ঢাকা: ঘন কুয়াশার কারণে বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোয় উড়োজাহাজ ওঠানামায় বিঘ্ন ঘটছে। শীত এলেই এ পরিস্থিতিই যেনো নিয়তি।
এ অবস্থায় সংকট দূর করতে দেশের চার বিমানবন্দরকে ইনেসট্রুমেন্ট ল্যান্ডিং সিস্টেম (আইএলএস) ক্যাটাগরি-২ উন্নীত করার উদ্যোগ নিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।
তিনি বলেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও কক্সবাজার দেশের চারটি বিমানবন্দর আইএলএস ক্যাটাগরি-২-এ উন্নীত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সিলেট বিমানবন্দরের কাজ শেষ হয়েছে। চট্টগ্রামের কাজ শেষ হবে আগামী বছরের শেষের দিকে। ঢাকায় শেষ হচ্ছে আগামী তিন মাসের মধ্যে।
তিনি জানান, ইতোমধ্যে যন্ত্রপাতি চলে এসেছে। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত কিছু লাইটিং উন্নত করতে হবে। আমরা কাজ শুরু করবো। কক্সবাজারে ইতোমধ্যেই সমুদ্রে রানওয়ে আপগ্রেড করছি আমরা। কক্সবাজার বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ শেষ হলে সেখানেও উন্নতি হবে। সিলেটে এখন ক্যালিভেরেশন কাজ বাকি আছে।
এর আগে কসক্যাপ-এসএ-এর ৩০তম স্টিয়ারিং সভা নিয়ে কথা বলেন তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কসক্যাপের এ সম্মেলনে মিটিং এ মূলত দেখা হয় কোন দেশ সিকিউরিটি নিয়ে কি ধরণের উদ্যোগ নিয়েছে, তার কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে। পাশাপাশি, আমরা আমাদের বাজেটিং এবং বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা নিয়েও সিদ্ধান্ত নিই এখান থেকে।
মূলত, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বেসামরিক বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোসহ এভিয়েশন সেফটি ও এয়ারওর্দিনেস সংক্রান্ত কারিগরি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে এ সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর উদ্বোধনী দিন ছিল আজ।
সভায় বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলংকা ও আফগানিস্তান সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে অংশ নিয়েছে। সদস্য দেশগুলো ছাড়াও ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ট্রান্সপোর্ট-কানাডা, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, ফ্রান্স, বোয়িং, ইএএসএ, আইএটিএ, এফাআলফাসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (আইসিএও) রিজিওনাল ডিরেক্টর (আঞ্চলিক পরিচালক) তাও মা, কসক্যাপ এর চিফ ট্যাকনিক্যাল এডভাইজার (সিটিএ) ক্যাপ্টেন ম্যারি যুব্রিচকিয়ি উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২৩
এমকে/এসআইএ