ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

মহাকবি কায়কোবাদের ১৬৫তম জন্মজয়ন্তী আজ

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২২
মহাকবি কায়কোবাদের ১৬৫তম জন্মজয়ন্তী আজ কবি কায়কোবাদ

নবাবগঞ্জ (ঢাক): কে ওই শোনালো মোরে আযানের ধ্বনি, মর্মে মর্মে সেই সুর, বাজিল কি সুমধুর, আকুল হইলো প্রাণ, নাচিলো ধমনি। কি-মধুর আযানের ধ্বনি’।

সেই ‘আযান’ কবিতার রচয়িতা মহাকবি কায়কোবাদের ১৬৫তম জন্মজয়ন্তী আজ।

কবির জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বাদ জুমা নবাবগঞ্জের পাঁচটি মসজিদে ‘মহাকবি কায়কোবাদ স্মৃতি সংসদের পক্ষ থেকে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।  

‘মহাকবি কায়কোবাদ স্মৃতি সংসদের সদস্য, ইতালী প্রবাসী বিষ্ণুপদ সাহা জানান, কবির এলাকায় আমার বাড়ি। তাই ছোটবেলা থেকে তার প্রতি আমার বিশেষ টান রয়েছে। প্রবাসে থাকলেও প্রতি বছরই কবির জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী শ্রদ্ধার সঙ্গে পালনের চেষ্টা করি।  

মহাশশ্মান প্রণেতা কবি কায়কোবাদ ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার আগলা পূর্বপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।  

১৯০৪ সালে অমর কাব্য গ্রন্থ মহাশশ্মান লিখে মহাকবি উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন কায়কোবাদ। তিনি এই রকম অসংখ্য কবিতাসহ আধুনিক শুদ্ধ বাংলায় গীতিকাব্য, কাহিনী কাব্য, কাব্য উপন্যাস রচনা করেছিলেন। তিনি ছিলেন খাঁটি বাঙালি এবং মুসলমান। জীবনের সুদীর্ঘ ৮২ বছরই তিনি বাংলা সাহিত্য নিয়ে চর্চা করেছেন।  

১৮৭০ সালে কবি মাত্র ১২ বৎসর বয়সে প্রথম কাব্যগ্রন্থ বিরহ বিলাপ প্রকাশিত হয়। দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ কুসুম কানন প্রকাশিত হয় ১৮৭৩ সালে। এ দুটি কাব্য প্রকাশের পর পরই তিনি কবি হিসেবে সুপরিচিতি লাভ করেন।  

১৯৫১ সালে ২১ জুলাই বার্ধক্যজনিত কারণে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পুরাতন আজিমপুর কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।