ঢাকা: সারাদেশে বিমান পরিকাঠামোর সময়োপযোগী সম্প্রসারণ, যাত্রীসেবা বৃদ্ধি, প্রযুক্তিগত ও জন দক্ষতা উন্নয়ন এবং নিরাপদ ও সুষ্ঠু বিমান চলাচল নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ চলছে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল বৃহত্তম বিমান পরিবহন বাজার হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) রাজধানীতে একটি হোটেলে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের আয়োজনে দক্ষিণ এশিয়ার অ্যাভিয়েশনের স্টিয়ারিং কমিটির ৩০তম বৈঠকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
মাহবুব আলী বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের অ্যাভিয়েশন শিল্পেও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও দিক-নির্দেশনায় দেশের অ্যাভিয়েশন সেক্টর আন্তর্জাতিকমানে বিকশিত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির মধ্য দিয়ে দেশের বিমান যোগাযোগের পরিধি বাড়ছে। আর এই সকল কার্যক্রমেরই লক্ষ্য হলো দেশকে একটি প্রধান অ্যাভিয়েশন হাব এবং আকর্ষণীয় পর্যটন গন্তব্যে রূপান্তর করা।
দক্ষিণ এশিয়ার আট দেশের সিভিল অ্যাভিয়েশন প্রধানদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মফিদুর রহমান ও আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের পরিচালক তাও মা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে প্রতিমন্ত্রী আকস্মিকভাবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এ সময় প্রতিমন্ত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের গ্রাউন্ড সার্ভিস ইকুইপমেন্ট ডিভিশনের বিভিন্ন কার্যক্রম দেখেন এবং যাত্রীসেবার মান উন্নয়নে বিভিন্ন নির্দেশনা দেন।
পরিদর্শন কালে বেসামরিক বিয়োগ পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আজিম এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২৩
এমকে/এসআইএস