকে। বিশেষত কবিতা, গল্প ও নৃবৈজ্ঞানিক লেখালেখি করেন। e-mail: [email protected]
আরও পড়ুন>> লালবাগ (পর্ব-১৩)
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০২০
টিএ