ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

১৭ বছরে বাতিঘর

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১১ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২১
১৭ বছরে বাতিঘর

ঢাকা: বইয়ের সুপারস্টোর হিসেবে দেশজুড়ে খ্যাত ‘বাতিঘর’। ২০০৫ সালের ১৭ জুন ছোট পরিসরে চট্টগ্রামে বাতিঘরের যে যাত্রা শুরু হয়েছিল, বই পড়ুয়াদের ভালোবাসায় এখন তা বিস্ততৃ চট্টগ্রাম, ঢাকা, সিলেট ও বাংলাবাজারে।



বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) বইয়ের সুপারস্টোর খ্যাত ‘বাতিঘর’ পা রাখলো ১৭ বছরে। এ উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটি শুভেচ্ছা জানিয়েছে তাদের সব পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীদের। একইসঙ্গে বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বাতিঘরের পাঠকেরাও শুভেচ্ছা আর ভালোবাসা জানিয়েছে তাদের প্রিয় এই প্রতিষ্ঠানটির প্রতি।

বর্ষপূর্তি নিয়ে সকালে বাংলানিউজের কথা হয় বাতিঘরের স্বত্বাধিকারী দীপঙ্কর দাশের সঙ্গে।

দীপঙ্কর দাশ বলেন, একটা ছোট জায়গা থেকে বাতিঘরের যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০৫ সালে। তারপর পাঠকের ভালোবাসাতেই তা এখন এতটা বিস্তৃত। একটা ছোট জায়গা থেকে বাতিঘরের যাত্রা শুরু হয়েছিল। ২০০৫ সালে। আমি নিজে বই পছন্দ করি, আমাদের আশ-পাশে যারা বই পছন্দ করে, বন্ধু-বান্ধব, তাদের জন্য আমরা এটা করেছিলাম। পরে ভাবলাম যে, এটা যদি আরও সুন্দর করে করা যায়, বড় করে করা যায়। এটা ভাবতে ভাবতেই চট্টগ্রামে একটা বড় জায়গা নিলাম আমারা। আর সেটা ২০১২ সালে।

তিনি বলেন, পরে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারের উৎসাহে ঢাকায় বাতিঘরের শাখা করলাম বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে। এরপর আমরা সিলেটে যে করলাম, আমাদের এক পাঠক আমাদের জায়গা দিয়েছে।

দীপঙ্কর দাশ বলেন, যারা আমাদের পাঠক, তাদের সহযোগিতায় তাদের স্বপ্নকেই আমরা মোটামুটি বাস্তবায়ন করছি। এটা যে ব্যবসায়িক উদ্যোগ, ঠিক তা নয়। যদিও এটি ব্যবসায়িকভাবে সফল প্রতিষ্ঠান, কারণ টিকে থাকতে হলে তো ব্যবসা করতে হবে, সেজন্য আমরা করি এটা। কিন্তু আমাদের এটা মূলত একটা ভালোবাসার জায়গা থেকে করা।  

নিত্য-নতুন দেশি বিদেশি মানসম্পন্ন বইয়ে সমৃদ্ধ বাতিঘরের প্রতি পাঠকের ভালোবাসা নুতন কিছু নয়। তবে বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বাতিঘরের প্রতি পাঠকের আলাদা ভালোবাসা চোখে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এদিন অনেকেই ফেসবুকে বাতিঘরকে জানিয়েছে শুভেচ্ছা।

বাতিঘরকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মাশরুর ইমতিয়াজ নামে এক পাঠক উল্লেখ করেছেন, শুধু অসাধারণ আউটলেটগুলোতেই নয়, অনলাইনেও বই কেনার সব থেকে ভালো অভিজ্ঞতা বাতিঘর থেকেই। এমনভাবেই আলো জ্বালিয়ে যাক, প্রিয় বাতিঘর।

আবু তৈয়ব নামে এক পাঠক এবং বলাকা প্রকাশন লিখেছে, বাতিঘর আমাদের প্রাণের প্রতিষ্ঠান। জ্ঞান সম্রাজ্যের অদ্বিতীয়া বাতিঘরের জন্য শুভ কামনা।

এদিকে ১৭ বছরে বাতিঘর উপলক্ষে ‘বর্ষপূর্তি বই উৎসব’ শিরোনামে পাঠকদের জন্য ১০ দিনব্যাপী বইয়ে বিশেষ ছাড় দিয়েছে বাতিঘর। এই সময়ে বাংলাদেশি বইয়ে শতকরা ২৫ শতাংশ এবং বাতিঘর প্রকাশিত বইয়ে শতকরা ৩০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে।

এছাড়া ঘরে বসে দেশি-বিদেশি যেকোনো বই অর্ডার করা যাবে বাতিঘরের ওয়েবসাইট https://baatighar.com/ থেকে।

বাংলাদেশ সময়: ১২০৫ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২১
এইচএমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।