ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

এপ্রিলে ঢাকা-রাজশাহী রুটে ফের পাখা মেলছে বিমান

শরীফ সুমন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৫
এপ্রিলে ঢাকা-রাজশাহী রুটে ফের পাখা মেলছে বিমান

রাজশাহী: সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ৬ এপ্রিল ঢাকা-রাজশাহী রুটে আবারও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।

মঙ্গলবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ১৪ দলের জনসভায় যোগ দিতে গিয়ে রাজশাহী সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা জানান মন্ত্রী।



রাশেদ খান মেনন বলেন, অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য ৭৪ আসনের ড্যাশ-৮ কিউ-৪০০ উড়োজাহাজ কেনা হয়েছে। এরইমধ্যে উড়োজাহাজ দু’টি বিমানের বহরে যুক্ত হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ৬ এপ্রিল রাজশাহী-ঢাকা রুটে আবারও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হবে।

বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী বলেন, এটি রাজশাহীবাসীর দাবি ছিলো। তাই যাত্রী না পাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেলেও ফের এই রুটের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চালু করা হচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে এখান থেকে কার্গো বিমানও চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। তখন মালামাল পরিবহনে আরও সুবিধা হবে।  

তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চালুর ফলে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীরা সহজেই রাজশাহী রুটের সঙ্গে আকাশ পথেই সংযুক্ত হতে পারবেন। এতে বিমানের ব্যবসার সঙ্গে সঙ্গে পর্যটনের প্রবৃদ্ধিও বাড়বে। এ জন্য রাজশাহীবাসীরও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকতে হবে যেনো এ রুটে উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ না হয়।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে রাশেদ খান মেনন বলেন, প্রতি সপ্তাহের শুক্রবার, রোববার ও বুধবার আমরা ছয়টি ফ্লাইট পরিচালনা করবো। ২টা ১৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের এই ফ্লাইট ঢাকা থেকে ছাড়বে। বিকেল ৩টায় এখানে পৌঁছাবে। পরে এখান থেকে সোয়া ৩টায় ছেড়ে বিকেল ৪টায় ঢাকা পৌঁছাবে। এজন্য রাজশাহী বিমানবন্দরের উন্নয়ন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা-রাজশাহী ছাড়াও ঢাকা-সৈয়দপুর ও ঢাকা-বরিশালে দু’টি করে ফ্লাইট পরিচালনা করবে জাতীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্সটি। এর বাইরে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেটে সপ্তাহে ২৫টি অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনার রয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেটে কানেক্টিং ফ্লাইট যথারীতি চালু থাকবে। প্রয়োজন হলে এসব কানেক্টিং ফ্লাইটের সংখ্যাও বাড়ানো হবে।

এসময় বিমানকে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে রাজশাহীর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্য করে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী বলেন, লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে কোনো প্রতিষ্ঠান টিকে থাকতে পারে না। বন্ধ হয়ে গেলে কি হবে তা আপনারা সবাই জানেন। সেজন্য সজাগ থাকতে হবে।

২০০৬ সালের মধ্যবর্তী সময় পর্যন্ত রাজশাহীর শাহ মখদুম বিমানবন্দর ছিলো লাভজনক অবস্থানে। এরপর ধীরে ধীরে নানা কারণে যাত্রী কমতে থাকে। কমতে থাকে মালামাল বুকিংয়ের পরিমাণও। এ কারণে ২০০৭ সালে কর্তৃপক্ষ এই রুটে উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।