ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

১০ বছরে পা দিচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২৩
১০ বছরে পা দিচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স

ঢাকা: বাংলাদেশের বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা অতিক্রম করেছে নয়টি বছর। সোমবার (১৭ জুলাই) ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ১০ম বর্ষে পদার্পণ করবে।

নবম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সব শুভানুধ্যায়ীদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

রোববার (১৬ জুলাই) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ শুভেচ্ছা জানানো হয়।  

এতে বলা হয়, ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই ইউএস-বাংলা ড্যাশ ৮-কিউ৪০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে ঢাকা-যশোর রুটে ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে বাংলাদেশের আকাশপথে যাত্রা শুরু করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রথম এক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সব বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনা করে সংস্থাটি। বর্তমানে অভ্যন্তরীণ রুট ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, যশোর, সৈয়দপুর, বরিশাল, রাজশাহীতে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

ইউএস-বাংলা যাত্রা শুরুর দুই বছরের মধ্যে ২০১৬ সালের ১৫ মে ঢাকা-কাঠমান্ডু রুটে ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক রুটে ডানা মেলে। ইউএস-বাংলার আন্তর্জাতিক রুটগুলোর মধ্যে রয়েছে কলকাতা, চেন্নাই, মালে, মাস্কাট, দোহা, দুবাই, শারজাহ, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক ও গুয়াংজু।

নিকট ভবিষ্যতে দিল্লি, জেদ্দা, রিয়াদ, দাম্মাম, আবুধাবী রুটে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা নিয়েছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। চলতি বছর ইউএস-বাংলার বিমান বহরে ৬টি ওয়াইডবডি এয়ারক্রাফট যোগ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলা জানানো হয়।  

এছাড়া ২০২৪ সালের মধ্যে লন্ডন, রোমসহ ইউরোপের বিভিন্ন গন্তব্য ও ২০২৫ সালের মধ্যে নিউইয়র্ক ও টরেন্টোতে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

স্কাইট্র্যাক্স ওয়ার্ল্ড এয়ারলাইন অ্যাওয়ার্ড ২০২৩-এ ইউএস-বাংলা সাউথ এশিয়ার এয়ারলাইনগুলোর মধ্যে পঞ্চম স্থান অর্জন করেছে। গ্লোবাল এভিয়েশনে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সেরে অর্জন বাংলাদেশ এভিয়েশনকে আরও এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে বলে মনে করে সংস্থাটি।

বর্তমানে ইউএস-বাংলার বিমান বহরে মোট ১৯টি এয়ারক্রাফট রয়েছে, এর মধ্যে আটটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০, আটটি এটিআর ৭২-৬০০ এবং তিনটি ড্যাশ৮-কিউ৪০০ এয়ারক্রাফট আছে। যাত্রা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৯০ শতাংশের অধিক অন-টাইম ফ্লাইট পরিচালনার রেকর্ড রয়েছে ইউএস-বাংলার।

ইউএস-বাংলার টিকিট সংগ্রহ করার জন্য রয়েছে ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপস সুবিধা। দেশে এবং দেশের বাহিরে নিজস্ব ৪০টির অধিক সেলস্ অফিস রয়েছে। ফ্রিকোয়েন্ট ফ্লাইয়ারদের জন্য রয়েছে ‘স্কাইস্টার’ প্রোগ্রাম।  

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স খুব শিগগিরই নিজস্ব এমআরও (মেইনটেন্যান্স, রিপেয়ার অ্যান্ড অপারেশনস্) প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে। দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি করতে ইউএস-বাংলা ফ্লাইং স্কুল, ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে।

স্বাধীনতার পর ইউএস-বাংলা-ই প্রথম কোনো দেশীয় বিমান সংস্থা যা, চীনের কোনো গন্তব্যে বা ভারতের চেন্নাই কিংবা মালদ্বীপের রাজধানী মালে-তে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। ।  

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল-মামুন নবম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে আমরা যেকোনো ধরনের প্রতিযোগিতার চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত। বর্তমান বিশ্বে যাত্রীদের সঠিক সেবা দেওয়ার জন্য ব্র্যান্ডনিউ এয়ারক্রাফটের কোনো বিকল্প নেই। ইউএস-বাংলা যাত্রীদের আরামদায়ক সেবাকে নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই প্রতিনিয়ত নতুন নতুন এয়ারক্রাফট বহরে যুক্ত করে চলেছে। দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পেরে ইউএস-বাংলা পরিবার অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত।

তিনি আরও বলেন, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের সাফল্যে ভরা নয় বছর এর সঙ্গে যেসব সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্ট, ট্যুর অপারেটর, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, বিভিন্ন কর্পোরেট অফিস, বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক, অনলাইন মিডিয়ার কর্মরত সাংবাদিকরা, সর্বোপরি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন তাদের সবার প্রতি ইউএস-বাংলা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২৩
এমকে/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।